সালমানের বিরুদ্ধে বাজে মন্তব্য করা যাবে না, আদালতের রায়

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মর্যাদা ও আত্মসম্মান একজন ভদ্রলোকের কম গুরুত্বপূর্ণ নয়, শারীরিক সুরক্ষা এবং স্বাধীনতার চেয়ে’- কামাল রশিদ খানের বিরুদ্ধে দায়ের সালমান খানের মানহানির মামলায় পর্যবেক্ষণ করে বম্বে নগর দায়রা আদালত। বুধবার বিচারক সি ভি মারাথের রায় গেল ভাইজানের পক্ষেই।

অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে বিচারক জানান, আগামীদিনে সালমান খান বা তাঁর পরিবার ও প্রযোজনা সংস্থার কোনো শেয়ার হোল্ডারের বিরুদ্ধে কোনোরকম অপমানজনক, অবমাননাকর মন্তব্য, ভিডিও বা মানহানিকর কন্টেন্ট তৈরি বা প্রকাশ করতে পারবে না কেআরকে।

সালমান খান কামাল রাশিদ খানসহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ও ‘রাধে’ ছবি নিয়ে কোনো অবমাননাকর মন্তব্য থেকে বিরত থাকার জন্য।

সালমানের কৌঁসুলি প্রদীপ গান্দে জানান, ছবির মান নিয়ে মন্তব্য যে কেউ করতে পারেন- সেই বিষয়ে সালমানের আপত্তি নেই কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণ যেন না করা হয় যার কোনো ভিত্তি নেই।

চলচ্চিত্র সমালোচকদের আইনজীবী মনোজ গড়করি পালটা বলেন, সালমান খান পাবলিক ফিগার এবং সমালোচনা মাথা নত করে মেনে নিতে শিখতে হবে তাঁকে। একই সঙ্গে তিনি বলেন তাঁর মক্কেল শুধুমাত্র একটি ছবি সম্পর্কে নিজের ব্যক্তিগত মতামত ব্যক্ত করেছিলেন, তার বাইরে কিছুই বলা হয়নি। কেআরকের কৌঁসুলির যুক্তি ছিল, দেশের সংবিধান প্রত্যেককে বাকস্বাধীনতা দিয়েছে, এটা সকলের মৌলিক অধিকার। সালমান খান ভয় দেখিয়ে সেই অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন এই পিটিশনের মাধ্যমে।

বিচারক এই মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে সালমানের আবেদনকে নৈতিকতা দিয়েছেন। তিনি জানান, কারো নাম দিয়েই সেই ব্যক্তি সমাজে পরিচিত হয়, তাই সেই নামের গুরুত্ব সম্পত্তির চেয়ে বেশি, ব্যক্তির কাছে নিজের নাম মহামূল্যবান। অর্ডারের প্রতিলিপিতে জানানো হয়েছে, অভিনেতার আবেদন সাময়িকভাবে যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে আদালতের।

উল্লেখ্য, গত মাসের ২৫ তারিখ সালমান খানের পক্ষ থেকে আইনি নোটিশ পান কেআরকে, তারপরেও থামেননি কেআরকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নাম না করেও সালমান খানকে ‘বুডঢা’ থেকে শুরু করে নানারকম কটাক্ষ অব্যাহত রেখেছিলেন তিনি। এরপর কি নিজের অবস্থান বদলাবেন কেআরকে? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।

 

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর