হাওর বার্তা ডেস্কঃ সারা বিশ্বজুড়েই বিভিন্ন বৈচিত্রময় রীতি-রেওয়াজ অনুসারে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পাত্র ও পাত্রীরা। বিয়েকে এক পবিত্র বন্ধন হিসেবেই গন্য করা হয় সারা বিশ্বজুড়েই। বিশ্বের কোথাও কোথাও বিয়ে নিয়ে এমন রীতিনীতি ও ঐতিহ্য রয়েছে, যা শুনলে চমকে যেতে হয়।
বিশ্বে এমনও একটি দেশ আছে, যেখানে পুরুষদের দুইজন নারীকে বিয়ে করতেই হয়? শুধু তাই নয়, যদি এই আদেশ অমান্য করা হয়, তাহলে সেই ব্যক্তিকে জেলে পর্যন্ত যেতে হতে পারে। অবাক হচ্ছেন? অবাক হলেও এটাই সত্যি।
আফ্রিকান দেশ ইরিত্রিয়াতে পুরুষদের ন্যূনতম দুটি বিয়ে করা বাধ্যতামূলক। যদিও এর পেছনে একটি গুরুতর কারণ রয়েছে, আর তা হলো এখানে নারীর তুলনায় পুরুষের অনুপাত খুবই কম। এই কারণে একজন পুরুষকে এখানে দুইজন নারীকে বিয়ে করতেই হয়। ইরিত্রিয়া সরকার এ জন্য একটি আইনও প্রণয়ন করেছে।
আবার যারা এই সরকারি আইন মানে না তাদের শাস্তি দেওয়ার বিধানও আছে। যদি পুরুষ দুজন নারীকে বিয়ে না করে, তাহলে তাদের জেলেও হতে পারে। এছাড়াও, যদি প্রথম স্ত্রী, দ্বিতীয় বিবাহের ব্যাপারে কোনো ধরনের ঝামেলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে, তাহলে নারীদেরও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মতো কঠোর শাস্তি দেওয়া যেতে পারে।
এই আইনের কারণে দেশে দুটো বিয়ে করা পুরুষের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। যদিও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই আইনের কারণে ইরিত্রিয়া অনেক সমালোচিত হচ্ছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত ইরিত্রিয়া সরকার এই আইন প্রত্যাহারের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, দেশে পুরুষের আকাল পড়েছে। এর আগে দীর্ঘদিন ইথিওপিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের কারণে অনেক পুরুষ হারিয়েছে এরিত্রিয়া। ক্রমশ পুরুষশূন্য হয়ে পড়ছে এই দেশ। তাই দেশের স্বার্থেই এই আইন বলবৎ করল সরকার।
প্রসঙ্গত, এরিত্রিয়ার জনসংখ্যা ৬৪ লাখেরও কিছু কম। এর একদিকে সুদান আর ইথিওপিয়া, অন্য দিকে জিবুটি, লোহিত সাগর। ইথিওপিয়ার থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন হয়ে এর জন্ম হয় ১৯৯৩ সালে।
তবে বিবিসি এই রিপোর্ট নিয়ে তাদের অনুসন্ধানে এটিকে গুজব বলে প্রমান পেয়েছে। তারা তাদের রিপোর্টে বলেছে, ইরিত্রিয়াতে পুরুষরা কমপক্ষে দুইজন নারীকে বিয়ে করতে বাধ্য করবে এমন একটি মিথ্যা গুজব ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। যা কমপক্ষে চারটি দেশকে আজ পর্যন্ত আঘাত করেছে এবং প্রকৃতপক্ষে ইরাকে শুরু হয়েছে, যা অকল্পনীয় এবং বানোয়াট।