সোহেল রানাকে দেশে ফেরাতে ভারতকে পুলিশের চিঠি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ই-অরেঞ্জের ‘পৃষ্ঠপোষক’ ও সদ্য বরখাস্ত বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। গত রবিবার দিল্লিতে অবস্থিত দেশটির ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়।

আজ মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভারতকে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম। এ সময় তিনি জানান, এখনো সেই চিঠির কোনো জবাব আসেনি। জবাব না এলে আবারো চিঠি পাঠানো হবে।

এদিকে গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ ও ভারতে পালানোর প্রমাণ পাওয়ায় বরখাস্ত করা হয়েছে বিতর্কিত এই পুলিশ কর্মকর্তাকে।। সোহেল রানা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পুলিশ রিপোর্ট পাওয়ার পর অবশেষে বরখাস্ত করা হলো তাকে। এরই মধ্যে তার জায়গায় নতুন কর্মকর্তাকেও বদলি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারত-নেপাল সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক আটক হন বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা। তাকে আটকের বিষয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) জানায়, আটকের সময় তার কাছ থেকে বিদেশি পাসপোর্ট, একাধিক মোবাইল এবং এটিএম কার্ড জব্দ করা হয়েছে। এমন অবস্থার মধ্যে তার স্থলে নতুন কর্মকর্তা হিসেবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি (তদন্ত) আলমগীর গাজীকে বদলি করা হয়েছে।

 

গত শুক্রবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফের) সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে সোহেল রানাকে আটক করে। শনিবার ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে শুক্রবার কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে সোহেল রানা নামে এক বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিএসএফ। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বলেছে, আটকের সময় তার কাছ থেকে বিদেশি পাসপোর্ট, একাধিক মোবাইল এবং এটিএম কার্ড জব্দ করা হয়েছে। তাকে মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা করেছে বিএসএফ।

এ বিষয়ে রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ২১ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। তাদের মধ্যে সোহেল রানাকে সরিয়ে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি (তদন্ত) আলমগীর গাজীকে একই পদে বনানী থানায় বদলি করা হয়। এ আদেশ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।

চিঠি ফাঁসের ঘটনাও তদন্ত হবে: ডিএমপি কমিশনার

সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার অফিস করেছেন সোহেল রানা। এরপর থেকে আর থানায় আসেননি, রিপোর্টও দেননি, ছুটিও নেননি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগে উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান। তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণমাধ্যম সূত্রে খবর পাচ্ছি তিনি নেপাল-ভারত সীমান্তে বিএসএফের হাতে আটক হয়েছেন। তবে আমরা এখনো তা নিশ্চিত হতে পারিনি। বনানী থানার ওসি (তদন্ত) সোহেল রানা ও আটক সোহেল রানা একই ব্যক্তি কি না তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বিএসএফের হাতে আটক সোহেল রানা গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী বহুল আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তার বোন ও ভগ্নিপতি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ই-অরেঞ্জ’পরিচালনা করতেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর