ঢাকা ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজারে চার পা ও তিন হাতবিশিষ্ট অদ্ভুত শিশুর জন্ম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১
  • ১৯০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চার পা ও তিন হাতবিশিষ্ট এক শিশুর জন্ম হয়েছে। তবে জন্মের কয়েক ঘণ্টা পরই মারা গেছে শিশুটি।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে মহেশখালীর ইসরাত জাহান (২০) নামের এক গৃহিণী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম দেন। হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. শিরিন আক্তার জাহান অস্ত্রোপচার করেন।

শিশুর বাবা জহির বলেন, ‘গত ২৫ জানুয়ারি স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হলে প্রথমে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত সেবার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠান। তবে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে অপারেশনের মাধ্যমে স্ত্রীর ডেলিভারি হয়। অস্ত্রোপচারে শিশুটি পৃথিবীর আলো দেখলেও আশ্চর্যজনক যে আমার সন্তানটি চার পা ও তিন হাতবিশিষ্ট। অদ্ভুত অসুস্থ শিশুটিকে আইসিইউতে রাখলেও দুপুরের দিকে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে সে চলে যায়।’

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রফিক উছ সালেহীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে শিশুটির জন্ম হয়। মাত্র ২৮ সপ্তাহ বয়সী হওয়ায় তাকে বাঁচানো যায়নি বলে ধারণা আমাদের।’

 

কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ সোলাইমান কাসেমী বলেন, ‘এটা আল্লাহর কুদরত। এটা দিয়ে আল্লাহ কোনো একটি শিক্ষার নিদর্শন দিয়েছেন নিশ্চয়ই।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কক্সবাজারে চার পা ও তিন হাতবিশিষ্ট অদ্ভুত শিশুর জন্ম

আপডেট টাইম : ০৬:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চার পা ও তিন হাতবিশিষ্ট এক শিশুর জন্ম হয়েছে। তবে জন্মের কয়েক ঘণ্টা পরই মারা গেছে শিশুটি।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে মহেশখালীর ইসরাত জাহান (২০) নামের এক গৃহিণী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম দেন। হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. শিরিন আক্তার জাহান অস্ত্রোপচার করেন।

শিশুর বাবা জহির বলেন, ‘গত ২৫ জানুয়ারি স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হলে প্রথমে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত সেবার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠান। তবে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে অপারেশনের মাধ্যমে স্ত্রীর ডেলিভারি হয়। অস্ত্রোপচারে শিশুটি পৃথিবীর আলো দেখলেও আশ্চর্যজনক যে আমার সন্তানটি চার পা ও তিন হাতবিশিষ্ট। অদ্ভুত অসুস্থ শিশুটিকে আইসিইউতে রাখলেও দুপুরের দিকে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে সে চলে যায়।’

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রফিক উছ সালেহীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে শিশুটির জন্ম হয়। মাত্র ২৮ সপ্তাহ বয়সী হওয়ায় তাকে বাঁচানো যায়নি বলে ধারণা আমাদের।’

 

কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ সোলাইমান কাসেমী বলেন, ‘এটা আল্লাহর কুদরত। এটা দিয়ে আল্লাহ কোনো একটি শিক্ষার নিদর্শন দিয়েছেন নিশ্চয়ই।’