বিজয় দাস নেত্রকোনাঃ ডিজিটাল সেবা সার্ভিস সমূহ চালুর পর থেকে ক্রমশ পাল্টে যাচ্ছে নেত্রকোনা বিআরটিএ অফিসের দৃশ্যপট ।আগে বিআরটিএ অফিসে গিয়ে দেখা যেতো সকল প্রকার বৈধ যানবাহনের লাইসেন্স ও ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য শত শত মানুষের উপচে পড়া ভীড়। তারা দিনের পর দিন সকল কাজ পেলে রেখে অফিসে ঘুরাঘুরি করে লার্নার, যানবাহনের লাইসেন্স ও ড্রাইভিং লাইনেন্সের জন্য অফিসে ধর্ণা দিতো।
কিন্তু কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে অনেকটা নিরোপায় হয়ে দালালের মাধ্যমে কোন রকমে একটি লার্নার সংগ্রহ করে মাসের পর মাস মোটর সাইকেল পরিচালনা করছে। সড়কে ট্রাফিক পুলিশ আটকালে তারা যত সামান্য জরিমানা দিয়ে মোটর সাইকেল ছাড়িয়ে নিয়ে পূনরায় যানবাহন পরিচালনা করছে।
ট্রাফিক পুলিশ মাঝে মধ্যে যানবাহন চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করলে যানবাহন মালিক, শ্রমিক ও মোটর সাইকেল চালকরা বিআরটিএ অফিসে ভীড় জমাতো। তারা দিনের পর দিন বিআরটিএ অফিসে এসে লাইসেন্স সংগ্রহ কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ঘুরাঘুরি করে দুর্ভোগ পোহাচ্ছিল।
নেত্রকোনা বিআরটিএ অফিসের সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোবারক হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণের লক্ষ্যে বিভিন্ন অফিসে ডিজিটাল কার্যক্রম চালু করে। এরই অংশ হিসেবে বিআরটিএ অফিসেও ডিজিটাল সার্ভিস সেবা সমূহ চালু করা হয়েছে। ফলে সেবা নিতে আসা লোকজনের ভোগান্তি অনেকটা কমে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে দালালদের দৌরাত্ব। এখন একজন মোটর সাইকেল চালক কিংবা যানবাহন শ্রমিক ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করতে পারছেন। এস এম এস প্রেরণের মাধ্যমে ডিজিটাল রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট সংগ্রহের এ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহন এবং স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং প্রিন্টিং স্ট্যাটাস সম্পর্কে জানতে পারছেন। অনলাইনে ভিসা, মাস্টার কার্ড, ডিবিবিএল, রকেট, এমেরিকান এক্সপ্রেস ও বিকাশের মাধ্যমে মোটর যানের কর ও ফি জমা দিতে পারছেন।
ডিলার বা শো রুমের মাধ্যমে অনলাইনে মোটরযানের রেজিষ্ট্রেশনের আবেদন দাখিল করতে পারছেন। ডিএল চেকার এ্যাপস ব্যবহার করে ড্রাইভিং লাইসেন্সের সঠিকতা যাচাই, বিআরটিএ’র যে কোন সার্কেল অফিস থেকে মোটরযান ফিটনেস নবায়ন, বিআরটিএ অফিসে না এসে নির্ধারিত ১৮টি ব্যাংকের ৪ শত এর অধিক শাখার মাধ্যমে ট্যাক্স-টোকেন নবায়ন এবং অগ্রিম আয়কর জমাসহ অন্যান্য ফি প্রদান করতে পারছেন। এছাড়াও মোটরযান মালিকের মোবাইলে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এস এম এস প্রেরণের মাধ্যমে প্রযোজ্য ফি’র পরিমান উল্লেখপূর্বক ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেনের বৈধতার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া ও নবায়নের বিষয়টি অবহিত করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, মহামারী করোনাকালে যেখানে রাজস্ব আদায় কঠিন হয়ে পড়েছে সেখানে বিআরটিএ নেত্রকোনা অফিস ২০২০ সালে ২ কোটি ৪৪ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯ শত ৯১ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে।