হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইউএস ওপেনের নারী এককে ইতিহাস গড়ে চ্যাম্পিয়ন হলেন ১৮ বছরের এমা রাডুকানু। ৬-৪, ৬-৩ ব্যবধানে সরাসরি সেটে কানাডিয়ান প্রতিপক্ষ লেইলা ফার্নান্দেজকে উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এই ব্রিটিশ তরুণী।
সেরেনা উইলিয়ামসের পর দ্বিতীয় নারী টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে একটিও সেটে না হেরে চ্যাম্পিয়ন হলেন রাডুকানু। সেই সঙ্গে ৫৩ বছর পর প্রথম ব্রিটিশ নারী হিসেবে গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতলেন এমা। ১৯৭৭ সালে উইম্বলডনে ভার্জিনিয়া ওয়েডের পর কোনো মেজরের নারী এককে ট্রফিজয়ী পেল ব্রিটেন।
বাছাইপর্ব থেকে ফাইনাল পর্যন্ত তার উঠে আসার অভিযানই ছিল এক কথায় অবিশ্বাস্য। আর মুকুটও জয় করে রাডুকানু তাক লাগিয়ে দিলেন টেনিস বিশ্বকে। কোয়ালিফায়ার থেকে উঠে আসা কোনো টেনিস খেলোয়াড় এর আগে গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিততে পারেননি। রাডুকানুই প্রথম। নিজের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডস্ল্যামেই বাজিমাত করলেন অবাছাই এই অষ্টাদশী।
যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের আগে এ বছরের উইম্বলডনে প্রথমবার গ্র্যান্ডস্ল্যামে আর্বিভাব ঘটে এমার। ঘাসের কোর্টে শুরুটা ভালো করেও চতুর্থ রাউন্ডে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল তাকে। কে ভেবেছিল, মাত্র দুই মাস পরেই ব্রিটিশ তরুণীকে আর্থার অ্যাশে খেতাব হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাবে!
মাত্র তিন বছর আগেই উইম্বলডন জুনিয়রের দ্বিতীয় রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছিলেন এমা ও লেইলা। সেই ম্যাচের মতো নিজেদের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যামের লক্ষ্যে কোর্টে নামা দুই তরুণীর লড়াইয়েও বাজিমাত করলেন ১৮ বছরের এমা।
টুর্নামেন্টের ০ ম্যাচে একটি সেটও হারেননি র্যাঙ্কিংয়ে ১৫০তম স্থানে থেকে আসর শুরু করা রাডুকানু। প্রত্যেকটি ম্যাচ জেতেন সরাসরি সেটে এবং প্রতিটি লড়াইয়েই ফুটে ওঠে তার আগ্রাসী মনোভাব ও প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রবল ইচ্ছাশক্তি। আর কোর্ট ছাড়লেন নিজের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতে ২৩ নম্বর টেনিস তারকা হিসাবে।
ফাইনালে প্রথম সেটেই দুইবার লেইলার সার্ভিস ভেঙে সেট জেতেন রাডুকানু। দ্বিতীয় সেটে ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচাতে পারলেও নিজের হার বাঁচাতে পারেননি লেইলা।
ম্যাচ চলাকালীন একবার আহত হতে হয়েছিল রাডুকানুকে। দ্বিতীয় সেটে ৫-৩ গেমে এগিয়ে থাকার সময় পায়ে আঘাত পান তিনি। সেখান থেকে ফিরে এসে রীতিমত চোখ ধাঁধানো টেনিস খেললেন। ইতিহাস যেন তার নামটাকে আলিঙ্গন করতে দাঁড়িয়েই ছিল।
জিতেই দুই হাতে মুখ ঢেকে কোর্টে শুয়ে পড়েন রাডুকানু, যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না তার! সবচেয়ে কম বয়সী ব্রিটিশ খেলোয়াড় হিসেবে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের ইতিহাসও লেখা হয়ে গেল ১৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ তারকার।