হাওর বার্তা ডেস্কঃ ছড়া অমর ছড়ায় জয়, মানে না বাধা পরাজয়- এ স্লোগানকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জে বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) থেকে তিন দিনব্যাপী ১৭তম ছড়া উৎসব ও চন্দ্রাবতী মেলা শুরু হয়েছে। শহরের আখড়াবাজার সেতু সংলগ্ন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে সকালে উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব শওকত আলী।
এতে জেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার লেখক ও সংস্কৃতিসেবীরা অংশ নেন। সকাল থেকেই লেখক ও সংস্কৃতিকর্মীদের ছড়া, আড্ডায় মুখরিত হয়ে উঠে শহরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বর। এক পর্যায়ে তা পরিণত হয় লেখকদের বিরাট সমাবেশে।
সংস্কৃতিকর্মীদের মিলনামেলা দেখা অভিভূত উৎসবের প্রধান অতিথি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব শওকত আলী বলেন, এ ধরণের উৎসব সত্যি ব্যতিক্রমধর্মী। এটি ছড়া কিংবা সাহিত্যচর্চার জন্য খুবই দরকার। এটি সংস্কৃতি বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এ ধরণের উৎসব সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার।
শোভাযাত্রার সামনে ছিল স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলার আয়োজন। এটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে উৎসব মঞ্চের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
ছড়া উৎসব ও চন্দ্রাবতী মেলা সম্পর্কে ছড়া উৎসব কমিটির আহ্বায়ক আহমেদ উল্লাহ জানান, তারা ১৭ বছর ধরে উৎসবটি আয়োজন করে আসছেন। এই উৎসব আয়োজনের ফলে কিশোরগঞ্জে অনেক লেখক ও ছড়াকার তৈরি হয়েছে। তাছাড়া একটি জেলায় সুস্থ একটি সাংস্কৃতিক আবহ সৃষ্টি হয়েছে।
শোভাযাত্রা শেষে শুরু হয় আলোচনা সভা ও ছড়া পাঠের আসর। ছড়া উৎসব কমিটির আহ্বায়ক আহমেদ উল্লাহ’র সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবুল কাশেম।
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব শওকত আলী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভার ফাঁকে ফাঁকে চলে ছড়া পাঠও।
টানা তিন দিনব্যাপী উৎসবে রয়েছে সাহিত্যের নানা বিষয়ে আলোচনা, স্থানীয় লেখকদের প্রকাশিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, আবৃত্তি, গান, নাটকসহ আরো নানা আয়োজন। উৎসব চলবে শনিবার (৬ মার্চ) পর্যন্ত।