ঢাকা ০৭:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত ভুল অস্ত্রোপচার, যা ঘটেছিল প্রিয়াঙ্কা সঙ্গে সচিবালয়ে উপদেষ্টা হাসান আরিফের তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন সাবেক সচিব ইসমাইল রিমান্ডে অবশেষে বিল পাস করে ‘শাটডাউন’ এড়াল যুক্তরাষ্ট্র চাঁদাবাজদের ধরতে অভিযান শুরু হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার নির্বাচনের পর নিজের নিয়মিত কাজে ফিরে যাবেন ড. ইউনূস ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আহত ১৬ জুলাই আন্দোলন বিগত বছরগুলোর অনিয়মের সমষ্টি: ফারুকী তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ‘সড়কে নৈরাজ্যের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাব জড়িত

মোদির সঙ্গে আসছেন মমতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:০৫:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মে ২০১৫
  • ৪৩২ বার

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির আসন্ন বাংলাদেশ সফরে তার সঙ্গে আসছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলায় এক মিটিং শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন মমতা।

 

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে যাব, এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই। আগামী ৬ জুন নরেন্দ্র মোদি ঢাকা যাচ্ছেন, তার সঙ্গে আমিও যাব। যারা ভাবছেন, আমি যাব না, তাদের ধারণা ভুল।’

 

তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি সম্পাদনে মমতার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ২০১১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে ঢাকা সফরে আসতে অসম্মতি জানিয়েছিলেন মমতা। ফলে সে যাত্রায় তিস্তা চুক্তি আর হয়নি। কিন্তু তিস্তা চুক্তিতে মমতাকে রাজি করাতে বর্তমান বিজেপি সরকার সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে। তিস্তা চুক্তির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের যদি কোনো ক্ষতি হয়, সেজন্য রাজ্যের সেচ প্রকল্পের জন্য বিশেষ আর্থিক সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাবও করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গকে তিন হাজার কোটি রুপির বেশি অর্থ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।’

 

তবে কূটনৈতিক মহল জানিয়েছে, তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ইতিবাচক মনোভাব দেখালেও রাজনৈতিকভাবে এটা তার জন্য ভালো হবে না। ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। এ সময় তিস্তা চুক্তি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে। তাই মমতা চাইবেন না এখনই তিস্তা চুক্তি করতে।

 

বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর হবে ৩৬ ঘণ্টার। রাজধানীর বাইরে কোথাও যাবেন না তিনি। জাঁকজমক কোনো অনুষ্ঠানও থাকছে না। তবে সফরকালে মোদিকে সর্বোচ্চ অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত ঢাকা। ক্ষমতায় আসার পর এক বছরে ১৯টি দেশ সফর করেছেন মোদি। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভুটান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় গেছেন তিনি। কিন্তু ভারতের পার্লামেন্টে সীমান্ত চুক্তি বিল পাস বা তিস্তা চুক্তির কোনো একটি না করে তিনি ঢাকায় পা দিতে চাননি।

 

এদিকে মোদির সফরকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। আগামী ৬ জুন সকালে মোদি ঢাকায় পৌঁছাবেন। প্রথমে জাতীয় তিনি সাভারে স্মৃতিসৌধে গিয়ে ১৯৭১-এর স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। এর পর মোদি ধানমন্ডিতে জাতির জনক ও দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন, যেখানে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট তাকে সপরিবারে হত্যা হয়। তিনি বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছ থেকে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ির পক্ষে মৈত্রী সম্মাননা পদক নেবেন।

 

দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কিছুক্ষণ একান্ত বৈঠক করবেন নরেন্দ্র মোদি। এরপর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেবেন দুই প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। বৈঠক শেষে দুই শীর্ষ নেতার উপস্থিতিতে প্রায় এক ডজন সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর এবং বেশ কয়েকটি চুক্তির নবায়ন করা হবে। উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবগণ এসব চুক্তিতে নিজ নিজ দেশের পক্ষে স্বাক্ষর করবেন। নরেন্দ্র মোদির সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে সম্ভাব্য চুক্তিগুলো নিয়ে এখনো প্রস্তুতি চলছে। সম্ভাব্য চুক্তিগুলো নিয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক পর্যায়ে সমঝোতার চেষ্টাও অব্যাহত আছে। মোদির সফরের আগে যেসব সম্ভাব্য চুক্তির প্রস্তুতি ও সমঝোতা চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে, সেগুলোই স্বাক্ষরের জন্য শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। জানা গেছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা আরো বাড়াবেন তিনি। এ ছাড়া সমুদ্র অর্থনীতি, জাহাজশিল্প ও সুন্দরবন রক্ষা, কানেকটিভিটি বাড়ানোসহ বিভিন্ন ইস্যুতে চুক্তি স্বাক্ষর হবে।

 

সফরকালে নরেন্দ্র মোদি সোনারগাঁও হোটেলে অবস্থান করবেন। সেখানে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ মোদির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও মোদির দেখা করবেন বলে কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

 

মোদির সম্মানে সোনারগাঁও হোটেলেই নৈশভোজের আয়োজন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

