হাওর বার্তা ডেস্কঃ ১৬ মাস পর টেস্ট দলে ফিরেই ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেললেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এ এক রাজসিক প্রত্যাবর্তন।
ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো দেড়শ রান করলেন। কম যাননি পেসার তাসকিনও। দলের মূল পেস বোলিং স্পেশালিস্ট হয়ে ব্যাটিংয়ে তাণ্ডব ছড়ালেন। তিনিও খেললেন তার ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস।
এ দুই তারকার ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৪৬৮ রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ।
শেষ ব্যাটসম্যান এবাদত এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন মুজারাবানির বলে। ৮ বল খেললেও রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি।
অপরপ্রান্তে ২৭৮ বলে কাঁটায় কাঁটায় ১৫০ রানের ইনিংস নিয়ে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
১২৫তম ওভারে শেষ বলে আউট হন এবাদত। এর সঙ্গে হারারে টেস্টে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে ৪৬৮ রানের বিশাল লিড ছুড়ে দিল বাংলাদেশ।
নবম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ-তাসকিনের ইতিহাস গড়া জুটিতেই এ লিড দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ৭৫ রানে তাসকিন আউট হওয়ার আগে এ জুটি সংগ্রহ করে ১৯১ রান; যা নবম উইকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের জুটি।
২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গড়া ১৮৪ রানের জুটিকে পেছনে ফেললেন তারা।
একটা সময় ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে তুলে নিয়ে আসেন লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ। ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন লিটন। নার্ভাস নাইনটির বলি হন তিনি। লিটন ফেরার পর দ্রুত ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ২৭০ রানের মধ্যে ৮ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় টাইগাররা।
এরপর ফের বাংলাদেশের ত্রাতা হয়ে ২২ গজে আসেন তাসকিন আহমেদ। দলের ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামেন।
১১ বাউন্ডারিতে ৭৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন।
প্রথমদিনে ব্যাটিংয়ে নেমে করুণ অবস্থা হয় বাংলাদেশের। ব্যর্থ হন দলের তরুণরা। মাত্র ৮ রানেই বাংলাদেশ হারায় ২ উইকেটে।
সমর্থক ও নির্বাচকদের হতাশ করেন দলের তরুণরা।
সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত দলকে বিপদে ফেলে আসেন। এমনকি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও তরুণদের ব্যর্থতার সারিতে যোগ দেন। ৫ বলে ৩ রান করেই সাজঘরের পথ ধরেন সাইফ হাসান। ৮ বলে ২ রান করে ফেরেন ওয়ানডাউনে নামা শান্ত। সাকিব করেন মাত্র ৩ রান। ১১ রানে থামেন মুশফিকও।
এরপর কিছুটা ধরে খেলে ৬৪ বলে ২৩ রান করেন সাদমান। গারাভার বলে তিনি আউট হলে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। দলকে প্রথমে টেনে তুলেন তিনিই। ৯২ বলে ৭০ রানে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন তিনি।
এরপর দলের কাণ্ডারি হিসেবে আবির্ভাব ঘটে লিটন দাসের। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে শতরানের পার্টনারশিপ গড়েন। তিনি নিজে খেলেন ১৪৭ বলে ১৩ বাউন্ডারিতে ৯৫ রানের অনবদ্য ইনিংস।
সফরকারীরা আবারো ম্যাচে ফেরে। কিন্তু নার্ভাস নাইনটির ফাঁদে পড়ে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন লিটন। তিরিপানোর বলে সেঞ্চুরি থেকে ৫ রান দূরে থাকতেই সাজঘরে ফেরেন।
সবাইকে হতাশ করে সাইফের মতো ডাক মারেন মেহেদী হাসান মিরাজও। দল আবার বিপদে পড়ে।
তখন দলের দায়িত্ব চমৎকারভাবে পালন করেন রিয়াদ ও তাসকিন।
জিম্বাবুয়ের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করছেন ব্লেসিং মুজারাবানি। ২৯ ওভারে ৯৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন তিরিপানো ও নিয়াউচি। একটি করে পেয়েছেন গাভারা ও সুম্বা।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে নেমেছে জিম্বাবুয়ে। ১০ ওভারে ১৪ রান জমা করেছে তারা।