ঢাকা ০৬:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অতিরিক্ত ঘুম হতে পারে যেসব রোগের কারণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২২:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অগাস্ট ২০২১
  • ১৫৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুস্থ থাকার জন্য ভালো আর পরিপূর্ণ ঘুম সবারই প্রয়োজন। কারণ ঘুম সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে শরীরে শক্তি যোগায়। তবে পর্যাপ্ত না ঘুমানো যেসব স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ, তেমননি প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমও ডেকে আনতে পারে ডায়েবেটিস থেকে বন্ধ্যাত্বের মতো মারাত্মক কিছু রোগ।

সেরোটোনিন হরমোনের সাহায্যে  ঘুম নিয়ন্ত্রিত হয়। অতিরিক্ত ঘুম সেরোটোনিনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, নিউরোট্রান্সমিটারকেও বাধা দেয়, সেজন্য অনেকেই সকালে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার পরে মাথাব্যথার অভিযোগ করেন।  এছাড়া দীর্ঘ সময় ঘুমানোর পর হঠাৎ ক্ষুধা এবং তীব্র তৃষ্ণা বোধ হয়, যার কারণে মাথাব্যথা শুরু হয়।

অতিরিক্ত ঘুম ডিপ্রেশনের কারণ হতে পারে। স্লিপিং সাইকেল নষ্ট হয়ে গেলে উৎকণ্ঠা এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি হতে পারে।

বেশি ঘুমানোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে হতে পারে ক্লান্তি। অত্যধিক ঘুমে দেহঘড়ির স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। অতিরিক্ত বিশ্রামের কারণে পেশী এবং স্নায়ু শক্ত হয়ে যায়। ফলে শারীরিক চাপ নিতে সমস্যা হয়।

অতিরিক্ত ঘুম হরমোনের উপরও প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনগুলো এর দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়। বেশি ক্লান্ত বোধ করার কারণে শরীরে খুব কম শক্তি থাকে, যার কারণে মানুষ সাধারণত জাঙ্ক ফুড বা উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া শুরু করে। এই সব কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।  যার ফলে ডায়েবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

বেশি ঘুমানোর খারাপ প্রভাব নারীদের ফার্টিলিটির উপরও পড়ে।গবেষণায় দেখা গেছে ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন থেরাপিতে  থাকা নারীরা যারা সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমান তাদের গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ৬ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমান তারা তাদের সন্তান ধারণের সম্ভাবনা ৪৬ শতাংশ এবং যারা ৯ থেকে ১১ ঘণ্টা ঘুমান তাদের সন্তান ধারণের সম্ভাবনা থাকে ৪৩ শতাংশ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

অতিরিক্ত ঘুম হতে পারে যেসব রোগের কারণ

আপডেট টাইম : ১০:২২:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অগাস্ট ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুস্থ থাকার জন্য ভালো আর পরিপূর্ণ ঘুম সবারই প্রয়োজন। কারণ ঘুম সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে শরীরে শক্তি যোগায়। তবে পর্যাপ্ত না ঘুমানো যেসব স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ, তেমননি প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমও ডেকে আনতে পারে ডায়েবেটিস থেকে বন্ধ্যাত্বের মতো মারাত্মক কিছু রোগ।

সেরোটোনিন হরমোনের সাহায্যে  ঘুম নিয়ন্ত্রিত হয়। অতিরিক্ত ঘুম সেরোটোনিনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, নিউরোট্রান্সমিটারকেও বাধা দেয়, সেজন্য অনেকেই সকালে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার পরে মাথাব্যথার অভিযোগ করেন।  এছাড়া দীর্ঘ সময় ঘুমানোর পর হঠাৎ ক্ষুধা এবং তীব্র তৃষ্ণা বোধ হয়, যার কারণে মাথাব্যথা শুরু হয়।

অতিরিক্ত ঘুম ডিপ্রেশনের কারণ হতে পারে। স্লিপিং সাইকেল নষ্ট হয়ে গেলে উৎকণ্ঠা এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি হতে পারে।

বেশি ঘুমানোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে হতে পারে ক্লান্তি। অত্যধিক ঘুমে দেহঘড়ির স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। অতিরিক্ত বিশ্রামের কারণে পেশী এবং স্নায়ু শক্ত হয়ে যায়। ফলে শারীরিক চাপ নিতে সমস্যা হয়।

অতিরিক্ত ঘুম হরমোনের উপরও প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনগুলো এর দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়। বেশি ক্লান্ত বোধ করার কারণে শরীরে খুব কম শক্তি থাকে, যার কারণে মানুষ সাধারণত জাঙ্ক ফুড বা উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া শুরু করে। এই সব কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।  যার ফলে ডায়েবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

বেশি ঘুমানোর খারাপ প্রভাব নারীদের ফার্টিলিটির উপরও পড়ে।গবেষণায় দেখা গেছে ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন থেরাপিতে  থাকা নারীরা যারা সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমান তাদের গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ৬ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমান তারা তাদের সন্তান ধারণের সম্ভাবনা ৪৬ শতাংশ এবং যারা ৯ থেকে ১১ ঘণ্টা ঘুমান তাদের সন্তান ধারণের সম্ভাবনা থাকে ৪৩ শতাংশ।