ঢাকা ১২:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ইটনায় সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত মদনে সংবাদ প্রকাশের পর স্কুল কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙ্গল বিদ্যালয় প্রাঙ্গন দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন শিক্ষক রাজধানীতে পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিপনী বিতান উদ্বোধন করেন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে মদন উপজেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সায়েম সাধারণ সম্পাদক আরিফ মদনে ফের বয়রাহালা ব্রীজের এপ্রোচ দখল করে ঘর নির্মাণ মদনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কৃষককে হত্যার চেষ্টা মদনের এ.ইউ.খান উচ্চ বিদ্যালয়কে কারণ দর্শানোর নোটিশ মদনে এক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি শূন্য

এক টাকার শিঙাড়া ২৫ বছর ধরে বিক্রি করছেন সচিন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১
  • ১৩২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দিনাজপুর শহরের গুদুরী বাজার এলাকার সচিন কুমার ঘোষের দোকানে উত্তপ্ত কড়াই থেকে নামানো হচ্ছে গরম গরম শিঙাড়া। রাখা হচ্ছে বড় একটি বাঁশের ডালিতে। কড়াইয়ে নতুন করে শিঙাড়া ছাড়া শেষ হতে না হতেই খালি হয়ে যাচ্ছে ডালি।

২০-৩০টি শিঙাড়ার অর্ডার দিয়ে দোকানের সামনে অপেক্ষা করছেন ক্রেতাদের। কেউ কেউ দাঁড়িয়েই মুখে নিচ্ছেন একটার পর একটা শিঙাড়া। বিক্রেতাও যেন হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে।

এমন চিত্রই দেখা গেছে সচিন কুমার ঘোষের দোকানে। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে শিঙাড়া বিক্রি করছেন তিনি। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মাত্র ২ ঘণ্টা শিঙাড়া বিক্রি করেন তিনি। সচিনের শিঙাড়ার বিশেষত্ব হলো আকারে ও দামে। ছোট আকৃতির এই শিঙাড়ার মূল্য মাত্র ১ টাকা।

সচিন কুমার ঘোষ জানান, যাদের পাঁচ টাকা দামের শিঙাড়া কেনার সামর্থ্য নেই কিন্তু মুখরোচক এই খাবারটি খেতে মন চায় আমি তাদের জন্যই বানাই। ছোট বেলায় এক টাকায় ৪টি শিঙাড়া কিনেছি। সেখানে এখন একটির দাম ৫ টাকা থেকে ৮ টাকা। সব ধরনের ক্রেতাই তার দোকানে আসেন বলে তিনি জানান।

দোকানে শিঙাড়া খেতে আসা আজিজুল ইসলাম বলেন, আমি ২০০৪ সাল থেকে সচিন কাকার দোকানের শিঙাড়া খাই। আমি এই দোকান ছাড়া অন্য কোনো দোকানের শিঙাড়া খাই না। আসলে ১ টাকায় শিঙাড়া পাওয়া যাচ্ছে এটা অবিশ্বাস্য ও অকল্পনীয়।

কলেজ শিক্ষার্থী রইসুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রায়ই কলেজের বন্ধুরা মিলে এখানে ১ টাকা দামের শিঙাড়া খেতে আসি। আশেপাশে এত কম দামে শিঙাড়া পাওয়া যায় না। ১ টাকা দাম হলেও শিঙাড়া খেতে অনেক সুস্বাদু।

শিঙাড়া বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকা বিলকিস আরা জানান, ১ টাকার শিঙাড়া খেতে ভালো লাগে। বাসায় নিয়ে গেলে সবাই খুশি হয় যে এখনো ১ টাকার শিঙাড়া পাওয়া যায়।

জানা গেছে, প্রায় ২৫ বছর আগে এই দোকান শুরু করেন সচিন কুমার ঘোষ। তখন থেকেই ১ টাকায় শিঙাড়া বিক্রি হয়ে আসছে তার দোকানে। তাকে সহযোগিতা করেন তার স্ত্রী। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি থাকলেও বাড়েনি সচিনের শিঙাড়ার দাম। তাই তার দোকানে ভিড় লেগেই থাকে। প্রতিদিন সকালে মাত্র ২ ঘণ্টা খোলা রাখেন দোকান। আর এই সময়ে বিক্রি হয় ৫ হাজারের বেশি পিস শিঙাড়া ও ২ হাজারের বেশি নিমকি। শুধু এলাকাবাসী নয়, দূর-দূরান্ত থেকেও অনেকে আসেন সচিন কুমার ঘোষের এই দোকানে। শখের বসে কেউ আবার নিয়ে যান বাড়িতেও।

