ঢাকা ১২:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটের চিতলমারী ও মোল্লাহাট উপজেলা সব ইউনিয়নে আ.লীগ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:২৬:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০১৬
  • ২৭১ বার

প্রথম ধাপে অনুষ্ঠেয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বাগেরহাটের চিতলমারী ও মোল্লাহাট উপজেলার সব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছে। এই দুই উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।

চিতলমারী উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ৫টিতেই আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিপরীতে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন নি। কেবল উপজেলার চিতলমারী সদর ও শিবপুর ইউনিয়নের দুইজন স্বতন্ত্র হিসাবে মনোনয়নপত্র দখিল করলেও যাচাই বাছাইয়ে তা বাদ পড়েছেন। ঐ প্রার্থীরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপিল করেননি। চিতলমারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাজিবুল বলেন, বর্তমানে উপজেলার বড়বাড়ীয়া, কলাতলা, হিজলা, শিবপুর, চিতলমারী সদর, চরবানিয়ারী ও সন্তোষপুর এই ৭টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মাত্র একজন করে প্রার্থী রয়েছেন। তারা সবাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী।

মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র অধিকারী বলেন, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে গাংনী ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ পূর্ণ না হওয়ায় সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। বাকি ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন হচ্ছে প্রথম দফায়।

৬ ইউনিয়নের ৪টিতেই একক প্রার্থী হিসাবে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিল আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এছাড়া উপজেলার গাওলা ইউনিয়নে দুজন এবং চুনখোলা ইউনিয়নের একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই বাছাইকালে কাগজপত্রে ত্রুটি এবং বিধি লঙ্ঘনের কারনে ওই তিনটি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল। তারাও আপিল করেননি।

ফলে মোল্লারহাট উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নে এসকে হায়দার মামুন, চুনখোলা ইউনিয়নে মুন্সী তানজিল হোসেন, কুলিয়া ইউনিয়নে বাবলু মোল্লা, গাওলা ইউনিয়নে শেখ রেজাউল কবির, কোদালিয়া ইউনিয়নে বিএসএমবি জামান সাইফুল ও আটজুড়ি ইউনিয়নে মশিউর রহমান মিয়া। প্রতি ইউনিয়নে একজন করে প্রার্থী থাকায় তারা বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন মল্লিক বলেন, ‘প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হবার পর স্ব স্ব রিটার্নিং কর্মকর্তা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করতে পারবেন।’

প্রথম বারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে এই দুই উপজেলার একটি ইউনিয়নেও চেয়ারম্যান পদে বিএনপি থেকে কোন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি। যদিও বিএনপি’র অভিযোগ সরকার দলীয় বাধা, হুমকি-ধামকি ও নানাবিধ চাপে এসব ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারে নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বাগেরহাটের চিতলমারী ও মোল্লাহাট উপজেলা সব ইউনিয়নে আ.লীগ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত

আপডেট টাইম : ০৯:২৬:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০১৬

প্রথম ধাপে অনুষ্ঠেয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বাগেরহাটের চিতলমারী ও মোল্লাহাট উপজেলার সব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছে। এই দুই উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।

চিতলমারী উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ৫টিতেই আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিপরীতে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন নি। কেবল উপজেলার চিতলমারী সদর ও শিবপুর ইউনিয়নের দুইজন স্বতন্ত্র হিসাবে মনোনয়নপত্র দখিল করলেও যাচাই বাছাইয়ে তা বাদ পড়েছেন। ঐ প্রার্থীরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপিল করেননি। চিতলমারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাজিবুল বলেন, বর্তমানে উপজেলার বড়বাড়ীয়া, কলাতলা, হিজলা, শিবপুর, চিতলমারী সদর, চরবানিয়ারী ও সন্তোষপুর এই ৭টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মাত্র একজন করে প্রার্থী রয়েছেন। তারা সবাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী।

মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র অধিকারী বলেন, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে গাংনী ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ পূর্ণ না হওয়ায় সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। বাকি ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন হচ্ছে প্রথম দফায়।

৬ ইউনিয়নের ৪টিতেই একক প্রার্থী হিসাবে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিল আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এছাড়া উপজেলার গাওলা ইউনিয়নে দুজন এবং চুনখোলা ইউনিয়নের একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই বাছাইকালে কাগজপত্রে ত্রুটি এবং বিধি লঙ্ঘনের কারনে ওই তিনটি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল। তারাও আপিল করেননি।

ফলে মোল্লারহাট উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নে এসকে হায়দার মামুন, চুনখোলা ইউনিয়নে মুন্সী তানজিল হোসেন, কুলিয়া ইউনিয়নে বাবলু মোল্লা, গাওলা ইউনিয়নে শেখ রেজাউল কবির, কোদালিয়া ইউনিয়নে বিএসএমবি জামান সাইফুল ও আটজুড়ি ইউনিয়নে মশিউর রহমান মিয়া। প্রতি ইউনিয়নে একজন করে প্রার্থী থাকায় তারা বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন মল্লিক বলেন, ‘প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হবার পর স্ব স্ব রিটার্নিং কর্মকর্তা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করতে পারবেন।’

প্রথম বারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে এই দুই উপজেলার একটি ইউনিয়নেও চেয়ারম্যান পদে বিএনপি থেকে কোন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি। যদিও বিএনপি’র অভিযোগ সরকার দলীয় বাধা, হুমকি-ধামকি ও নানাবিধ চাপে এসব ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারে নি।