ঢাকা ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শরণখোলায় ১৯টি হরিণের চামড়াসহ দুজন আটক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫৬:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১
  • ১৮৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুন্দরবনের হরিণের ১৯টি চামড়াসহ দুই পাচারকারীকে বাগেরহাটে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে জেলার শরণখোলা উপজেলা সদরের ব্র্যাক অফিসের সামনে থেকে চামড়াসহ তাদের আটক করা হয়।

শনিবার দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এই অভিযান চালিয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের মো. মতিন হাওলাদারের ছেলে মো. ইলিয়াস হাওলাদার (৩৫) এবং একই উপজেলার ভদ্রপাড়া গ্রামের মো. মোশারেফ শেখের ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম শেখ (৪৫)। শনিবার বিকালে মামলা দিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

উদ্ধার হওয়া চামড়াগুলো লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা ছিল। তবে উদ্ধার হওয়া চামড়াগুলো সুন্দরবনের কোন এলাকা থেকে শিকার করা হরিণের এবং কত দিন আগে শিকার করা হয়েছে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি পুলিশ।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) পংকজ চন্দ্র রায় জানান, এর আগে জেলায় একসঙ্গে এতগুলো হরিণের চামড়া কখনো উদ্ধার হয়নি। এটাই হচ্ছে হরিণের চামড়ার সবচেয়ে বড় চালান।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসপি বলেন, একটি পাচারকারী চক্র সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকার করে সুন্দরবনসংলগ্ন শরণখোলা উপজেলায় জড়ো হয়েছে, এই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। পাচারকারী চক্র পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া দিয়ে মো. ইলিয়াস ও মনিরুল ইসলামকে আটক করে ডিবি।

পরে ওই দুই ব্যক্তির দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শরণখোলা উপজেলার ভদ্রপাড়া গ্রামে মনিরের বাড়ির কাঠের দোতলা ঘরের পাটাতনের ওপর দুটি ব্যাগে রাখা মোট ১৯টি ছোট-বড় হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। চক্রটি সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকার করে তার চামড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচারের উদ্দেশ্যে সেখানে রেখেছিল।

এসপি বলেন, গ্রেপ্তার দুজন চিহ্নিত পাচারকারী। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত আছেন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে কতজন আছেন, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। সুন্দরবনের প্রাণী ও বনজ সম্পদ রক্ষায় পুলিশ তৎপর রয়েছে। এমন অভিযান চলবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শরণখোলায় ১৯টি হরিণের চামড়াসহ দুজন আটক

আপডেট টাইম : ০৬:৫৬:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুন্দরবনের হরিণের ১৯টি চামড়াসহ দুই পাচারকারীকে বাগেরহাটে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে জেলার শরণখোলা উপজেলা সদরের ব্র্যাক অফিসের সামনে থেকে চামড়াসহ তাদের আটক করা হয়।

শনিবার দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এই অভিযান চালিয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের মো. মতিন হাওলাদারের ছেলে মো. ইলিয়াস হাওলাদার (৩৫) এবং একই উপজেলার ভদ্রপাড়া গ্রামের মো. মোশারেফ শেখের ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম শেখ (৪৫)। শনিবার বিকালে মামলা দিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

উদ্ধার হওয়া চামড়াগুলো লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা ছিল। তবে উদ্ধার হওয়া চামড়াগুলো সুন্দরবনের কোন এলাকা থেকে শিকার করা হরিণের এবং কত দিন আগে শিকার করা হয়েছে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি পুলিশ।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) পংকজ চন্দ্র রায় জানান, এর আগে জেলায় একসঙ্গে এতগুলো হরিণের চামড়া কখনো উদ্ধার হয়নি। এটাই হচ্ছে হরিণের চামড়ার সবচেয়ে বড় চালান।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসপি বলেন, একটি পাচারকারী চক্র সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকার করে সুন্দরবনসংলগ্ন শরণখোলা উপজেলায় জড়ো হয়েছে, এই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। পাচারকারী চক্র পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া দিয়ে মো. ইলিয়াস ও মনিরুল ইসলামকে আটক করে ডিবি।

পরে ওই দুই ব্যক্তির দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শরণখোলা উপজেলার ভদ্রপাড়া গ্রামে মনিরের বাড়ির কাঠের দোতলা ঘরের পাটাতনের ওপর দুটি ব্যাগে রাখা মোট ১৯টি ছোট-বড় হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। চক্রটি সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকার করে তার চামড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচারের উদ্দেশ্যে সেখানে রেখেছিল।

এসপি বলেন, গ্রেপ্তার দুজন চিহ্নিত পাচারকারী। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত আছেন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে কতজন আছেন, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। সুন্দরবনের প্রাণী ও বনজ সম্পদ রক্ষায় পুলিশ তৎপর রয়েছে। এমন অভিযান চলবে।