হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিশ্বে অনেক মানুষই আছেন, যাদের নাম কিছু উদ্ভট বটে! তবে কখনও কি শুনেছেন কারও নাম এবিসিডিইএফ জিএইচআইজেকে। বিষয়টি অদ্ভূত হলেও সত্যিই যে, উদ্ভট নামের কারণে সম্প্রতি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে এই কিশোর।
ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুমাত্রা প্রদেশের ১২ বছরের এই কিশোর তার নামের কারণে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শিরোনাম তৈরি করেছে। জানলে অবাক হবেন, ইংরেজি বর্ণমালার প্রথম ১১টি অক্ষরই এই কিশোরের নাম।
ইন্দোনেশিয়ার মুয়ারা এনিম জেলায় স্থানীয় পুলিশ কর্তৃক আয়োজিত একটি টিকাদান অভিযানে অংশ নেয় শিশুটি। আর তখনও টিকাকার্ডে তার নাম দেখে স্বাস্থ্যকর্মীরা অবাক হয়ে যান। তারা ভাবেন, নিশ্চয়ই মজার ছলে এমন নাম লেখা হয়েছে।
পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই কিশোরের অফিসিয়াল আইডিতেও একই নামের ‘এবিসিডিইএফ জিএইচআইজেকেএল’ উল্লেখ আছে। এমনকি ছেলেটির নথিপত্র থেকে শুরু করে স্কুলের ইউনিফর্মেও এই নাম লেখা ছিল।
একজন পুলিশ অফিসার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। ১২ বছরের এই কিশোরের জানায়, জুনিয়র হাই স্কুলের ছাত্র সে।
তার এই উদ্ভট নামের কারণে সবাই তাকে নিয়ে হাসাহাসি করে। এমনকি প্রতিনিয়তই তিরস্কারের শিকার হয় সে। তবুও নাম নিয়ে গর্বিত সে। কারণ নামটি সবাই সহজেই মনে রাখতে পারেন।
এবিসিডিইএফ এর বাবা জুলফাহমি গণমাধ্যমে জানান, ছেলে জন্মানোর ৬ বছর আগেই তিনি নামটি ঠিক করে রেখেছিলেন। কারণ হিসেবে তিনি জানান, ক্রসওয়ার্ড পাজল খেলার ভক্ত ছিলেন তিনি।
তিনি একজন লেখক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কারণ বর্ণমালার সঙ্গে তার আত্মার সম্পর্ক আছে! শুধু প্রথম সন্তান নয় বরং দ্বিতীয় সন্তানের নাম ‘এনওপিকিউ আরএসটিইউভি’ ও তৃতীয়টির নাম ‘এক্সওয়াইজেড’ রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
যদিও জুলফাহমির স্ত্রী তার সন্তানদের এমন অদ্ভূত নাম রাখতে রাজি নন। এ কারণে পরবর্তী দুই সন্তানের নাম আম্মা ও আতুর রাখতে চান।
১২ বছরের এই কিশোরের পুরো নাম হলো এবিসিডিইএফ জিএইচআইজেকে জুজু। তার ডাক নামটি বাবা-মায়ের নামের প্রথম অক্ষর- জুহরো ও জুলফাহমি থেকে নেওয়া হয়েছে।