ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় কঠোর বিধি-নিষেধ কার্যকর, মহানগরী ফাঁকা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুন ২০২১
  • ১৬১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের হার উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় খুলনার চার থানা এলাকায় সপ্তাহব্যাপী কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ কার্যকর করা হয়েছে।

শুক্রবার (৪ জুন) ভোর থেকে শুরু হওয়া এ বিধি-নিষেধ চলবে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সিন্ধান্ত অনুযায়ী এ বিধি-নিষেধ শুরু হয়েছে।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন রাইজিংবিডিকে এই তথ‌্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, কঠোর এ বিধি-নিষেধের প্রথম দিন সকাল থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়েছে প্রশাসন। ফলে মহানগরী ফাঁকা হয়ে পড়েছে। খুলনা মহানগরীর সদর, সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর থানা ও রূপসা উপজেলায় জরুরি সেবা ব্যতীত সব দোকানপাট, মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ রয়েছে।

ওসি জানান, শুক্রবার ভোর থেকেই সদর থানা পুলিশের দশটিরও অধিক টিম থানা এলাকায় টহলে রয়েছে। তারা পুলিশ ভ্যান, মোটরসাইকেল এবং বিভিন্নভাবে মার্কেট, শপিংমল ও কাঁচাবাজারগুলোতে নজরদারি করছে। বিশেষ করে সকলকে মাস্ক পরিধান নিশ্চিতকরণ এবং সামাজক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

শুক্রবার সকালে নগরীর বিভিন্ন কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। কেউ মানছেন না শারীরিক দূরত্ব। তবে শুক্রবার সরকারি ছুটি থাকায় নগরীর রাস্তাঘাটে লোক সমাগম কম রয়েছে।

এদিকে, খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক করোনা সংক্রমণ ও প্রতিরোধ কমিটি কর্তৃক আরোপিত বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক সহযোগিতা এবং মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি আরোপিত বিধি-নিষেধ মেনে চলার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বিধি-নিষেধে বলা হয়েছে— কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি দোকান বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান ও ন্যূনতম তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাকেনা করতে হবে। ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা রাখা যাবে। হোটেল-রেঁস্তোরাগুলো পার্সেল অথবা প্যাকেটজাত খাবার সরবরাহ করতে পারবে। সন্ধ্যার পর কোনো রাস্তার মোড়ে বা স্থানে একের অধিক ব্যক্তি অবস্থান করা বা একসঙ্গে চলাফেরা করতে পারবে না।

এছাড়া, রূপসা উপজেলার রূপসা খেয়াঘাট, আইচগাতি খেয়াঘাট এবং উপজেলার বাজার ও দোকানপাটগুলোতে জনসমাগম করা যাবে না। উপজেলা সদরের ওষুধ, কাঁচাবাজার ও খাদ্যসামগ্রীর দোকান ব্যতীত অন্য সব দোকান ও মার্কেট বন্ধ থাকবে। মাস্ক পরিধানসহ সব স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

এসব শর্তাবলী খুলনা মহানগর ও খুলনা জেলা সংশ্লিষ্ট উপজেলার সবাইকে কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে। অমান্য করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খুলনা জেলা প্রশাসনের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, খুলনা মহানগরীর সদরে করোনা সংক্রমণের হার শতকরা ৩৫, খালিশপুরে ২৫ এবং সোনাডাঙ্গাতে এই হার শতকরা ১৭। এছাড়া নগরীর পার্শ্ববর্তী রূপসা উপজেলাতে করোনা সংক্রমণের হার শতকরা ৪ দশমিক ১৮। কিন্তু অন্যান্য উপজেলাতে এই হার শতকরা প্রায় এক ভাগ। অন্যান্য স্থানে সংক্রমণের হার নিম্নগামী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনায় কঠোর বিধি-নিষেধ কার্যকর, মহানগরী ফাঁকা

আপডেট টাইম : ১১:২৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুন ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের হার উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় খুলনার চার থানা এলাকায় সপ্তাহব্যাপী কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ কার্যকর করা হয়েছে।

শুক্রবার (৪ জুন) ভোর থেকে শুরু হওয়া এ বিধি-নিষেধ চলবে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সিন্ধান্ত অনুযায়ী এ বিধি-নিষেধ শুরু হয়েছে।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন রাইজিংবিডিকে এই তথ‌্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, কঠোর এ বিধি-নিষেধের প্রথম দিন সকাল থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়েছে প্রশাসন। ফলে মহানগরী ফাঁকা হয়ে পড়েছে। খুলনা মহানগরীর সদর, সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর থানা ও রূপসা উপজেলায় জরুরি সেবা ব্যতীত সব দোকানপাট, মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ রয়েছে।

ওসি জানান, শুক্রবার ভোর থেকেই সদর থানা পুলিশের দশটিরও অধিক টিম থানা এলাকায় টহলে রয়েছে। তারা পুলিশ ভ্যান, মোটরসাইকেল এবং বিভিন্নভাবে মার্কেট, শপিংমল ও কাঁচাবাজারগুলোতে নজরদারি করছে। বিশেষ করে সকলকে মাস্ক পরিধান নিশ্চিতকরণ এবং সামাজক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

শুক্রবার সকালে নগরীর বিভিন্ন কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। কেউ মানছেন না শারীরিক দূরত্ব। তবে শুক্রবার সরকারি ছুটি থাকায় নগরীর রাস্তাঘাটে লোক সমাগম কম রয়েছে।

এদিকে, খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক করোনা সংক্রমণ ও প্রতিরোধ কমিটি কর্তৃক আরোপিত বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক সহযোগিতা এবং মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি আরোপিত বিধি-নিষেধ মেনে চলার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বিধি-নিষেধে বলা হয়েছে— কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি দোকান বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান ও ন্যূনতম তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাকেনা করতে হবে। ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা রাখা যাবে। হোটেল-রেঁস্তোরাগুলো পার্সেল অথবা প্যাকেটজাত খাবার সরবরাহ করতে পারবে। সন্ধ্যার পর কোনো রাস্তার মোড়ে বা স্থানে একের অধিক ব্যক্তি অবস্থান করা বা একসঙ্গে চলাফেরা করতে পারবে না।

এছাড়া, রূপসা উপজেলার রূপসা খেয়াঘাট, আইচগাতি খেয়াঘাট এবং উপজেলার বাজার ও দোকানপাটগুলোতে জনসমাগম করা যাবে না। উপজেলা সদরের ওষুধ, কাঁচাবাজার ও খাদ্যসামগ্রীর দোকান ব্যতীত অন্য সব দোকান ও মার্কেট বন্ধ থাকবে। মাস্ক পরিধানসহ সব স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

এসব শর্তাবলী খুলনা মহানগর ও খুলনা জেলা সংশ্লিষ্ট উপজেলার সবাইকে কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে। অমান্য করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খুলনা জেলা প্রশাসনের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, খুলনা মহানগরীর সদরে করোনা সংক্রমণের হার শতকরা ৩৫, খালিশপুরে ২৫ এবং সোনাডাঙ্গাতে এই হার শতকরা ১৭। এছাড়া নগরীর পার্শ্ববর্তী রূপসা উপজেলাতে করোনা সংক্রমণের হার শতকরা ৪ দশমিক ১৮। কিন্তু অন্যান্য উপজেলাতে এই হার শতকরা প্রায় এক ভাগ। অন্যান্য স্থানে সংক্রমণের হার নিম্নগামী।