রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, সন্ত্রাস ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সব গণমাধ্যমকে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, নদী ও পরিবেশের মতো শিশু ও নারীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করতে হবে।
শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে দৈনিক ডেইলি স্টারের ২৫তম বার্ষিকী আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অবদান অব্যাহত রাখার জন্য সব সংবাদপত্রকে কাজ করতে হবে। সংবাদপত্র গণতন্ত্র সংরক্ষণের এবং দেশের সংবিধানের মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে একটি পূর্ব-সক্রিয় ভূমিকা পালন করে থাকে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, সরকার সংবাদ ও সংবাদপত্রেরে স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এবং যেকোনো সংবাদবাদপত্রের উপর হামলা গণতন্ত্রের উপর হুমকি স্বরুপ। তাই সবাইকে(সাংবাদিকদের) অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। সংবাদপত্র একটি দেশের আয়না স্বরুপ, তথ্য ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা অবাধ প্রবাহ গণমাধ্যমের যথাযথ উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
তথ্য আইন অধিকার সম্পর্কে তিনি বলেন, মিডিয়া স্বাধীনভাবে যাতে চলতে পারে সেজন্য সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। তবে স্বাধীনতা মানে এই নয় যা কিছু তাই করা।
সংবাদপত্র গুরুত্ব উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, পাকিস্তান আমলে পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক চক্রের দ্বারা নিপীড়ন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংবাদপত্র সাহসী ভূমিকা পালন করেছিল। মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে বিশ্বব্যাপী জনমত তৈরির যন্ত্রসঙ্গীত হিসেবে কাজ করেছিল দেশি-বিদেশী মিডিয়া। স্বাধীনতার পর সংবাদপত্র যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্নির্মাণ তাদের সৃজনশীল শক্তি হিসেবে কাজ করেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, প্রফেসের হারুনুর রশিদ, প্রফেসর আনিসুজ্জামান, প্রফেসর অরুন কুমার বসাক, ফেরদৌসী রহমান, হাসান আজিজুল হক প্রমুখ।