হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম ধাপের ভোটে বিপুল বিজয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। ১৬০টি ইউপির চেয়ারম্যান পদের মধ্যে ১৩১ টিতে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। যদিও ভোটের আগেই ৪৪টির চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীতরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী হয়েছেন। এরমধ্যে শুধু বাগেরহাট জেলাতেই রয়েছেন ৩৮ জন। বেশিরভাগ স্থানেনই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নৌকার প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। এরমধ্যে ২৮টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। যার মধ্যে অধিকাংশই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।
গতকাল সোমবার সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোট নেওয়া হয়। একই দিনের দেশের বিভিল্পু স্থানে নয়টি পৌরসভায় ভোট নেওয়া হয়। নয়টি মেয়র পদের মধ্যে তিনটিতে আগেই আওয়ামী লীগ মনোনীতরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী হয়েছেন। বাকী ৬টির মধ্যে ৪টিতে আওয়ামী লীগ ও ২টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
কুমিল্লা নাঙ্গলকোট আওয়ামী লীগের আব্দুল মালেক (বিনা প্রতিদ্বন্দিতায়), ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগের আবু ফয়েজ মো. রেজা, মহেশখালীতে আওয়ামী লীগের আলহাজ্ব মকছুদ মিয়া, চকরিয়ায় আওয়ামী লীগের আলমগীর চৌধুরী, ফেনীর সোনাগাজীতে আওয়ামীলীগের অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, নোয়াখালীর কবিরহাটে আওয়ামী লীগের জহুরুল হক বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবু বক্কর সিদ্দিক, যশোরের নওয়াপাড়ায় আওয়ামী লীগের সুশান্ত কুমার শান্ত, চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী জহুরুল ইসলাম জহুর নির্বাচিত হয়েছেন।
ইউপির চেয়ারম্যান পদে বিজয়ীরা
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত খুলনা জেলার ৩৪টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ৫ জন, একজন বিএনপি নেতা, স্বতন্ত্র তিনজন বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া বিজয়ী অন্য ২৫ জনের সবাই আওয়ামী লীগ মনোনীত। খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার আমাদি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের জিয়াউর রহমান জুয়েল, বাগালীতে আওয়ামী লীগের আব্দুস সামাদ, মহেশ্বরীপুরে আওয়ামী লীগের শাহ নেওয়াজ শিকারী, মহারাজপুরে আওয়ামী লীগের আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, কয়রায় আওয়ামী লীগের বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশীতে আওয়ামী লীগের সরদার নুরুল ইসলাম, দক্ষিণ বেদকাশীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আসের আলী, দাকোপের পানখালীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ সাব্বির আহমেদ, দাকোপ আওয়ামী লীগের বিনয় কৃষ্ণ রায়, লাউডোবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ শেখ যুবরাজ, কৈলাশগঞ্জ আওয়ামী লীগের মিহির কুমার মন্ডল, সুতারখালীতে আওয়ামী লীগের মাসুম আলী ফকির, কামারখোলা আওয়ামী লীগের পঞ্চানন মন্ডল, তিলডাঙ্গায় স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী জালাল উদ্দিন, বাজুয়ায় আওয়ামী লীগের মানস মুকুল রায়, বানিশান্লায় আওয়ামী লীগের সুদেব রায়, বটিয়াঘাটার গঙ্গারামপুরে বিএনপি সমর্থিত আসলাম হালদার, বালিয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আওসাফুর রহমান আসা, আমিরপুরে আওয়ামী লীগের সিএম মিলন গোলদার, দিঘলিয়ার গাজীরহাটে আওয়ামী লীগের বেদ্রোহী মফিজুল ইসলাম ঠান্ডু, বারাকপুরে আওয়ামী লীগের গাজী জাকির হোসেন, দিঘলিয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হায়দার আলী মোড়ল, সেনহাটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জিয়া গাজী, আড়ংঘাটায় স্ট্বতন্প এসএম ফরিদ আক্তার, যোগীপুলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাজ্জাদুর রহমান লিংকন, পাইকগাছার সোলাদানায় আওয়ামী লীগের আব্দুল মাল্পুান গাজী, রাডুলীতে আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ, গড়ইখালীতে আওয়ামী লীগের রুহুল আমিন বিশ্বাস, চাঁদখালীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শাহজাদা ইলিয়াস, দেলুটিতে আওয়ামী লীগের রিপন ম্লল, লতায় আওয়ামী লীগের কাজল কান্তি বিশ্বাস, কপিলমুনিতে আওয়ামী লীগের কওসার আলী জোয়ারদার, লস্কর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া গদাইপুরে আওয়ামী লীগের শেখ জিহাদুল ইসলাম।