চোরাইপথে বিএনপির নেতা নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, যে হাতে রক্তের দাগ, পোড়া মানুষের গন্ধ- আসন্ন বিএনপির কাউন্সিলে তাকে নেতৃত্ব থেকে বিদায় দিতে হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে বিএনপির যে কাউন্সিল হতে যাচ্ছে আশা করবো- তাতে নতুন নেতৃত্ব আসবে। যে হাতে রক্তের দাগ, পোড়া মানুষের গন্ধ কাউন্সিলে তাকে নেতৃত্ব থেকে বিদায় দেবে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীসহ সব যুদ্ধাপরাধীর শাস্তি কার্যকর করা দেশবাসী দেখতে চায়’ শীর্ষক এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু
স্বাধীনতা পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।
হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার তাদের কাউন্সিলের জন্য জায়গা দেয় না বলে বিএনপির অভিযোগ করেছিল। ঢাকার সবচেয়ে বড় স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জায়গা বরাদ্দ ছিল। কিন্তু বিএনপির তা পছন্দ হয়নি। কারণ সেখানে লক্ষাধিক মানুষের প্রয়োজন। এত লোক সমাগম করার ক্ষমতা বিএনপির নেই।
তিনি বলেন, শুনেছি জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্যসহ অনেকেই চেয়ারপারসন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র কেনার জন্য আগ্রহী ছিলেন,।কিন্ত তাদের হুমকি-ধমকি দেয়া হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, কাউন্সিলে সারা দেশ থেকে নেতাকর্মী ডেলিগেটসরা আসবে। খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে তাদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হতে পারে। তাই তড়িঘড়ি করে চোরাইপথে নেতা নির্বাচনের পথ বেছে নিয়েছে তারা।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত একইসাথে রাজনীতি করছে। শুধু তাই নয়, তারা পাকিস্তানের পতাকার জন্য যুদ্ধ করেছিল। বেগম খালেদা জিয়া তাদের মন্ত্রী বানিয়ে গাড়িতে দেশের পতাকা তুলে দিয়েছেন। যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগীরাও অপরাধী। তাদেরও বিচার হওয়া উচিত।
জাকির আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক ও সাবেক ছাত্র নেতা বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ সম্পাদক এম এ করিম প্রমুখ।