হাওর বার্তা ডেস্কঃ নীলফামারী সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমানের বাসভবনে ৩০টি ঘুঘু পাখি বাসা বেঁধেছে। পাখিগুলো নিরাপদে সেখানে ডিম পেড়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমান জানান, ভবনের ৩০টি স্থানে বাসা বেঁধেছে ঘুঘু পাখি। এ কারণে প্রচণ্ড গরম থাকা সত্ত্বেও এসি ছাড়তে পাচ্ছি না। লিচু বাগানেও স্প্রে করতে পারছি না কীটনাশক। ওই পাখিগুলো যাতে স্বস্তিতে ডিম পাড়তে পারে এ জন্য বাসভবন ও এর প্রাঙ্গণজুড়ে কড়া সতর্ক পাহারা বসানো হয়েছে।
তিনি বলেন, অভিযোগ নিয়ে আসা দর্শনার্থীদের সঙ্গে গোলঘরে বসা হচ্ছে না। কেউ উচ্চস্বরে কথা বলছে না। লিচু বাগানে ফল এসেছে। এ সময় কীটনাশকও স্প্রে করতে হয়; কিন্তু আমি আমার লোকদের তাও মানা করেছি।
পাখিপ্রেমী পুলিশ সুপার আরও বলেন, ছেলেবেলায় এয়ারগান দিয়ে কত পাখি মেরেছি। অথচ এখন দেখুন পাখিদের জন্য খুব মায়া হচ্ছে। ওদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পরিবারসহ কষ্ট করছি।
এ নিয়ে কথা হয় পাখি ও পরিবেশবাদী সংগঠন সেতুবন্ধনের সভাপতি আলমগীর বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। আমরা সার্বিকভাবে এসপি সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমানকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করব।
জানা যায়, নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের রেলওয়ে অফিসার্স কলোনিতে প্রায় দুই একর জমির ওপর বিশাল বাসভবন পুলিশ সুপারের।
এর দক্ষিণে রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাব। আর পূর্বপাশে দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়কের (ডিএস) বাসভবন। মাঝে দিয়ে গেছে বিমানবন্দর সড়ক। ওই বাসভবনে স্ত্রী-সন্তানসহ পুলিশ সুপারের বসবাস।
ভবনের পুরো প্রাঙ্গণজুড়ে মনোরম বাগান। সেখানে রয়েছে বেশ কিছু লিচু ও বাহারি ফুলের গাছ। ভবনের সামনে গোলঘর, গেট, লিচু বাগান, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের সবখানে বাসা বেঁধেছে ঘুঘু পাখি।