ডিজিটাল সাম্যসমাজ প্রতিষ্ঠায় নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে -টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেনে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা,
রোবটিক্স ও আইওটসিহ আগামীদিনের ডিজিটাল প্রযুক্তির চ্যালঞ্জে মোকাবিলায়
ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করার বিকল্প নেই। ডিজিটাল কানেক্টিভিটি হচ্ছে আগামী সভ্যতার
উন্নয়নের বাহন। তিনি নতুন প্রজন্মকে জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্যসমাজ প্রতিষ্ঠার
হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ডিজিটাল দক্ষতা সৃষ্টির আন্দোলন গড়ে তুলতে
সরকারের পাশাপাশি রোটারিয়ানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী গতকাল রাতে ঢাকায় রোটারি ক্লাব অভ আনন্দধারা, ঢাকার সপ্তম চাটার্ড
দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ
আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত জাতি
বিনির্মাণের লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করছেন। ২০০৮ সালে ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ
কর্মসূচি বিশ্বে আজ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বিশ্বে
পরিচিতি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল
সাম্যসমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন। তিনি বলেন,
২০৭১ এবং ২১০০ সালের বাংলাদেশ কী হবে সেই ভিশন নিয়েও তিনি এগোচ্ছেন। ভবিষ্যত
প্রজন্মকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে না পারলে তা বাস্তবায়ন করা যাবে না।
দেশের শতকরা ৬৫ ভাগ তরুণ জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল যুগের জনগোষ্ঠী হিসেবে সরকার
গড়ে তুলতে চায়, একথা উল্লখে করে, মোস্তাফা জব্বার বলেন, চ্যালঞ্জে মোকাবিলায়
প্রতিটি মানুষের ডিজিটাল দক্ষতার প্রয়োজন হবে। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর
দাঁড়িয়েও বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন,আইটিইউ এবং
ইউপিইউ এর সদস্যপদ অর্জনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক টেলিকম দুনিয়ায় বাংলাদেশের
সংযোগ স্থাপন করে ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করে গেছেন। তিনি বলেন,
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ
মহিরুহে রূপান্তর লাভ করেছে। তিনি বলেনে, অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করওে এরই
ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বের যোগ্যতা অর্জন করেছে।
রোটারিয়ান তারেক বোখারির অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর