হাওর বার্তা ডেস্কঃ আজ রোববার শেষ হচ্ছে প্রথম দফার লকডাউন, আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে অপেক্ষাকৃত কঠোর ও সর্বাত্মক লকডাউন। এর মাঝের ২ দিন, ১২ ও ১৩ এপ্রিল, প্রথম ধাপের ধারাবাহিকতায় চলবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (১১ এপ্রিল) ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে সাত দিনের লকডাউন বা বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। এই বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হবে ১১ এপ্রিল রাত ১২টায়।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছিলেন, রোববারের মধ্যে এ বিষয়ে একটা বার্তা আসছে। যেহেতু ১৪ তারিখ যে ঘরে থাকার ব্যবস্থাটা আসছে, সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন। এখন যে অবস্থাটা আছে এর চেয়ে তো বেশি ওপেন হওয়ার কথা নয়। এই অবস্থায় চলমান থাকার কথা।’
এই লকডাউনে ১১টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ৪ এপ্রিল জারি করা প্রজ্ঞাপনে। বিধিনিষেধ শুরু হলে গণপরিবহন না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েন খোলা থাকা সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মীরা। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন যাত্রীরা। অপরদিকে দোকান ও মার্কেট খুলে দেয়ার দাবিতে আন্দোলনে করেন মালিক-শ্রমিকরা।
৭ এপ্রিল সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে গণপরিবহন চালু করে দেয়া হয়। এরপর ৯ এপ্রিল থেকে আগামী ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে বলে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) নির্দেশনা জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সকালে সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের বিষয়ে সক্রিয় চিন্তা-ভাবনা করছে।
পরে শুক্রবার দুপুরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এবার কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে সরকার। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য এই লকডাউন দেয়া হবে। এ সময়ে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস এবং গণপরিবহন, শিল্পকারখানাও বন্ধ থাকবে।