১১ দিনে টানা ৫ রাজ্যে জয়ের রথে হিলারীর একমাত্র প্রতিদ্বন্ধি বার্নি স্যান্ডারস। ডেলিগেটস বিচারে এখনও বেশ পিছিয়ে, তবে ভোটারদের জোয়ার টানছেন তার দিকে ক্রমাগত। বার্নি ভাবছেন, এভাবে চলতে থাকলে, সুপার ডেলিগেটস, যারা পক্ষ বদল করতে পারেন ইচ্ছমত তারা বার্নি স্যান্ডারস কেই মনোনীত করবেন ডেমোক্রেটিক কনভেনশন এ। তার হিসাব আমলে নেয়ার মত। আর রিপাবলিকান প্রার্থী যদি হয় ডোনাল্ড ট্রাম্প,তাহলে ডেমোক্রাট প্রার্থী হিসেবে বার্নির যে বিকল্প নেই,সেট্ওা মনে করিয়ে দিচ্ছেন তিনি।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কয়েকটি রাজ্যে আনান্দে এভাবেই নেচেছে বছরের বয়স্ক তারুন্যের হ্যামিলন খ্যাত বার্নি স্যান্ডারস। ব্রাসেলস এর হামলায় নির্বাচনী খবরের ডামাডোল কমের মধ্য সেভাবে গনমাধ্যমে হয়তো আলোচিত হচ্ছে না। তবে খবর হলো, দ্বিত্বীয় পর্যায়ের প্রাইমারী আর ককাসে টানা জয়ের ধারাবাহিকতায় ফিরেছেন বার্নি স্যান্ডারস।
গত ১১ দিনে মোট ৬ টি রাজ্যের নির্বাচন হয়েছে। যার মধ্যে বার্নি স্যান্ডারস জিতেছেন ৫টিতে। একমাত্র এ্যারিজোনা তে জিতেছেন হিলারী ক্লিনটন।
হ্ওায়াই, আলাস্কা, আর ওয়াসিংটনের এই জয়ের ব্যাপারে আগেই আত্ববিশ্বাসী ছিলেন বার্নি। একদিনে ৩ রাজ্যে জয়ের পর তার উল্লশিত সমর্থকদেরকে স্পষ্ট করেই আত্ববিশ্বাসী হতে বলেছেন বার্নি যে, তারা যেন এখন অন্যদের মুখের উপর বলে দেয় যে আমরা জিততে পারি।
পূর্ব এবং দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে একের পর এক জয়ে অনেক খানি এগিয়ে গেছেন হিলারী ক্লিনটন। তবে, শনিবারের ৩ রাজ্যের জয়ে সে ব্যবধান কমিয়ে এনেছেন তিনি। হিলারীর যেখানে প্লেজ ডেলিগেটস সমর্থন আছে ১২৪০ জনের, বার্নি সেখানে ৯৭০ জন। তবে সুপার ডেলিগেটস এ এখনো অনেক এগিয়ে আছেন হিলারী ক্লিনটন বার্নির থেকে । ৪০০ জনের বেশি সুপার ডেলিগটস হিলারী পক্ষে রয়েছেন,যদিও তারা যে কোন সময় পক্ষ বদল করতে পারে। সেখানেই ওৎ পেতে আছেন বার্নি। বলছেন, সামনে প্লেজ ডেলিগেটস সংখ্যায় হিলারীকে ছাড়িয়ে যাবেন তিনি, তখন জুলাই এর ডেমোক্রাট কনভেনশনে সুপার ডেলিগেসরা তার পক্ষে আসবেন।
এসময় তাকে প্রশ্ন করা হয় হিলারী ক্লিনটনকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভাবছেন কিনা,তবে তা এড়িয়ে যান তিনি।
তিনি বলছেন, এটা সত্যি আমরা এখনো আন্ডারডগ। তবে জনস্রোত তার দিকে। তাই চুড়ান্ত নির্বাচনী মনোনয়ন নিশ্চিত করে বলার সময় এখনও যে শেষ হয়ে যায়নি সে বিষয়ে আত্ববিশ্বাসী বার্নি।