ঢাকা ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:২৭:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১
  • ১৬৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ টানা এক বছরেরও বেশি সময় পর আগামী ৩০ মার্চ দেশের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তে অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। মহামারির কারণে দেশের শিক্ষা খাতে যে ক্ষতি হয়েছে, আশা করা যায়, সংশ্লিষ্ট সবার প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীরা সেই ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।

সরাসরি শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে কিনা, এ নিয়ে শিশুশিক্ষার্থীদের অভিভাবকের প্রশ্নের শেষ নেই।

এমন অবস্থায় এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণা এলো। যেহেতু এখনই শিশুদের টিকার আওতায় আনা যাচ্ছে না, এমন অবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সরাসরি শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের আওতায় আনা কতটা যৌক্তিক, তা পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে।

উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হলেও পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলবে ২৪ মে। এর এক সপ্তাহ আগে ১৭ মে খুলে দেওয়া হবে আবাসিক হলগুলো।

হলে অবস্থান নির্বিঘ্ন করতে এ সময়ের মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদানের কথা রয়েছে। এ ছাড়া স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা খোলার আগে শিক্ষক-কর্মচারীদের টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করারও কথা রয়েছে। এসব কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।

জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও এখন শুধু পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী বা পিইসি পরীক্ষার্থীরা সপ্তাহে ৫ দিন ক্লাসে যাবে। এ ছাড়া দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী বা এসএসসি-দাখিল এবং এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার্থীরা সপ্তাহে ৬ দিনই স্কুলে যাবে। পুরো রমজানে শ্রেণি পাঠ অব্যাহত থাকবে। শুধু ছুটি থাকবে ঈদের।

পিইসি, এসএসসি, এইচএসসি-এসব পরীক্ষার্থী যাতে সফলভাবে উত্তীর্ণ হতে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সরাসরি নিয়মিত শ্রেণিকক্ষের পাঠদানে গুরুত্ব প্রদান করতে যাচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে তাতে সন্দেহ নেই।

কিন্তু এতে দেশের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর যে স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি হবে তা কাটিয়ে ওঠার উপায় কী? প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন করে ক্লাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অভিভাবকদের সতর্ক দৃষ্টির আওতায় থাকার পরও শিশুরা প্রতিনিয়ত নানা ধরনের ভুল করে থাকে। প্রশ্ন হলো, এই বয়সি শিশুশিক্ষার্থীরা ঘরের বাইরে বের হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কতটা সক্ষম হবে।

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে টিকা প্রদান কার্যক্রম চলমান থাকলেও কখন এ মহামারি কাক্সিক্ষত মাত্রায় নিয়ন্ত্রণে আসবে, বিশেষজ্ঞরা এখনই তা বলতে পারছেন না। জানা গেছে, কেবল ভারতেই করোনার সাত সহস্রাধিক মিউটেশনের সন্ধান মিলেছে। এসব তথ্য বিবেচনায় নিলেই স্পষ্ট হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে ঘাটতি হলে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত

আপডেট টাইম : ০৭:২৭:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ টানা এক বছরেরও বেশি সময় পর আগামী ৩০ মার্চ দেশের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তে অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। মহামারির কারণে দেশের শিক্ষা খাতে যে ক্ষতি হয়েছে, আশা করা যায়, সংশ্লিষ্ট সবার প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীরা সেই ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।

সরাসরি শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে কিনা, এ নিয়ে শিশুশিক্ষার্থীদের অভিভাবকের প্রশ্নের শেষ নেই।

এমন অবস্থায় এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণা এলো। যেহেতু এখনই শিশুদের টিকার আওতায় আনা যাচ্ছে না, এমন অবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সরাসরি শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের আওতায় আনা কতটা যৌক্তিক, তা পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে।

উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হলেও পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলবে ২৪ মে। এর এক সপ্তাহ আগে ১৭ মে খুলে দেওয়া হবে আবাসিক হলগুলো।

হলে অবস্থান নির্বিঘ্ন করতে এ সময়ের মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদানের কথা রয়েছে। এ ছাড়া স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা খোলার আগে শিক্ষক-কর্মচারীদের টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করারও কথা রয়েছে। এসব কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।

জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও এখন শুধু পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী বা পিইসি পরীক্ষার্থীরা সপ্তাহে ৫ দিন ক্লাসে যাবে। এ ছাড়া দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী বা এসএসসি-দাখিল এবং এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার্থীরা সপ্তাহে ৬ দিনই স্কুলে যাবে। পুরো রমজানে শ্রেণি পাঠ অব্যাহত থাকবে। শুধু ছুটি থাকবে ঈদের।

পিইসি, এসএসসি, এইচএসসি-এসব পরীক্ষার্থী যাতে সফলভাবে উত্তীর্ণ হতে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সরাসরি নিয়মিত শ্রেণিকক্ষের পাঠদানে গুরুত্ব প্রদান করতে যাচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে তাতে সন্দেহ নেই।

কিন্তু এতে দেশের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর যে স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি হবে তা কাটিয়ে ওঠার উপায় কী? প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন করে ক্লাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অভিভাবকদের সতর্ক দৃষ্টির আওতায় থাকার পরও শিশুরা প্রতিনিয়ত নানা ধরনের ভুল করে থাকে। প্রশ্ন হলো, এই বয়সি শিশুশিক্ষার্থীরা ঘরের বাইরে বের হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কতটা সক্ষম হবে।

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে টিকা প্রদান কার্যক্রম চলমান থাকলেও কখন এ মহামারি কাক্সিক্ষত মাত্রায় নিয়ন্ত্রণে আসবে, বিশেষজ্ঞরা এখনই তা বলতে পারছেন না। জানা গেছে, কেবল ভারতেই করোনার সাত সহস্রাধিক মিউটেশনের সন্ধান মিলেছে। এসব তথ্য বিবেচনায় নিলেই স্পষ্ট হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে ঘাটতি হলে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।