ঢাকা ০৮:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুসলমান হওয়ায় মুম্বাইয়ের ফ্ল্যাট পেলেন না তরুণী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৫:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মে ২০১৫
  • ৪১৪ বার

ভারতে মুসলমান বলে এমবিএ স্নাতককে চাকরি দেয়নি হিরে রপ্তানি সংস্থা। কয়েকদিন আগে প্রকাশ্যে আসা ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার এক জনসংযোগ সংস্থার মহিলা কর্মীর অভিযোগ, মুসলিম হওয়ায় তাঁকে মুম্বাইয়ে ফ্ল্যাট বেচতে রাজি হননি এক নির্মাতা! ২৫ বছর বয়সি মিসবা কাদরির হয়ে ওই নির্মাতার ‘বৈষম্যমূলক নীতি’র বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন। শেহজাদ পুনাওয়ালা নামে এক সমাজকর্মী।
বছরখানেক আগে গুজরাত থেকে মহানগরীতে পা রাখার পর থেকে মিসবা পশ্চিম শহরতলির কান্দিভেলির একটি ফ্ল্যাটে থাকছিলেন। সম্প্রতি সেই ফ্ল্যাট ছেড়ে তাঁকে ওয়াদেলায় চলে আসতে হয় ওয়াদেলায় একটি ফ্ল্যাট জোগাড় করতে গিয়েই ওই নির্মাতার অপ্রত্যাশিত আচরণে তিনি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন। মিসবা বলেছেন, অনেক খোঁজার পর দালাল মারফত ২৪ হাজারা টাকা সেলামির বিনিময়ে ওয়াদালায় একটি বাড়ির সন্ধান পাই। কিন্তু সেখানে গিয়ে ওঠার আগের রাতে ওই দালাল ফোনে আমায় বলেন, বাড়ির নির্মাতা কোনও মুসলিমকে বাড়ি ভাড়া দিতে নীতিগতভাবে রাজি নন।।তাই আমি যেন ওখানে।না যাই। আমি দালালকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও তিনি কথা শুনতেই চাইলেন না।
মিসবার দাবি, ওই দালাল তাঁকে একটি নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট দিতে বলেন এই মর্মে যে,  ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতে গেলে ধর্মীয় পরিচয়ের জন্য যদি প্রতিবেশীদের হাতে তিনি নাকাল হন, সেজন্য নির্মাতা, মালিক, দালালের  কোনও আইনি দায় থাকবে না।মিসবা বলেছেন, এতে রাজি না হলেও আমায় ওই ফ্ল্যাটে উঠে যেতেই হয় কেননা আগের ফ্ল্যাটের নোটিসের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে এবং আমার কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।কিন্তু সপ্তাহখানেক বাদে দালাল আমায় আবার ফোন করে ফ্ল্যাট ছেড়ে দিতে বলেন।বাধ্য হয়ে বেরিয়ে আসতে হয় আমাকে।এখন  বান্দ্রার এক অতিথিশালায় পেয়িং গেস্ট হিসাবে রয়েছি।
এদিকে মিসবার সঙ্গে ঘটে যাওয়া বৈষম্যের ঘটনাটি নিয়ে সংখ্যালঘু কমিশনে পিটিশন দিয়ে পুনাওয়ালার দাবি, ওই নির্মাতা সংবিধানের বিধি লঙ্ঘন করে কোনও বিশেষ একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রতি বিভেদমূলক নীতি নিয়েছেন কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হোক।আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক  ওই নির্মাতা ও দালালের বিরুদ্ধে।
এদিকে ঘটনাটি মহরাষ্ট্র সরকারের গোচরে আসার পর রাজ্যের সংখ্যালঘু বিষয়কমন্ত্রী একনাথ খাড়সে বলেছেন, বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছি। দোষী কঠোর সাজা পাবে। – সূত্র : ওয়েবসাইট

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মুসলমান হওয়ায় মুম্বাইয়ের ফ্ল্যাট পেলেন না তরুণী

আপডেট টাইম : ০৬:০৫:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মে ২০১৫

ভারতে মুসলমান বলে এমবিএ স্নাতককে চাকরি দেয়নি হিরে রপ্তানি সংস্থা। কয়েকদিন আগে প্রকাশ্যে আসা ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার এক জনসংযোগ সংস্থার মহিলা কর্মীর অভিযোগ, মুসলিম হওয়ায় তাঁকে মুম্বাইয়ে ফ্ল্যাট বেচতে রাজি হননি এক নির্মাতা! ২৫ বছর বয়সি মিসবা কাদরির হয়ে ওই নির্মাতার ‘বৈষম্যমূলক নীতি’র বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন। শেহজাদ পুনাওয়ালা নামে এক সমাজকর্মী।
বছরখানেক আগে গুজরাত থেকে মহানগরীতে পা রাখার পর থেকে মিসবা পশ্চিম শহরতলির কান্দিভেলির একটি ফ্ল্যাটে থাকছিলেন। সম্প্রতি সেই ফ্ল্যাট ছেড়ে তাঁকে ওয়াদেলায় চলে আসতে হয় ওয়াদেলায় একটি ফ্ল্যাট জোগাড় করতে গিয়েই ওই নির্মাতার অপ্রত্যাশিত আচরণে তিনি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন। মিসবা বলেছেন, অনেক খোঁজার পর দালাল মারফত ২৪ হাজারা টাকা সেলামির বিনিময়ে ওয়াদালায় একটি বাড়ির সন্ধান পাই। কিন্তু সেখানে গিয়ে ওঠার আগের রাতে ওই দালাল ফোনে আমায় বলেন, বাড়ির নির্মাতা কোনও মুসলিমকে বাড়ি ভাড়া দিতে নীতিগতভাবে রাজি নন।।তাই আমি যেন ওখানে।না যাই। আমি দালালকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও তিনি কথা শুনতেই চাইলেন না।
মিসবার দাবি, ওই দালাল তাঁকে একটি নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট দিতে বলেন এই মর্মে যে,  ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতে গেলে ধর্মীয় পরিচয়ের জন্য যদি প্রতিবেশীদের হাতে তিনি নাকাল হন, সেজন্য নির্মাতা, মালিক, দালালের  কোনও আইনি দায় থাকবে না।মিসবা বলেছেন, এতে রাজি না হলেও আমায় ওই ফ্ল্যাটে উঠে যেতেই হয় কেননা আগের ফ্ল্যাটের নোটিসের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে এবং আমার কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।কিন্তু সপ্তাহখানেক বাদে দালাল আমায় আবার ফোন করে ফ্ল্যাট ছেড়ে দিতে বলেন।বাধ্য হয়ে বেরিয়ে আসতে হয় আমাকে।এখন  বান্দ্রার এক অতিথিশালায় পেয়িং গেস্ট হিসাবে রয়েছি।
এদিকে মিসবার সঙ্গে ঘটে যাওয়া বৈষম্যের ঘটনাটি নিয়ে সংখ্যালঘু কমিশনে পিটিশন দিয়ে পুনাওয়ালার দাবি, ওই নির্মাতা সংবিধানের বিধি লঙ্ঘন করে কোনও বিশেষ একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রতি বিভেদমূলক নীতি নিয়েছেন কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হোক।আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক  ওই নির্মাতা ও দালালের বিরুদ্ধে।
এদিকে ঘটনাটি মহরাষ্ট্র সরকারের গোচরে আসার পর রাজ্যের সংখ্যালঘু বিষয়কমন্ত্রী একনাথ খাড়সে বলেছেন, বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছি। দোষী কঠোর সাজা পাবে। – সূত্র : ওয়েবসাইট