সাত দিন আগে প্রত্যাহার হলেও এখনো চেয়ার ছাড়ছেন না সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান। এজন্য নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিব্রত হয়ে সোফায় বসে অলস সময় কাটিয়ে চলে যাচ্ছেন। তাই অফিসে কানাঘুষা চলছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এখন দুই জন। সৃষ্টি হয়েছে হাস্যরসেরও।
জানা যায়, বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গণি চৌধুরীকে সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান করা হয়। কিন্তু এখনও তাকে এখনো চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয়নি। কারণ সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল সানাউল হক সোমবার সকালেও অফিসে গিয়েই তার চেয়ারটি দখলে নিয়েছেন। এমনকি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ফাইলেও স্বাক্ষর করেছেন।
যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা কোম্পানি রেডলাইন অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটির সঙ্গে চুক্তিকাকালীন সময়েও তিনি চেয়ারম্যান হিসাবে উপস্থিত থেকে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে সাবেক চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে দেখানো হয়েছে। ফলে যেকোনো সময় এই চুক্তিই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারে।
এ বিষয়ে সানাউল হকের সঙ্গে কথা বলার জন্য একাধিবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।
উল্লেখ্য, নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কার্গো বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর প্রত্যাহার করা হয় সানাউল হককে। যদিও প্রথম দিকে জানা যায় তিনি পদত্যাগ করেছেন।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৩ মার্চ তাকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আর বেবিচকের নতুন চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয়া হয় এহসানুল গনি চৌধুরীকে। কিন্তু এখনো সানাউল হক অফিস ছাড়ছেন না। এমনকি যুক্তরাজ্যের সঙ্গে চুক্তির সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। এতে যুক্তরাজ্যের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও বিরক্ত বলে জানা গেছে।