ঢাকা ০৯:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৭:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মে ২০১৫
  • ৪৪৩ বার
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী ৩০ মে। ১৯৮১ সালের এই দিন ভোরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল সেনাসদস্যের নির্মম বুলেটের আঘাতে নিহত হন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জিয়াউর রহমান।
তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো ২৭ মে থেকে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত ১৫ দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। শনিবার ভোরে কেন্দ্রীয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে দলের পতাকা অর্ধনমিত, কালো ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। দিনভর কালোব্যাজ ধারণ করবেন দলের নেতা-কর্মীরা। ভোরে শেরেবাংলানগরে তার সমাধিতে কোরআনখানি, সকাল ১১টায় জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করা হবে। এ উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীসহ বিভিন্ন স্থানে মিলাদ মাহফিল, খতমে কোরআন ও তবারক বিতরণ করা হবে। এ ছাড়াও মসজিদে বিশেষ মোনাজাত, মন্দির ও গির্জায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
রাজধানীতে আজ দিনব্যাপী বিভিন্ন পয়েন্টে তবারক বিতরণ করবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। কেন্দ্রের মতো জেলা ও মহানগরীসহ সব ইউনিট কার্যালয়ে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে।
জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার বাগবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং ‘৫৫ সালে কমিশন লাভ করেন। ‘৭০ সালের অক্টোবরে নবগঠিত অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দায়িত্ব দিয়ে তাকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। ‘৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে অসহযোগ আন্দোলনরত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনী অতর্কিত আক্রমণ করলে হানাদারদের প্রতিহত করতে বীর জনতার পাশে এসে দাঁড়ান ইপিআর, পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনীর বাঙালি সৈনিকরা। সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে অষ্টম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক মেজর জিয়া বঙ্গবন্ধুর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেন। মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে স্বাধীনতা লাভের পর মেজর জিয়া বীরউত্তম খেতাব লাভ করেন। ‘৭৫ সালের ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ বা প্রধান নিযুক্ত হন। ‘৭৭ সালের ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। ‘৭৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
জিয়াউর রহমানের ৩৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, শহীদ জিয়ার অম্লান আদর্শ, দর্শন ও কর্মসূচি আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ হিসেবে আজ প্রতিষ্ঠিত। জীবদ্দশায় জাতির চরম ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমান দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। মহান স্বাধীনতার বীরোচিত ঘোষণা, স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং রাষ্ট্র গঠনে তাঁর অনন্য কীর্তির কথা আমরা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
তিনি বলেন, জাতীয় জীবনের চলমান সংকটে শহীদ জিয়ার প্রদর্শিত পথ ও আদর্শ বুকে ধারণ করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং জাতীয় স্বার্থ, দলীয় গণতন্ত্র এবং জনগণের ক্ষমতায়নে প্রয়োজন আজ ইস্পাতকঠিন গণঐক্য। রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাষ্ট্রনায়ক শহীদ জিয়ার সূচিত কর্মসূচি ও রাজনৈতিক দর্শন লালন করে এবার ৩০ মে মহান নেতার শাহাদতবার্ষিকী সর্বস্তরে ব্যাপকভাবে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের জন্য দল, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহসহ সকল স্তরের জনগণের প্রতি উদ্বাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী

আপডেট টাইম : ০৪:৫৭:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মে ২০১৫
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী ৩০ মে। ১৯৮১ সালের এই দিন ভোরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল সেনাসদস্যের নির্মম বুলেটের আঘাতে নিহত হন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জিয়াউর রহমান।
তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো ২৭ মে থেকে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত ১৫ দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। শনিবার ভোরে কেন্দ্রীয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে দলের পতাকা অর্ধনমিত, কালো ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। দিনভর কালোব্যাজ ধারণ করবেন দলের নেতা-কর্মীরা। ভোরে শেরেবাংলানগরে তার সমাধিতে কোরআনখানি, সকাল ১১টায় জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করা হবে। এ উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীসহ বিভিন্ন স্থানে মিলাদ মাহফিল, খতমে কোরআন ও তবারক বিতরণ করা হবে। এ ছাড়াও মসজিদে বিশেষ মোনাজাত, মন্দির ও গির্জায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
রাজধানীতে আজ দিনব্যাপী বিভিন্ন পয়েন্টে তবারক বিতরণ করবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। কেন্দ্রের মতো জেলা ও মহানগরীসহ সব ইউনিট কার্যালয়ে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে।
জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার বাগবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং ‘৫৫ সালে কমিশন লাভ করেন। ‘৭০ সালের অক্টোবরে নবগঠিত অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দায়িত্ব দিয়ে তাকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। ‘৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে অসহযোগ আন্দোলনরত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনী অতর্কিত আক্রমণ করলে হানাদারদের প্রতিহত করতে বীর জনতার পাশে এসে দাঁড়ান ইপিআর, পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনীর বাঙালি সৈনিকরা। সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে অষ্টম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক মেজর জিয়া বঙ্গবন্ধুর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেন। মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে স্বাধীনতা লাভের পর মেজর জিয়া বীরউত্তম খেতাব লাভ করেন। ‘৭৫ সালের ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ বা প্রধান নিযুক্ত হন। ‘৭৭ সালের ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। ‘৭৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
জিয়াউর রহমানের ৩৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, শহীদ জিয়ার অম্লান আদর্শ, দর্শন ও কর্মসূচি আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ হিসেবে আজ প্রতিষ্ঠিত। জীবদ্দশায় জাতির চরম ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমান দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। মহান স্বাধীনতার বীরোচিত ঘোষণা, স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং রাষ্ট্র গঠনে তাঁর অনন্য কীর্তির কথা আমরা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
তিনি বলেন, জাতীয় জীবনের চলমান সংকটে শহীদ জিয়ার প্রদর্শিত পথ ও আদর্শ বুকে ধারণ করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং জাতীয় স্বার্থ, দলীয় গণতন্ত্র এবং জনগণের ক্ষমতায়নে প্রয়োজন আজ ইস্পাতকঠিন গণঐক্য। রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাষ্ট্রনায়ক শহীদ জিয়ার সূচিত কর্মসূচি ও রাজনৈতিক দর্শন লালন করে এবার ৩০ মে মহান নেতার শাহাদতবার্ষিকী সর্বস্তরে ব্যাপকভাবে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের জন্য দল, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহসহ সকল স্তরের জনগণের প্রতি উদ্বাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।