এবার নতুন ব্যবস্থাপনায় চলতি মাসের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে হজের প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম। সৌদি আরবে হজ চুক্তি শেষে মন্ত্রী-সচিব দেশে ফেরার পর এ বিষয়ে ঘোষণা দেবে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি ভারপ্রাপ্ত ধর্ম সচিব মো. আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রাক-নিবন্ধন শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান, সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হজ চুক্তি করতে সৌদি আরব সফরে আছেন।
সংশোধিত ‘জাতীয় হজনীতি-২০১৬’ অনুযায়ী প্রথমবারের মতো হজে গমনেচ্ছুদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর নিবন্ধন সম্পন্ন হবে।
রোববার চলতি বছর হজ পালনে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি সম্পন্ন হয়।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোটা বাড়ানোর প্রস্তাব থাকলেও চুক্তি অনুযায়ী এবারো ১ লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরব যেতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার বাকি ৯৬ হাজার ৭৫৮ জন বেসরকারিভাবে হজ পালন করবেন।
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) হবে।
গত ১১ জানুয়ারি হজ প্যাকেজ অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। প্যাকেজ-১ এ হজযাত্রীদের জন্য খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার ২৮ টাকা। প্যাকেজ-২ এর খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৪ হাজার ৯০৩ টাকা।
মন্ত্রিসভা একইসঙ্গে সংশোধিত ‘হজ ও ওমরাহ নীতিমালা, ২০১৬’ অনুমোদন দেয়। এ নীতিমালা অনুযায়ী, হজ গমনেচ্ছুরা ৩০ হাজার ৫০০ টাকায় বছরে চার মাস হজের অগ্রিম নিবন্ধন করতে পারবেন। টাকা জমা দিলে একটি নিবন্ধন নম্বর দেয়া হবে।
এরপর হজ প্যাকেজের পুরো টাকা পরিশোধের সময় বেঁধে দেয়া হবে। এ সময়ে অগ্রিম নিবন্ধনের ৩০ হাজার টাকা সমন্বয় করা হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুরো টাকা পরিশোধ করে হজযাত্রীরা একটি পিলগ্রিম আইডি পাবেন। এ আইডি পেলে হজে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে যাবে।
অগ্রিম নিবন্ধিত হজযাত্রীর সংখ্যা যদি কোটার চেয়ে বেশি হয়, যিনি আগে নিবন্ধন করেছেন তিনিই আগে হজে যাবেন বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে যারা সরকার ঘোষিত সময়ের মধ্যে প্যাকেজের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করতে পারবেন না তাদের নিবন্ধনের মেয়াদ পরবর্তী এক বছর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র (যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি) দিয়ে ইউনিয়ন তথ্য সেবাকেন্দ্র, হজ এজেন্সির অফিস, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিস, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও হজ অফিস থেকে অনলাইনে নিবন্ধন করা যাবে।