হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্য এক সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। এ সময় প্রার্থী আশরাফ উদ্দিনের অফিস ভাংচুর করা হয়। রোববার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ভৈরব পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ফজলুর রহমান ও সাবেক কাউন্সিলর ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফ উদ্দিনের সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারণাকালে ঘটনাটি ঘটে। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে তারা একই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সম্পর্কে তারা চাচা-ভাতিজা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
উভয়পক্ষের আহতরা হলেন- আজাদুল ইসলাম (৫৫), ফজর আলী (৩০), জাহাঙ্গীর (২৫), আকরাম (৩২), আকাশ (২৩) ফরিদ (৫০), সুরুজ মিয়া (৩০), সাব্বির (২৪), হেলিম (২২), জামাল (২০) সোহেল (২৮), জাকির (৩২)। গুরুতর আহত ( অব.) সৈনিক আজাদুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। অন্য আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বেলা ১১টার দিকে দুই প্রার্থী এলাকায় প্রচারণার সময় উভয়পক্ষের সমর্থকরা তর্কে লিপ্ত হয়। তারা এ সময় মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। এ সময় এক পর্যায়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু সমর্থক আশরাফ উদ্দিনের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা চালিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছবি, চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে।
তবে প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থী ফজলুর রহমান বলেছেন, অফিসে আমার সমর্থকরা হামলা ও ভাংচুর করেনি। বরং তারা পাথর নিক্ষেপ করে আমার সমর্থকদের আহত করেছে।
তার দাবি আশরাফ উদ্দিনের সমর্থকরা নিজেরা এসব ভাংচুর করে এর দায় আমার ওপর চাপাচ্ছে। তারা আমাকে নির্বাচন ঠেকাতে মামলা দেয়ার উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটায়।
আশরাফ উদ্দিন বলেন, আমি আজ (রোববার) সকালে এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রচার করছিলাম। আমার প্রতিপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে একই স্থানে সমর্থক নিয়ে এসে অযথা ঝগড়া শুরু করে। এ সময় আমি বাধা দিলে তাদের সমর্থকরা দা, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার আওয়ামী লীগ অফিস, ছবি, চেয়ার-টেবিল ভেঙে রাস্তায় ফেলে দেয়। তারা বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও জিল্লুর রহমানের ছবি পর্যন্ত ভাংচুর করে।
তিনি বলেন, আমার সমর্থক অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক আজাদুলকে মেরে গুরুতর আহত করেছে।
ভৈরব থানার ওসি মো. শাহিন জানান, দুজন প্রার্থীই একে অপরের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে। আশরাফ উদ্দিন মনোনয়ন জমা দেয়ার আগেই নির্বাচনী অফিস করা সঠিক কাজ করেনি। ঝগড়া সংঘর্ষ করে এখন বলছে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিস। ফজলুর রহমান তারই চাচা হয়। ভৈরবের অন্য ১১টি ওয়ার্ডে প্রার্থীদের মধ্য প্রচারণায় কোনো ঝামেলা নেই। অথচ তারা প্রতিদিন ঝগড়া করে।
তিনি বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।