ঢাকা ০৪:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বনবি এই সময়ে যেসব দোয়া বেশি পড়তেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:০০:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মার্চ ২০২১
  • ২০৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হিজরি চান্দ্রবর্ষের অষ্টম মাস হলো ‘শাবান’। এই মাসটি বিশেষ মর্যাদা ও ফজিলতপূর্ণ। রমজানের পরিপূর্ণ ফসল আহরণে রজব মাসের পর শাবান হচ্ছে মোক্ষম সময়।

রমজানের রোজার প্রস্তুতি হিসেবে হযরত মুহাম্মদ (সা.) শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, আমি নবী করিম (সা.)-কে শাবান মাসের মতো এত বেশি (নফল) রোজা অন্য কোনো মাসে রাখতে দেখিনি। এ মাসের অল্প কয়েক দিন ছাড়া বলতে গেলে পুরো মাসই তিনি রোজা রাখতেন। (তিরমিজি, হাদিস : ৭৩৭)

বরকতময় মাস রমজান পেতে আল্লাহর কাছে হযরত মুহাম্মদ (সা.) একাধিক দোয়া বেশি বেশি করতেন-

১.

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি শাবান ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।’

অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমাদের জন্য শাবান মাসকে বরকতময় করুন এবং আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন। অর্থাৎ রমজান পর্যন্ত হায়াত দান করুন।

২.

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা বাল্লিগনা রামাদান ওয়া আইন্না আলা সিয়ামিহি ওয়া ক্বিয়ামিহি।’

অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন এবং রমজানে (দিনের বেলায়) রোজা পালন এবং (রাতের জেগে) নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন।

রমজানে রহমত, বরকত, মাগফেরাত ও নাজাতের জন্য শাবান মাস থেকেই সালফে সালেহিনগণ বেশি বেশি ইসতেগফার করতেন। যা মানুষকে রমজানজুড়ে আমলে উদ্যোগী করে তোলে। সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, শাবান মাসজুড়ে নিজেদের ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত রাখা। রমজানের প্রস্তুতি নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বিশ্বনবি এই সময়ে যেসব দোয়া বেশি পড়তেন

আপডেট টাইম : ০৯:০০:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মার্চ ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হিজরি চান্দ্রবর্ষের অষ্টম মাস হলো ‘শাবান’। এই মাসটি বিশেষ মর্যাদা ও ফজিলতপূর্ণ। রমজানের পরিপূর্ণ ফসল আহরণে রজব মাসের পর শাবান হচ্ছে মোক্ষম সময়।

রমজানের রোজার প্রস্তুতি হিসেবে হযরত মুহাম্মদ (সা.) শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, আমি নবী করিম (সা.)-কে শাবান মাসের মতো এত বেশি (নফল) রোজা অন্য কোনো মাসে রাখতে দেখিনি। এ মাসের অল্প কয়েক দিন ছাড়া বলতে গেলে পুরো মাসই তিনি রোজা রাখতেন। (তিরমিজি, হাদিস : ৭৩৭)

বরকতময় মাস রমজান পেতে আল্লাহর কাছে হযরত মুহাম্মদ (সা.) একাধিক দোয়া বেশি বেশি করতেন-

১.

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি শাবান ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।’

অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমাদের জন্য শাবান মাসকে বরকতময় করুন এবং আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন। অর্থাৎ রমজান পর্যন্ত হায়াত দান করুন।

২.

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা বাল্লিগনা রামাদান ওয়া আইন্না আলা সিয়ামিহি ওয়া ক্বিয়ামিহি।’

অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন এবং রমজানে (দিনের বেলায়) রোজা পালন এবং (রাতের জেগে) নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন।

রমজানে রহমত, বরকত, মাগফেরাত ও নাজাতের জন্য শাবান মাস থেকেই সালফে সালেহিনগণ বেশি বেশি ইসতেগফার করতেন। যা মানুষকে রমজানজুড়ে আমলে উদ্যোগী করে তোলে। সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, শাবান মাসজুড়ে নিজেদের ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত রাখা। রমজানের প্রস্তুতি নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখা।