কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাস্থলসহ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকার ৩টি স্থান পরিদর্শন করে সিআইডির তদন্ত দল।
শুক্রবার বেলা ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সেনানিবাস এলাকায় অবস্থান করে দলটি।
সিআইডি কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জালাল আহমেদ, সহকারী পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গাজী মো. ইব্রাহিম, পরিদর্শক শাহনেওয়াজ, ৪জন উপ-পরিদর্শক (এসআই), ২জন কনস্টেবলসহ ১০জনের সিআইডির একটি দল তনুর মরদেহ পাওয়ার স্থান, বাসা ও টিউশনির দুইটি বাসা পরিদর্শন করেন।
সিআইডি কুমিল্লার সহকারী পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক জানান, সেনানিবাসের ভেতরে মরদেহ কিভাবে পাওয়া গেল, কি অবস্থায় পাওয়া গেল, এসব বিষয় খতিয়ে দেখছি।
তনুর বাবা ইয়ার হোসেন, মা আনোয়ারা বেগম, দুই ভাই নাজমুল হোসেন ও আনোয়ার হোসেনসহ চাচাতো বোন লাইজু জাহানের সঙ্গেও দলটির কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা জানান, তনুর মরদেহের ভিসেরাসহ কয়েকটি পরীক্ষার জন্য আলামত চট্টগ্রামের রাসায়নিক পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের একটি জঙ্গল থেকে তনুর মরদেহ পাওয়া যায়। তাকে ধর্ষণের পর হত্যার করা হয়। ঘটনাটি তদন্তে র্যাব, পুলিশসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নামে। ৩১ মার্চ সন্ধ্যায় জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) থেকে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।