তরুণ প্রজন্মই সমাজ পরিবর্তনের প্রধান হাতিয়ার উল্লেখ করে তাদের স্বপ্ন দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাস্ট্রপতি।
রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তব্য দেন সমাবর্তন বক্তা ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির ভাষণে রাষ্ট্রপতি দল-মত-পথের পার্থক্য ভুলে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা তরান্বিত করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এসময় সমৃদ্ধ আগামীর স্বার্থে তরুণ প্রজন্মকে সঠিক ভাবে গড়ে তোলারও আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। চলার পথের পঞ্চাশ বছরে এর আগে তিনটি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়, যার সর্বশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ২০০৮ সালের ৫ নবেম্বর। রোববার অনুষ্ঠিত চতুর্থ সমাবর্তনে অংশ নেন সাত সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তব্যে প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান দেশে ধর্মের নামে উগ্র পন্থা সহ কিছু কিছু বিষয় সুস্থ জ্ঞান চর্চ্চার অন্তরায় উল্লেখ করে বলেন, পরমত সহ্য করতে হবে। তিনি পেশী শক্তির বদলে যুক্তির আশ্রয় নেয়ার আহবান জানান।
এবারের সমাবর্তনে ২০০৪ সাল থেকে ২০১০ সালের মধ্যে শিক্ষা সমাপনকারী ৭ হাজার ১ শ ৯৪ জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়, যার মধ্যে চ্যান্সেলর পদক পাচ্ছেন নয়জন শিক্ষার্থী। এছাড়া ২৫ জন পি এইচডি ও ১৩ জন এমফিল রয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েক জনের হাতে সনদ তুলে দেন রাষ্ট্রপতি।