ছোট্ট দু’টি শাবকের জন্ম দিয়েছে একটি ছাগল। কিন্তু দেখে কে বলবে সে দু’টি ছাগলছানা। হুবহু মানুষের রূপ। মনুষ্য সদৃশ সেই দুই ছাগলছানার আবির্ভাব চমকে দিয়েছে স্থানীয় মানুষজনকে।
একদিন ভোরবেলায় হইহই-রইরই কাণ্ড ভারতের কর্ণাটকের শোলাপুরের এক গ্রামে। সেখানে এক অদ্ভূত ঘটনার মূল চরিত্র একটি গর্ভবতী ছাগল। সেদিন সকালে সেটি একটি ছানার জন্ম দেয়। তবে ছাগলের প্রসব করা ছানার ৭০ শতাংশই দেখতে মানুষের মতো।
শরীরটা যেন পুরো স্টিলের। আর চোখ, নাক, মুখ, বুক, পেট, হাত, পা সব কিছুতেই অবিকল মানবশিশুর আদল। শুধুমাত্র কান আর পায়ের পাতা দেখতে তার মায়ের মতো। অর্থাত ছাগলের একমাত্র চিহ্ন রয়েছে সেই দুটি অঙ্গে। প্রথম শাবকটি প্রসবের পাঁচ ঘণ্টা পর আবার একইরকম দেখতে আরেকটি শাবক প্রসব করে ছাগলটি।
অদ্ভূত এই ঘটনায় স্তম্ভিত এলাকার মানুষ শাবক দু’টি দেখতে ভিঁড় জমান। কেউ বলেন, এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কেউ আবার এর পেছনে অলৌকিক কোনও বস্তুর আশঙ্কায়, শাবক দু’টিকে মেরে ফেলার কথা বলেন। ছাগলটি যে ব্যক্তির গৃহপালিত তিনি জানান, ‘চার বছর ধরে ছাগলটি আমার কাছে রয়েছে। এর মধ্যে সে ১০টি বাচ্চা দিয়েছে। প্রত্যেকটা বাচ্চাই স্বাভাবিক।’
পশুপালন বিভাগের সহ অধিকর্তা ড. দেবা দাসের বক্তব্য, ‘জিনগত সমস্যার জন্য বা কোনও সংক্রমণের কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।’ মানুষরূপী ছাগল ছানা দু’টিকে সংরক্ষণ করে মাইসোর দশেরা প্রদর্শনীতে দেখানো হবে বলে জানান তিনি।
অদ্ভূত এই ঘটনা অবশ্য সম্প্রতি ঘটেনি। এই ঘটনা গত বছরের ডিসেম্বর মাসের।