ঢাকা ০১:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাশ্মীরের মর্যাদা ফেরাতে একাট্টা ওমর-মুফতিরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:২০:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১
  • ১৮৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে অনড় ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা তথা জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি।

বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের ওমর আবদুল্লাহ জানান, প্রধানমন্ত্রীকে তিনি জানিয়েছেন— ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট তারা মানেন না। ওই দিন ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে কাশ্মীরের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

ওমর আবদুল্লাহ বলেন, আমরা ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিষয়টি মানি না। তবে আমরা আইন নিজের হাতে তুলে নেব না। আমরা আদালতে এ বিষয়টি নিয়ে লড়ব।
জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচনের আগে জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। বৈঠকে সে কথা শুনে কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি প্রধানমন্ত্রী মোদি।

যে সিদ্ধান্তগুলো কাশ্মীরের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেছে, সেগুলো ফিরিয়ে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন ওমর। জম্মু ও কাশ্মীরকে সম্পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

অন্যদিকে পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের পর অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। তারা খুবই ক্ষুব্ধ। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি— যেভাবে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে, তা জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ মেনে নেবে না। তারা অপমানিত।’

পাশাপাশি মেহবুবা মুফতি আরও বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীর আন্দোলন চালিয়ে যাবে, যাতে শান্তিপূর্ণ এবং গণতান্ত্রিকভাবে ৩৭০ ধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা যায়। এটি আমাদের জাতিগত পরিচয়ের বিষয়।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সর্বদলীয় বৈঠকে ১০ জন কাশ্মীরি নেতা অংশ নেন। জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেখানে তিন বছরের সরাসরি শাসনের অবসান ঘটতে পারে- এমন জল্পনার মাঝেই অনুষ্ঠিত হলো এ বৈঠক। বৈঠকে নেতারা ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসন ফেরত চান।

সে অনুযায়ী, দলের পক্ষ থেকে বৈঠকে কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন।

এনডিটিভি জানায়, তিন ঘণ্টার এই বৈঠকে মোদি এ ব্যাপারে নেতাদের আশ্বাস দিয়ে বলেছেন— জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা সঠিক সময়েই ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

২০১৯ সালের আগস্টে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্তির মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন এবং বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে রাজ্যটিকে কেন্দ্র শাসিত দুটি আলাদা অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে ভাগ করেছিল ভারতের মোদি সরকার। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সেখানকার জনগণ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কাশ্মীরের মর্যাদা ফেরাতে একাট্টা ওমর-মুফতিরা

আপডেট টাইম : ০২:২০:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে অনড় ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা তথা জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি।

বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের ওমর আবদুল্লাহ জানান, প্রধানমন্ত্রীকে তিনি জানিয়েছেন— ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট তারা মানেন না। ওই দিন ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে কাশ্মীরের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

ওমর আবদুল্লাহ বলেন, আমরা ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিষয়টি মানি না। তবে আমরা আইন নিজের হাতে তুলে নেব না। আমরা আদালতে এ বিষয়টি নিয়ে লড়ব।
জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচনের আগে জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। বৈঠকে সে কথা শুনে কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি প্রধানমন্ত্রী মোদি।

যে সিদ্ধান্তগুলো কাশ্মীরের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেছে, সেগুলো ফিরিয়ে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন ওমর। জম্মু ও কাশ্মীরকে সম্পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

অন্যদিকে পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের পর অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। তারা খুবই ক্ষুব্ধ। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি— যেভাবে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে, তা জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ মেনে নেবে না। তারা অপমানিত।’

পাশাপাশি মেহবুবা মুফতি আরও বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীর আন্দোলন চালিয়ে যাবে, যাতে শান্তিপূর্ণ এবং গণতান্ত্রিকভাবে ৩৭০ ধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা যায়। এটি আমাদের জাতিগত পরিচয়ের বিষয়।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সর্বদলীয় বৈঠকে ১০ জন কাশ্মীরি নেতা অংশ নেন। জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেখানে তিন বছরের সরাসরি শাসনের অবসান ঘটতে পারে- এমন জল্পনার মাঝেই অনুষ্ঠিত হলো এ বৈঠক। বৈঠকে নেতারা ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসন ফেরত চান।

সে অনুযায়ী, দলের পক্ষ থেকে বৈঠকে কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন।

এনডিটিভি জানায়, তিন ঘণ্টার এই বৈঠকে মোদি এ ব্যাপারে নেতাদের আশ্বাস দিয়ে বলেছেন— জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা সঠিক সময়েই ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

২০১৯ সালের আগস্টে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্তির মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন এবং বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে রাজ্যটিকে কেন্দ্র শাসিত দুটি আলাদা অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে ভাগ করেছিল ভারতের মোদি সরকার। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সেখানকার জনগণ।