ঢাকা ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেই লোমহর্ষক ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্য সাময়িক বরখাস্ত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১১:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
  • ৩৮৮ বার

অবশেষে লোমহর্ষক ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হল, তবে সাময়িক। ঢাকাসহ সারা দেশে সমালোচনার ঝড় তোলা সেই ঘটনায় একই থানার ৫ পুলিশ সদস্যকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।এর আগে ঘটনার বিকেলে ওই থানার ৪ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল বলে গণমাধ্যমকে জানানো হয়।

রাজধানীর মিরপুর গুদারাঘাট এলাকায় চাঁদার দাবিতে পুড়িয়ে দেওয়া চায়ের দোকনদার বাবুল মাতব্বরের (৪৫) মৃত্যুর ঘটনায় শাহ আলী থানার এসব পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হল।

বৃস্পতিবার রাতে তাদের বরখাস্ত করা হয়। শুক্রবার সকালে ৫ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি, মিডিয়া) মারুফ হোসেন সরদার।

গণমাধ্যমকে তিনি জানান, মিপুরের ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরা হলেন- উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মমিনুর রহমান খান, এসআই একেএম নিয়াজউদ্দিন মোল্লা, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শ্রীধাম চন্দ্র হাওলাদার, এএসআই দেবেন্দ্রনাথ সরকার ও কনস্টেবল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

মারুফ হোসেন আরও জানান, ঘটনাটির সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য তদন্তের স্বার্থে এ বরখাস্ত করা হয়েছে। বর্তমানে তাদের শাহ আলী থানা থেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

রাজধানীর মিরপুর গুদারাঘাট এলাকায় বুধবার রাতে চাঁদা না পেয়ে বাবুল মাতব্বর নামে এক চা বিক্রেতাকে পুড়িয়ে দেয় পুলিশ। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় শাহ আলী থানায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে মামলা নিতে ‘অস্বীকৃতি’ জানায় পুলিশ। পরে মাদক ব্যবসায়ী পারুল ওরফে পারুলী ও সোর্স দেলোয়ারসহ মোট সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন মৃত বাবুল মাতব্বরের বড় মেয়ে রোকসানা।

রোকসানা আক্তার বলেন, এই খুনের জন্য দায়ী শাহ আলী থানা পুলিশের এসআই, কনস্টেবলসহ স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী পারুলী, পুলিশের সোর্স দেলোয়ার, আইয়ুব আলী ও রবিন। তাদের নামে মামলা করতে থানায় যায়। পুলিশের বিরুদ্ধে হলে মামলা নেওয়া যাবে না বলে জানানো হয় থানা থেকে।

এদিকে ওই ঘটনায় পুলিশের মিরপুর বিভাগ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) হেড কোয়ার্টার্স থেকে পৃথক দু’টি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পুলিশের মিরপুর বিভাগের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন— অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মাসুদ আহমেদ ও সহকারী কমিশনার (এসি) মাহবুব হোসেন। ডিএমপি হেড কোয়ার্টার্স গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে ডিসি (ডিসিপ্লিন) টুটুল চক্রবর্তীকে। তদন্ত কমিটিকে শিগগিরই প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সেই লোমহর্ষক ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্য সাময়িক বরখাস্ত

আপডেট টাইম : ১১:১১:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

অবশেষে লোমহর্ষক ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হল, তবে সাময়িক। ঢাকাসহ সারা দেশে সমালোচনার ঝড় তোলা সেই ঘটনায় একই থানার ৫ পুলিশ সদস্যকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।এর আগে ঘটনার বিকেলে ওই থানার ৪ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল বলে গণমাধ্যমকে জানানো হয়।

রাজধানীর মিরপুর গুদারাঘাট এলাকায় চাঁদার দাবিতে পুড়িয়ে দেওয়া চায়ের দোকনদার বাবুল মাতব্বরের (৪৫) মৃত্যুর ঘটনায় শাহ আলী থানার এসব পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হল।

বৃস্পতিবার রাতে তাদের বরখাস্ত করা হয়। শুক্রবার সকালে ৫ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি, মিডিয়া) মারুফ হোসেন সরদার।

গণমাধ্যমকে তিনি জানান, মিপুরের ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরা হলেন- উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মমিনুর রহমান খান, এসআই একেএম নিয়াজউদ্দিন মোল্লা, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শ্রীধাম চন্দ্র হাওলাদার, এএসআই দেবেন্দ্রনাথ সরকার ও কনস্টেবল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

মারুফ হোসেন আরও জানান, ঘটনাটির সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য তদন্তের স্বার্থে এ বরখাস্ত করা হয়েছে। বর্তমানে তাদের শাহ আলী থানা থেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

রাজধানীর মিরপুর গুদারাঘাট এলাকায় বুধবার রাতে চাঁদা না পেয়ে বাবুল মাতব্বর নামে এক চা বিক্রেতাকে পুড়িয়ে দেয় পুলিশ। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় শাহ আলী থানায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে মামলা নিতে ‘অস্বীকৃতি’ জানায় পুলিশ। পরে মাদক ব্যবসায়ী পারুল ওরফে পারুলী ও সোর্স দেলোয়ারসহ মোট সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন মৃত বাবুল মাতব্বরের বড় মেয়ে রোকসানা।

রোকসানা আক্তার বলেন, এই খুনের জন্য দায়ী শাহ আলী থানা পুলিশের এসআই, কনস্টেবলসহ স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী পারুলী, পুলিশের সোর্স দেলোয়ার, আইয়ুব আলী ও রবিন। তাদের নামে মামলা করতে থানায় যায়। পুলিশের বিরুদ্ধে হলে মামলা নেওয়া যাবে না বলে জানানো হয় থানা থেকে।

এদিকে ওই ঘটনায় পুলিশের মিরপুর বিভাগ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) হেড কোয়ার্টার্স থেকে পৃথক দু’টি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পুলিশের মিরপুর বিভাগের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন— অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মাসুদ আহমেদ ও সহকারী কমিশনার (এসি) মাহবুব হোসেন। ডিএমপি হেড কোয়ার্টার্স গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে ডিসি (ডিসিপ্লিন) টুটুল চক্রবর্তীকে। তদন্ত কমিটিকে শিগগিরই প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে