ঢাকা ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক গ্লাস লেবু পানির রয়েছে প্রচুর গুণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১
  • ১১৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ভিটামিন সি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হল পাতিলেবু। প্রতিদিনের খাবারে ডাল-ভাত কিংবা সালাদে অনেকেই লেবুর রস মিশিয়ে খান। আবার অনেকে লেবুর শরবত বানিয়েও খান। কিন্তু মেদ ঝরানোর জন্য রোজ সকালে খালি পেটে লেবু পানি খাওয়ার অভ্যাস এখন অনেকেরই তৈরি হয়ে গিয়েছে। শরীর যাতে ক্যালসিয়াম ঠিক করে শুষে নিতে পারে, তাতে সাহায্য করে ক্যালসিয়াম। তাই হাড় মজবুত রাখার জন্য ভিটামিন সি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাছাড়া লেবু পানি খেলে শরীর অ্যালকালাইন হয়ে ওঠে। তাই পিএইচ মাত্রা ঠিক রাখার জন্য সকালে ঘুম থেকে উঠে লেবু পানি খাওয়াই ভাল।

লেবু পানির গুণাবলী

১) হজমে সাহায্য করে ও ওজন কমায় : সামান্য উষ্ণ গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ অনেকেই দিয়ে থাকেন। যা সকালে খালি পেটে খেলে শরীরে একাধিক উপকার হয়। হজমে সাহায্য করে এই পানীয়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। শরীর থেকে টক্সিনও বের করে দেয়, যার ফলে হজম ভালো ভাবে হয়। এছাড়াও লেবুতে থাকা অ্যাসিড ওজন কমাতে সাহায্য করে।

২) ত্বক ভালো রাখে : লেবুর সরবতের টক-মিষ্টি ভাব শুধু স্বাদে পরিবর্তন ঘটায় এমন নয়, শরীরে থেকে টক্সিন বের করে দেয়। ফলে ত্বক ভালো থাকে। এতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস থাকে, যা ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে।

৩) রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C থাকে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। লেবুর রস ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি-কাশি ইত্যাদি থেকে রেহাই দেয়। করোনা যেহেতু এখনও রয়েছে বিশ্বে, তাই যে কোনও সময়ে অল্প লেবুর পানি খেলে তা শরীরে উপকার করে।

 

৪) জ্বালাভাব ও অ্যানিমিয়া কমায় : লেবুর জলে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস, ফোলেট, ফ্ল্যাভোনয়েডস ও ভিটামিন B থাকে। যা ক্রনিক কোনও রোগের থেকে হওয়া জ্বালাভাব কমায়, মানসিক চাপ কমায়। এতে থাকা ভিটামিন C অন্যান্য খাবার থেকে আয়রন শুষে নেয় ও হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়লে রক্তাল্পতা হয় না।

৫) কিডনিতে স্টোন হওয়া রোধ করে : লেবুতে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে। যা কিডনিতে স্টোন হওয়া রোধ করে বা স্টোন হলে তা বের করে দিতে সাহায্য করে। স্টোন কিডনির ভিতরে তৈরি হতে দেয় না। পাশাপাশি মূত্রের পরিমাণ বাড়িয়ে স্টোন বের করে দেয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

এক গ্লাস লেবু পানির রয়েছে প্রচুর গুণ

আপডেট টাইম : ০৯:৫১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ভিটামিন সি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হল পাতিলেবু। প্রতিদিনের খাবারে ডাল-ভাত কিংবা সালাদে অনেকেই লেবুর রস মিশিয়ে খান। আবার অনেকে লেবুর শরবত বানিয়েও খান। কিন্তু মেদ ঝরানোর জন্য রোজ সকালে খালি পেটে লেবু পানি খাওয়ার অভ্যাস এখন অনেকেরই তৈরি হয়ে গিয়েছে। শরীর যাতে ক্যালসিয়াম ঠিক করে শুষে নিতে পারে, তাতে সাহায্য করে ক্যালসিয়াম। তাই হাড় মজবুত রাখার জন্য ভিটামিন সি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাছাড়া লেবু পানি খেলে শরীর অ্যালকালাইন হয়ে ওঠে। তাই পিএইচ মাত্রা ঠিক রাখার জন্য সকালে ঘুম থেকে উঠে লেবু পানি খাওয়াই ভাল।

লেবু পানির গুণাবলী

১) হজমে সাহায্য করে ও ওজন কমায় : সামান্য উষ্ণ গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ অনেকেই দিয়ে থাকেন। যা সকালে খালি পেটে খেলে শরীরে একাধিক উপকার হয়। হজমে সাহায্য করে এই পানীয়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। শরীর থেকে টক্সিনও বের করে দেয়, যার ফলে হজম ভালো ভাবে হয়। এছাড়াও লেবুতে থাকা অ্যাসিড ওজন কমাতে সাহায্য করে।

২) ত্বক ভালো রাখে : লেবুর সরবতের টক-মিষ্টি ভাব শুধু স্বাদে পরিবর্তন ঘটায় এমন নয়, শরীরে থেকে টক্সিন বের করে দেয়। ফলে ত্বক ভালো থাকে। এতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস থাকে, যা ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে।

৩) রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C থাকে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। লেবুর রস ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি-কাশি ইত্যাদি থেকে রেহাই দেয়। করোনা যেহেতু এখনও রয়েছে বিশ্বে, তাই যে কোনও সময়ে অল্প লেবুর পানি খেলে তা শরীরে উপকার করে।

 

৪) জ্বালাভাব ও অ্যানিমিয়া কমায় : লেবুর জলে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস, ফোলেট, ফ্ল্যাভোনয়েডস ও ভিটামিন B থাকে। যা ক্রনিক কোনও রোগের থেকে হওয়া জ্বালাভাব কমায়, মানসিক চাপ কমায়। এতে থাকা ভিটামিন C অন্যান্য খাবার থেকে আয়রন শুষে নেয় ও হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়লে রক্তাল্পতা হয় না।

৫) কিডনিতে স্টোন হওয়া রোধ করে : লেবুতে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে। যা কিডনিতে স্টোন হওয়া রোধ করে বা স্টোন হলে তা বের করে দিতে সাহায্য করে। স্টোন কিডনির ভিতরে তৈরি হতে দেয় না। পাশাপাশি মূত্রের পরিমাণ বাড়িয়ে স্টোন বের করে দেয়।