সচিন বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ১ টাকার শিঙাড়া বিক্রি করি মনের আনন্দ। লাভের অংকের দিকে তাকাই না। যতদিন পারব ১ টাকায় শিঙাড়া বিক্রি করব।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ইটনায় সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

এক টাকার শিঙাড়া ২৫ বছর ধরে বিক্রি করছেন সচিন

আপডেট টাইম : ০২:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দিনাজপুর শহরের গুদুরী বাজার এলাকার সচিন কুমার ঘোষের দোকানে উত্তপ্ত কড়াই থেকে নামানো হচ্ছে গরম গরম শিঙাড়া। রাখা হচ্ছে বড় একটি বাঁশের ডালিতে। কড়াইয়ে নতুন করে শিঙাড়া ছাড়া শেষ হতে না হতেই খালি হয়ে যাচ্ছে ডালি।

২০-৩০টি শিঙাড়ার অর্ডার দিয়ে দোকানের সামনে অপেক্ষা করছেন ক্রেতাদের। কেউ কেউ দাঁড়িয়েই মুখে নিচ্ছেন একটার পর একটা শিঙাড়া। বিক্রেতাও যেন হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে।

এমন চিত্রই দেখা গেছে সচিন কুমার ঘোষের দোকানে। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে শিঙাড়া বিক্রি করছেন তিনি। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মাত্র ২ ঘণ্টা শিঙাড়া বিক্রি করেন তিনি। সচিনের শিঙাড়ার বিশেষত্ব হলো আকারে ও দামে। ছোট আকৃতির এই শিঙাড়ার মূল্য মাত্র ১ টাকা।

সচিন কুমার ঘোষ জানান, যাদের পাঁচ টাকা দামের শিঙাড়া কেনার সামর্থ্য নেই কিন্তু মুখরোচক এই খাবারটি খেতে মন চায় আমি তাদের জন্যই বানাই। ছোট বেলায় এক টাকায় ৪টি শিঙাড়া কিনেছি। সেখানে এখন একটির দাম ৫ টাকা থেকে ৮ টাকা। সব ধরনের ক্রেতাই তার দোকানে আসেন বলে তিনি জানান।

দোকানে শিঙাড়া খেতে আসা আজিজুল ইসলাম বলেন, আমি ২০০৪ সাল থেকে সচিন কাকার দোকানের শিঙাড়া খাই। আমি এই দোকান ছাড়া অন্য কোনো দোকানের শিঙাড়া খাই না। আসলে ১ টাকায় শিঙাড়া পাওয়া যাচ্ছে এটা অবিশ্বাস্য ও অকল্পনীয়।

কলেজ শিক্ষার্থী রইসুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রায়ই কলেজের বন্ধুরা মিলে এখানে ১ টাকা দামের শিঙাড়া খেতে আসি। আশেপাশে এত কম দামে শিঙাড়া পাওয়া যায় না। ১ টাকা দাম হলেও শিঙাড়া খেতে অনেক সুস্বাদু।

শিঙাড়া বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকা বিলকিস আরা জানান, ১ টাকার শিঙাড়া খেতে ভালো লাগে। বাসায় নিয়ে গেলে সবাই খুশি হয় যে এখনো ১ টাকার শিঙাড়া পাওয়া যায়।

জানা গেছে, প্রায় ২৫ বছর আগে এই দোকান শুরু করেন সচিন কুমার ঘোষ। তখন থেকেই ১ টাকায় শিঙাড়া বিক্রি হয়ে আসছে তার দোকানে। তাকে সহযোগিতা করেন তার স্ত্রী। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি থাকলেও বাড়েনি সচিনের শিঙাড়ার দাম। তাই তার দোকানে ভিড় লেগেই থাকে। প্রতিদিন সকালে মাত্র ২ ঘণ্টা খোলা রাখেন দোকান। আর এই সময়ে বিক্রি হয় ৫ হাজারের বেশি পিস শিঙাড়া ও ২ হাজারের বেশি নিমকি। শুধু এলাকাবাসী নয়, দূর-দূরান্ত থেকেও অনেকে আসেন সচিন কুমার ঘোষের এই দোকানে। শখের বসে কেউ আবার নিয়ে যান বাড়িতেও।

সচিন বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ১ টাকার শিঙাড়া বিক্রি করি মনের আনন্দ। লাভের অংকের দিকে তাকাই না। যতদিন পারব ১ টাকায় শিঙাড়া বিক্রি করব।