ইতালির উপকূল থেকে পাঁচ শতাধিক অভিবাসী উদ্ধার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইতালিতে একটি মাছ ধরার নৌকা থেকে ৫৩৯ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। গতকাল শনিবার (২৮ আগস্ট) লাম্পেদুসা দ্বীপে নৌকাটি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পার হচ্ছিল। শনিবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বাতা সংস্থা এএফপি।
সাম্প্রতিক সময়ে একদিনে এতো সংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধার হওয়ার বড় একটি ঘটনা বলে জানিয়েছেন লাম্পেদুসার মেয়র তোতো মারতেলো। ইউরোপে যাওয়ার জন্য এই দ্বীপকেই বেছে নিয়ে থাকেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।
এর আগে মে মাসে লাম্পেদুসায় এক হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়। দ্বীপটিতে প্রায় তিনশ অভিবাসীকে রাখার জন্য একটি ক্যাম্প তৈরি করা হলেও বর্তমানে পাঁচগুণের বেশি মানুষ থাকে এখানে।
ইতালীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, গ্রীষ্মকালে সমুদ্র শান্ত থাকার সুযোগে চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই অবৈধপথে ইতালি যাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। গত বছরের তুলনায় সেখানে অবৈধ অভিবাসী প্রবেশের হার বেড়েছে কয়েকগুণ।
রোববার (২৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। জানিয়েছে, জরাজীর্ণ মাছ ধরার নৌকা থেকে উদ্ধারকৃত বিশাল সংখ্যক এই অভিবাসীদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। অভিবাসীদের মধ্যে অনেকেই উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পার হয়ে ইতালির উপকূলে পৌঁছেছিলেন।
তাদের মধ্যে অনেকেই আবার সহিংসতার চিহ্ন বহন করছেন বলেও জানিয়েছে বিবিসি। এদিকে প্রকৃত ঘটনা জানতে তদন্তকাজ শুরু করেছেন ইতালির কর্মকর্তারা।
মানবাধিকার গ্রুপ এমএসএফ (ডক্টরস উইদআউট বর্ডারস)-এর চিকিৎসক আলিদা সেরাচিয়েরি জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে কিছুসংখ্যক অভিবাসী লিবিয়ায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। ইউরোপে প্রবেশের লক্ষ্যে নৌকার জন্য অপেক্ষার সময় তারা নির্যাতনের শিকার হন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইতালির সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, অভিবাসীরা লিবিয়াতে হয়তো মিথ্যা কারাবাসের শিকার হয়েছিলেন এবং কর্মকর্তারা এই বিষয়টিই খতিয়ে দেখছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, উদ্ধারের পর ইতালির কোস্টগার্ডের দু’টি নৌকা, ইতালির আর্থিক অপরাধ বিষয়ক পুলিশের একটি নৌকার মাধ্যমে অভিবাসীদেরকে ল্যামপেদুসা দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়। এই উদ্ধার অভিযানকে সাম্প্রতিকালের অন্যতম বড় অভিযান বলে বর্ণনা করেছেন দ্বীপটির মেয়র টোটো মারতেল্লো।
উল্লেখ্য, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধপথে ইউরোপে পৌঁছাতে অভিবাসীরা সবচেয়ে বেশি যে স্থানটি ব্যবহার করে থাকে সেটি হচ্ছে ল্যামপেদুসা। গত মে মাসে কয়েক ঘণ্টার ব্যাবধানে এক হাজারেরও বেশি অভিবাসী এই দ্বীপে ঢুকে পড়েছিলেন। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর