ঢাকা ০৫:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যথা সারে যেসব খাবারে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
  • ৩০০ বার

মানুষ জাতি নানা ধরনের ব্যথায় ভোগে। মাথা্ব্যথা, বুক ব্যথা, পিঠে ব্যথা, হাতে ব্যথা, পায়ে ব্যথা থেকে শুরু করে কত রকম ব্যথা-ই মানুষকে আক্রান্ত করে। এসব ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য আমরা কত রকম ওষুধই ব্যবহার করি। তবে অনেকেই জানেন না যে নানা রকম খাবার আছে যেগুলো গ্রহণে এসব ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নিচে তেমনই কয়েকটি খাবার নিয়ে আলোচনা করা হলো :

চেরি : চেরি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এটি ব্যথা সারাতে সবচেয়ে উপকারী ওষুধ হিসেবে কাজ করে। জ্বালাপোড়া থেকে সৃষ্টি ব্যথা ডার্ক চেরি খেলে দূর হয় । তবে শুধু চেরিই নয়; ব্যথা প্রতিরোধকারক হিসেবে অন্যান্য কালো ফলও উপকারী । গ্যাস্টিকের ব্যথা ও অন্যান্য জ্বালা পোড়ার প্রদাহ থেকে সৃষ্ট ব্যথা ২০ টি চেরি ফল খেলেই অনেকটা কমে যাবে।

আদা :
আদা ব্যথা উপশমে করতে কার্যকরী। আদা কুচি পেট ব্যথা ও বমি বমি ভাব দূর করে। আবার বাতের ব্যথায় আদা কেটে মধু মিশিয়ে রোগীকে খেতে দিলেও উপকার পাওয়া যায়। আদাকে তিলের তেলে গরম করে ঐ তেল গাঁটে বা জোড়ে মালিশ করলেও উপকার পাওয়া যায়।

পেঁপে : পেঁপেতে এক ধরণের এনজাইম রয়েছে যেটা প্রদাহ দূরীকরণে সাহায্য করে। এছাড়া সার্জারির ব্যথা কমাতেও পেঁপে জুস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন শরীরের অন্য ব্যথা কমাতেও কাজ করে।

লাল মরিচ : লাল মরিচে ‘ক্যাপসাইসিন’ নামক একটি পদার্থ রয়েছে যেটির ব্যথা দূর করতে খুবই কার্যকর।

দই : এই খাবারটিতে মাইক্রো- ফ্লোরা নামে একটি উপাদান আছে যা প্রদাহ এবং বদহজমের কারণে সৃষ্ট গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

তিল বীজ : তিল বীজও ব্যথা সারাতে ভালো কাজ করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা মাথা ব্যথা ও মাংস পেশী ব্যথা অনায়াসে দূর করতে সাহায্য করে।

হলুদ : হলুদে কারকুমিন নামক এক প্রকার প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে । এটার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে প্রাকৃতিকভাবে এটা প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। আক্রান্ত স্থানে লাগানোর পর খুব দ্রুত এটা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া কেউ চাইলে এটাকে ডায়েটেও যুক্ত করতে পারে।

অ্যালোভেরা জুস : অ্যালোভেরা জেল পোড়ার ব্যথা উপশমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর এর জুসও আলসারের ব্যথা উপশমে কার্যকরী। দিনে ২বার অ্যালোভেরা পানে শুধুমাত্র এর উপসর্গই উপশম করে না; নিরাময়ের কাজও দ্রুত শেষ করে।

স্বাদু পানির মাছ : ব্যথা দূরীকরণে এ মাছগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই ধরনের মাছের মধ্যে হেরিং, ম্যাকরল , টুনা, স্যামন এবং সার্ডিন অন্যতম। এ মাছ ঘাড়ের ব্যথা উপশম ও পেশীর জয়েন্টকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এসব মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে; যা হার্ট ফাংশনের উন্নতি করে।

পুদিনা পাতা : পুদিনা পাতায় মেনথল নামে একটি উপাদান আছে যা ধনুষ্টংকার রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়া এর তেল পায়ের কজ্বি ও গোড়ালীতে মালিশে ব্যথা উপশম হয়। এমনকি মাথা ব্যথায় পুদিনা পাতা কপালে ঘষলেও ব্যথা উপশম হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ব্যথা সারে যেসব খাবারে

আপডেট টাইম : ১২:২৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

মানুষ জাতি নানা ধরনের ব্যথায় ভোগে। মাথা্ব্যথা, বুক ব্যথা, পিঠে ব্যথা, হাতে ব্যথা, পায়ে ব্যথা থেকে শুরু করে কত রকম ব্যথা-ই মানুষকে আক্রান্ত করে। এসব ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য আমরা কত রকম ওষুধই ব্যবহার করি। তবে অনেকেই জানেন না যে নানা রকম খাবার আছে যেগুলো গ্রহণে এসব ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নিচে তেমনই কয়েকটি খাবার নিয়ে আলোচনা করা হলো :

চেরি : চেরি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এটি ব্যথা সারাতে সবচেয়ে উপকারী ওষুধ হিসেবে কাজ করে। জ্বালাপোড়া থেকে সৃষ্টি ব্যথা ডার্ক চেরি খেলে দূর হয় । তবে শুধু চেরিই নয়; ব্যথা প্রতিরোধকারক হিসেবে অন্যান্য কালো ফলও উপকারী । গ্যাস্টিকের ব্যথা ও অন্যান্য জ্বালা পোড়ার প্রদাহ থেকে সৃষ্ট ব্যথা ২০ টি চেরি ফল খেলেই অনেকটা কমে যাবে।

আদা :
আদা ব্যথা উপশমে করতে কার্যকরী। আদা কুচি পেট ব্যথা ও বমি বমি ভাব দূর করে। আবার বাতের ব্যথায় আদা কেটে মধু মিশিয়ে রোগীকে খেতে দিলেও উপকার পাওয়া যায়। আদাকে তিলের তেলে গরম করে ঐ তেল গাঁটে বা জোড়ে মালিশ করলেও উপকার পাওয়া যায়।

পেঁপে : পেঁপেতে এক ধরণের এনজাইম রয়েছে যেটা প্রদাহ দূরীকরণে সাহায্য করে। এছাড়া সার্জারির ব্যথা কমাতেও পেঁপে জুস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন শরীরের অন্য ব্যথা কমাতেও কাজ করে।

লাল মরিচ : লাল মরিচে ‘ক্যাপসাইসিন’ নামক একটি পদার্থ রয়েছে যেটির ব্যথা দূর করতে খুবই কার্যকর।

দই : এই খাবারটিতে মাইক্রো- ফ্লোরা নামে একটি উপাদান আছে যা প্রদাহ এবং বদহজমের কারণে সৃষ্ট গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

তিল বীজ : তিল বীজও ব্যথা সারাতে ভালো কাজ করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা মাথা ব্যথা ও মাংস পেশী ব্যথা অনায়াসে দূর করতে সাহায্য করে।

হলুদ : হলুদে কারকুমিন নামক এক প্রকার প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে । এটার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে প্রাকৃতিকভাবে এটা প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। আক্রান্ত স্থানে লাগানোর পর খুব দ্রুত এটা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া কেউ চাইলে এটাকে ডায়েটেও যুক্ত করতে পারে।

অ্যালোভেরা জুস : অ্যালোভেরা জেল পোড়ার ব্যথা উপশমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর এর জুসও আলসারের ব্যথা উপশমে কার্যকরী। দিনে ২বার অ্যালোভেরা পানে শুধুমাত্র এর উপসর্গই উপশম করে না; নিরাময়ের কাজও দ্রুত শেষ করে।

স্বাদু পানির মাছ : ব্যথা দূরীকরণে এ মাছগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই ধরনের মাছের মধ্যে হেরিং, ম্যাকরল , টুনা, স্যামন এবং সার্ডিন অন্যতম। এ মাছ ঘাড়ের ব্যথা উপশম ও পেশীর জয়েন্টকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এসব মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে; যা হার্ট ফাংশনের উন্নতি করে।

পুদিনা পাতা : পুদিনা পাতায় মেনথল নামে একটি উপাদান আছে যা ধনুষ্টংকার রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়া এর তেল পায়ের কজ্বি ও গোড়ালীতে মালিশে ব্যথা উপশম হয়। এমনকি মাথা ব্যথায় পুদিনা পাতা কপালে ঘষলেও ব্যথা উপশম হয়।