বেসরকারি স্কুল-কলেজে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে নতুন নিয়মে। এ নিয়মে পরীক্ষা ভালো হলেই মিলতে পারি চাকরি। সম্প্রতি নতুন শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে আবেদন করা যাবে অাগামী ৬ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত।
জেনে রাখা ভালো, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হতে চাইলে প্রথমেই লাগবে শিক্ষক নিবন্ধন। যোগ্য প্রার্থীদের নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন দেয় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ এনটিআরসিএ। সম্প্রতি ত্রয়োদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এ প্রতিষ্ঠানটি।
যেভাবে আবেদন করতে হবে:
৬ মার্চ বিকেল ৩টা থেকে শুরু হবে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া। আর এ আবেদন চলবে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত। ntrca.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। প্রথমে পদ নির্বাচন করতে হবে। আবেদনের সময় নির্বাচন করতে হবে লিখিত পরীক্ষার ঐচ্ছিক বিষয় ও পরীক্ষাকেন্দ্র। আপলোড করতে হবে ৩০০ বাই ৩০০ পিক্সেল আকারের রঙিন ছবি এবং ৩০০ বাই ৮০ পিক্সেল আকারের স্ক্যান করা স্বাক্ষর। অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে নির্ভুলভাবে। আবেদনপত্র সাবমিটের পর দেওয়া হবে ইউজার আইডিসহ অ্যাপ্লিকেন্টস কপি। অ্যাপ্লিকেন্টস কপি ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে হবে। এটি সংরক্ষণ করতে হবে।
আবেদনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে টেলিটকের মাধ্যমে পরীক্ষা ফি বাবদ ৩৫০ টাকা জমা দিতে হবে। প্রথমে NTRCAUser ID লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
ফিরতি এসএমএসে প্রাপ্ত PIN-সহ NTRCAYesPIN লিখে আবার ১৬২২২ নম্বরে দ্বিতীয় এসএমএস পাঠাতে হবে। মোবাইলের ব্যালেন্স থেকে ৩৫০ টাকা কেটে ফিরতি এসএমএসে User ID এবং Password জানিয়ে দেওয়া হবে, পরবর্তী ধাপের জন্য এটি সংরক্ষণ করতে হবে। প্রাপ্ত টংবৎ ID এবং Password ব্যবহার করে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে হবে।
কবে হবে কোন পরীক্ষা :
স্কুল ও স্কুল-২ পর্যায়ের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ৬ মে এবং কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে ৭ মে। উভয় পরীক্ষার সময় সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত। স্কুল ও স্কুল-২ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা হবে ১২ আগস্ট এবং কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা হবে ১৩ আগস্ট। লিখিত পরীক্ষার সময় সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত।
নিবন্ধন পদ্ধতি :
দ্বাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা থেকেই পাল্টে গেছে পরীক্ষার ধরন। প্রথমে ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষা হবে এমসিকিউ বা বহু নির্বাচনী পদ্ধতিতে, সময় ১ ঘণ্টা। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানের প্রত্যেক অংশ থেকে ২৫টি করে প্রশ্ন আসবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য বরাদ্দ ১ নম্বর, প্রত্যেক ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে ০.৫০ নম্বর। পাস করতে হলে কমপক্ষে ৪০ নম্বর পেতে হবে।
প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠাতে হবে ঢাকা জিপিও বক্স নম্বর-১০৩, ঢাকা-১০০০ ঠিকানায়। লাগবে সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, স্নাতক (পাস বা সম্মান) পর্যায়ের নম্বরপত্র, নাগরিকত্ব সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষণ সনদ, সহকারী শিক্ষক পদে আবেদনকারীদের অনলাইনে আবেদনের সময় উল্লিখিত ঐচ্ছিক বিষয়ের সপক্ষে প্রমাণ হিসেবে স্নাতক পর্যায়ের প্রবেশপত্র। খামের ওপর ‘ত্রয়োদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার আবেদনপত্র’ লিখতে হবে।
যাচাই-বাছাই শেষে যোগ্য প্রার্থীরা অংশ নিতে পারবে লিখিত পরীক্ষায়। আবেদনের সময় প্রার্থীর নির্বাচিত ঐচ্ছিক বিষয়ে ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। সময় ৩ ঘণ্টা। লিখিত পরীক্ষায়ও পাস নম্বর ৪০। প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস পাওয়া যাবে ওয়েবসাইটে।
নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা :
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের এসএমএসের মাধ্যমে সময় জানিয়ে দেওয়া হবে। নির্ধারিত তারিখে সঙ্গে আনতে হবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে তৈরি করা হবে উপজেলা, জেলা ও জাতীয় মেধাতালিকা।
জেনে রাখা জরুরি :
শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে পরীক্ষায় অবতীর্ণ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না। আগে নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন।
পরীক্ষাসংক্রান্ত তথ্য জানার জন্য যোগাযোগ করা যাবে ০২-৫৫১৬৭৪১৭, ০২-৫৫১৬৭৪১৮, ০২-৫৫১৬৭৪১৯ এবং ০২-৫৫১৬৭৪২১ নম্বরে। সূত্র : কালের কণ্ঠ