ঢাকা ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলনবিলে বেড়াচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকেপাখির আনাগোনা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:০৩:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১
  • ১৯৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বৃহত্তর চলনবিল এলাকার কৃষি জমি থেকে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। এ সময়ে বেড়েছে পাখির আনাগোনা।

দেখা গেছে, চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠে-মাঠে দলবেঁধে উরে বেড়াচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে সাদা বক। চাষিরা ধান কেটে বাড়ি নিয়ে আসছেন। ঐসব খেতে পোকা-মাকড় খুঁজছে বক পাখিগুলো। এভাবে এক জমি থেকে আরেক জমি, এ মাঠ থেকে ও মাঠে উড়ে বেড়াচ্ছে।

তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম  বলেছেন, চলনবিল এলাকায় বছরে দুবার পাখিদের দেখা মেলে। বোরো মৌসুমে খেতের ধান কাটার পর পোকা-মাকড় খাওয়ার জন্য আসে। আরেকবার আসে শীতের শুরুতে চলনবিল থেকে পানি নেমে যাওয়ার সময়। তখন জলাশয়গুলোতে পুঁটি, খলসে, দারকিনাসহ প্রচুর পরিমাণে ছোট ছোট মাছ ও কীট পতঙ্গ পাওয়া যায়। এ দুটো মৌসুমে নানা প্রজাতির পাখি আশ্রয় নেয় চলনবিলে। কিন্তু পাখিদের সাথে সাথে পাখি শিকারিদের দৌরাত্ম্যও বেড়ে যায়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাখিদের অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করা অতীব জরুরি।

উপজেলা বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কামরুজ্জামান বলেন, কতিপয় লোকজন অলস সময়ে পাখি শিকার করে থাকেন। এখন সবাই কৃষি কাজে ব্যস্ত। নজরদারী অব্যাহত রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাউল করিম বলেন, পাখিদের রক্ষায় জনসচেতনতাই মুখ্য। কেউ পাখি শিকার করলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

চলনবিলে বেড়াচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকেপাখির আনাগোনা

আপডেট টাইম : ০৪:০৩:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বৃহত্তর চলনবিল এলাকার কৃষি জমি থেকে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। এ সময়ে বেড়েছে পাখির আনাগোনা।

দেখা গেছে, চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠে-মাঠে দলবেঁধে উরে বেড়াচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে সাদা বক। চাষিরা ধান কেটে বাড়ি নিয়ে আসছেন। ঐসব খেতে পোকা-মাকড় খুঁজছে বক পাখিগুলো। এভাবে এক জমি থেকে আরেক জমি, এ মাঠ থেকে ও মাঠে উড়ে বেড়াচ্ছে।

তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মর্জিনা ইসলাম  বলেছেন, চলনবিল এলাকায় বছরে দুবার পাখিদের দেখা মেলে। বোরো মৌসুমে খেতের ধান কাটার পর পোকা-মাকড় খাওয়ার জন্য আসে। আরেকবার আসে শীতের শুরুতে চলনবিল থেকে পানি নেমে যাওয়ার সময়। তখন জলাশয়গুলোতে পুঁটি, খলসে, দারকিনাসহ প্রচুর পরিমাণে ছোট ছোট মাছ ও কীট পতঙ্গ পাওয়া যায়। এ দুটো মৌসুমে নানা প্রজাতির পাখি আশ্রয় নেয় চলনবিলে। কিন্তু পাখিদের সাথে সাথে পাখি শিকারিদের দৌরাত্ম্যও বেড়ে যায়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাখিদের অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করা অতীব জরুরি।

উপজেলা বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কামরুজ্জামান বলেন, কতিপয় লোকজন অলস সময়ে পাখি শিকার করে থাকেন। এখন সবাই কৃষি কাজে ব্যস্ত। নজরদারী অব্যাহত রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাউল করিম বলেন, পাখিদের রক্ষায় জনসচেতনতাই মুখ্য। কেউ পাখি শিকার করলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।