ঢাকা ০৬:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেমিকাকে ধর্ষণের পর কুপিয়ে জখম, যুবকের যাবজ্জীবন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:০৮:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১
  • ১৫৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বরগুনায় প্রেমিকাকে (২১) ধর্ষণের পর কুপিয়ে জখমের দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন। দণ্ডিত ওই যুবকের নাম মো. শাহিন (২৫)। তিনি বরগুনা পৌরসভার উকিল পট্টি এলাকার মরহুম সফেজ উদ্দীন আহমেদের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ৯ জুন রাতে প্রেমের সম্পর্ক থাকা ওই নারীকে বরগুনার ধূপতি এলাকার খাকদোন নদীর তীরে নিয়ে ধর্ষণের পর কুপিয়ে জখম করে মৃত ভেবে ফেলে যায় শাহিন। এ ঘটনার পরের দিন সকালে ওই নারীকে নদীর তীর থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। পরে ওই দিন ১০ জুন নির্যাতিত ওই নারীর বাবা বাদি হয়ে বরগুনা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে এ মামলার তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর শাহিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, সকল প্রকার তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে শাহিনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। উচ্চ আদালতেও এ আদেশ বহাল থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

প্রেমিকাকে ধর্ষণের পর কুপিয়ে জখম, যুবকের যাবজ্জীবন

আপডেট টাইম : ০৭:০৮:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মার্চ ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বরগুনায় প্রেমিকাকে (২১) ধর্ষণের পর কুপিয়ে জখমের দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন। দণ্ডিত ওই যুবকের নাম মো. শাহিন (২৫)। তিনি বরগুনা পৌরসভার উকিল পট্টি এলাকার মরহুম সফেজ উদ্দীন আহমেদের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ৯ জুন রাতে প্রেমের সম্পর্ক থাকা ওই নারীকে বরগুনার ধূপতি এলাকার খাকদোন নদীর তীরে নিয়ে ধর্ষণের পর কুপিয়ে জখম করে মৃত ভেবে ফেলে যায় শাহিন। এ ঘটনার পরের দিন সকালে ওই নারীকে নদীর তীর থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। পরে ওই দিন ১০ জুন নির্যাতিত ওই নারীর বাবা বাদি হয়ে বরগুনা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে এ মামলার তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর শাহিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, সকল প্রকার তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে শাহিনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। উচ্চ আদালতেও এ আদেশ বহাল থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।