ঢাকা ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুজিবনগর দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গঠনে দায়িত্ব পালন করুন: রাষ্ট্রপতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৭:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১
  • ১৮৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মুজিবনগর দিবসে দেশবাসীকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গঠনে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের আহবান জানিয়েছেন। আগামীকাল শনিবার (১৭ এপ্রিল) ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। দিবসটি উপলক্ষে তিনি দেশবাসী ও প্রবাসে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন। তিনি এই মাহেন্দ্রক্ষণে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, মহান স্বাধীনতার স্থপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে, যাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মুজিবনগর সরকার পরিচালনার মাধ্যমে নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়। তিনি সশ্রদ্ধচিত্তে মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী ৩০ লক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, শহিদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ও সমর্থনকারী সকলস্তরের জনগণ ও বিদেশি বন্ধুদেরকে স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চেও ভাষণের মাধ্যমে পাকিস্তানি শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুক্তিসংগ্রামের যে পথ চলা শুরু হয়, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের মাধ্যমে তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। মুজিবনগর সরকার গঠনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ১৯৭০ এর নির্বাচনে জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে একটি সাংবিধানিক সরকার আত্মপ্রকাশ করে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, এই সরকার গঠনের ফলে বিশ্ববাসী স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামরত বাঙালিদের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে। জনমত সৃষ্টি, শরণার্থীদের ব্যবস্থাপনা ও যুদ্ধের রণকৌশল নির্ধারণে মুজিবনগর সরকার যে ভূমিকা পালন করছে তা বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য গৌরবগাথার স্বাক্ষর হয়ে থাকবে।

আবদুল হামিদ বলেন, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মহান স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু সবসময় রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্ববাসীর কাছে রোল মডেল। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজও নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতি ২০৪১ সালে একটি উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে। এ জন্য ‘দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১’ প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে একটি সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সক্ষম হবে, ইনশাআল্লাহ। পালনের তিনি বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। সূত্র: বাসস

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মুজিবনগর দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গঠনে দায়িত্ব পালন করুন: রাষ্ট্রপতি

আপডেট টাইম : ০৯:৫৭:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মুজিবনগর দিবসে দেশবাসীকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গঠনে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের আহবান জানিয়েছেন। আগামীকাল শনিবার (১৭ এপ্রিল) ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। দিবসটি উপলক্ষে তিনি দেশবাসী ও প্রবাসে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন। তিনি এই মাহেন্দ্রক্ষণে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, মহান স্বাধীনতার স্থপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে, যাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মুজিবনগর সরকার পরিচালনার মাধ্যমে নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়। তিনি সশ্রদ্ধচিত্তে মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী ৩০ লক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, শহিদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ও সমর্থনকারী সকলস্তরের জনগণ ও বিদেশি বন্ধুদেরকে স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চেও ভাষণের মাধ্যমে পাকিস্তানি শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুক্তিসংগ্রামের যে পথ চলা শুরু হয়, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের মাধ্যমে তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। মুজিবনগর সরকার গঠনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ১৯৭০ এর নির্বাচনে জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে একটি সাংবিধানিক সরকার আত্মপ্রকাশ করে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, এই সরকার গঠনের ফলে বিশ্ববাসী স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামরত বাঙালিদের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে। জনমত সৃষ্টি, শরণার্থীদের ব্যবস্থাপনা ও যুদ্ধের রণকৌশল নির্ধারণে মুজিবনগর সরকার যে ভূমিকা পালন করছে তা বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য গৌরবগাথার স্বাক্ষর হয়ে থাকবে।

আবদুল হামিদ বলেন, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মহান স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু সবসময় রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্ববাসীর কাছে রোল মডেল। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজও নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতি ২০৪১ সালে একটি উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে। এ জন্য ‘দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১’ প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে একটি সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সক্ষম হবে, ইনশাআল্লাহ। পালনের তিনি বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। সূত্র: বাসস