সফরের শেষ দিন নরেন্দ্র মোদি ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করবেন। কূটনৈতিক পাড়ায় ভারতীয় হাইকমিশনের একটি দফতরও উদ্বোধন করবেন মোদি। তিনি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিক ও বিশিষ্টজনের উদ্দেশে বক্তৃতা দেবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ও তরুণদের সামনে ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব নিয়েও কথা বলবেন মোদি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

মোদির সঙ্গে আসছেন মমতা

আপডেট টাইম : ০৪:০৫:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মে ২০১৫

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির আসন্ন বাংলাদেশ সফরে তার সঙ্গে আসছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলায় এক মিটিং শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন মমতা।

 

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে যাব, এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই। আগামী ৬ জুন নরেন্দ্র মোদি ঢাকা যাচ্ছেন, তার সঙ্গে আমিও যাব। যারা ভাবছেন, আমি যাব না, তাদের ধারণা ভুল।’

 

তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি সম্পাদনে মমতার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ২০১১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে ঢাকা সফরে আসতে অসম্মতি জানিয়েছিলেন মমতা। ফলে সে যাত্রায় তিস্তা চুক্তি আর হয়নি। কিন্তু তিস্তা চুক্তিতে মমতাকে রাজি করাতে বর্তমান বিজেপি সরকার সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে। তিস্তা চুক্তির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের যদি কোনো ক্ষতি হয়, সেজন্য রাজ্যের সেচ প্রকল্পের জন্য বিশেষ আর্থিক সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাবও করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গকে তিন হাজার কোটি রুপির বেশি অর্থ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।’

 

তবে কূটনৈতিক মহল জানিয়েছে, তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ইতিবাচক মনোভাব দেখালেও রাজনৈতিকভাবে এটা তার জন্য ভালো হবে না। ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। এ সময় তিস্তা চুক্তি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে। তাই মমতা চাইবেন না এখনই তিস্তা চুক্তি করতে।

 

বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর হবে ৩৬ ঘণ্টার। রাজধানীর বাইরে কোথাও যাবেন না তিনি। জাঁকজমক কোনো অনুষ্ঠানও থাকছে না। তবে সফরকালে মোদিকে সর্বোচ্চ অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত ঢাকা। ক্ষমতায় আসার পর এক বছরে ১৯টি দেশ সফর করেছেন মোদি। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভুটান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় গেছেন তিনি। কিন্তু ভারতের পার্লামেন্টে সীমান্ত চুক্তি বিল পাস বা তিস্তা চুক্তির কোনো একটি না করে তিনি ঢাকায় পা দিতে চাননি।

 

এদিকে মোদির সফরকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। আগামী ৬ জুন সকালে মোদি ঢাকায় পৌঁছাবেন। প্রথমে জাতীয় তিনি সাভারে স্মৃতিসৌধে গিয়ে ১৯৭১-এর স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। এর পর মোদি ধানমন্ডিতে জাতির জনক ও দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন, যেখানে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট তাকে সপরিবারে হত্যা হয়। তিনি বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছ থেকে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ির পক্ষে মৈত্রী সম্মাননা পদক নেবেন।

 

দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কিছুক্ষণ একান্ত বৈঠক করবেন নরেন্দ্র মোদি। এরপর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেবেন দুই প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। বৈঠক শেষে দুই শীর্ষ নেতার উপস্থিতিতে প্রায় এক ডজন সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর এবং বেশ কয়েকটি চুক্তির নবায়ন করা হবে। উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবগণ এসব চুক্তিতে নিজ নিজ দেশের পক্ষে স্বাক্ষর করবেন। নরেন্দ্র মোদির সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে সম্ভাব্য চুক্তিগুলো নিয়ে এখনো প্রস্তুতি চলছে। সম্ভাব্য চুক্তিগুলো নিয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক পর্যায়ে সমঝোতার চেষ্টাও অব্যাহত আছে। মোদির সফরের আগে যেসব সম্ভাব্য চুক্তির প্রস্তুতি ও সমঝোতা চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে, সেগুলোই স্বাক্ষরের জন্য শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। জানা গেছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা আরো বাড়াবেন তিনি। এ ছাড়া সমুদ্র অর্থনীতি, জাহাজশিল্প ও সুন্দরবন রক্ষা, কানেকটিভিটি বাড়ানোসহ বিভিন্ন ইস্যুতে চুক্তি স্বাক্ষর হবে।

 

সফরকালে নরেন্দ্র মোদি সোনারগাঁও হোটেলে অবস্থান করবেন। সেখানে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ মোদির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও মোদির দেখা করবেন বলে কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

 

মোদির সম্মানে সোনারগাঁও হোটেলেই নৈশভোজের আয়োজন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

সফরের শেষ দিন নরেন্দ্র মোদি ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করবেন। কূটনৈতিক পাড়ায় ভারতীয় হাইকমিশনের একটি দফতরও উদ্বোধন করবেন মোদি। তিনি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিক ও বিশিষ্টজনের উদ্দেশে বক্তৃতা দেবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ও তরুণদের সামনে ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব নিয়েও কথা বলবেন মোদি।