ঢাকা ১০:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ইটনায় জাতীয় পরিচয়পত্র পরিষেবা স্থানান্তর ও কূট পরিকল্পনার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ইটনায় এ প্লাস ক্যাম্পেইন অবহিত করন সভা অনুষ্ঠিত ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতে যেসব শর্ত দিলেন পুতিন রান্না শেখাচ্ছেন পড়শী, ঈদে দেখা যাবে অভিনয় আর গানে শিমের রাজ্য সীতাকুণ্ড ২১০ কোটি টাকার শিম উৎপাদন, কৃষকের হাসি জাতিসংঘ, মহাসচিব, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি অবশেষে মায়ের কোলে ফিরল সায়ান হরেদরে সবাইকে শাহবাগী বলা বন্ধ করতে হবে: মাহফুজ আলম পেঁয়াজের দাম না পেয়ে লোকসানের শঙ্কায় পাবনার চাষিরা পাচারকালে নারী শিশুসহ ১৮ রোহিঙ্গা উদ্ধার, দালাল আটক

অবশেষে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১৯:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০
  • ১৮১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অবশেষে ৪ মাস ৮ দিন পর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আলোচিত চাঞ্চল্যকর সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন (চার্জসীট) দেয়া হয়েছে।

আজ রোববার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব ১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত -৪ এর বিচারক তামান্না ফারাহরর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘ মামলা রুজুর চার মাস আট দিনের মাথায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন করা হলো। এই চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তদন্ত সাপেক্ষে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো।

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এরপর ৫ আগস্ট এ ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস।

র‌্যাবকে মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াক আলীসহ আট পুলিশ সদস্য এবং এপিবিএন এর তিন সদস্য ও স্থানীয় তিন ব্যক্তি রয়েছে।

তাদের মধ্যে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং তার প্রধান সহযোগী রুবেল শর্মা ছাড়া প্রধান অভিযুক্ত পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ১২ জন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

র‌্যাব সূত্র জানায়, তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর অত্যন্ত আন্তরিকতা ও সতর্কতার সাথে এই চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত করা হয়েছে। এই তদন্ত কার্যক্রমে মামলার আসামীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি বক্তব্য নেয়া হয়েছে। সব তথ্য যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ইটনায় জাতীয় পরিচয়পত্র পরিষেবা স্থানান্তর ও কূট পরিকল্পনার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

অবশেষে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে

আপডেট টাইম : ১২:১৯:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অবশেষে ৪ মাস ৮ দিন পর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আলোচিত চাঞ্চল্যকর সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন (চার্জসীট) দেয়া হয়েছে।

আজ রোববার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব ১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত -৪ এর বিচারক তামান্না ফারাহরর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘ মামলা রুজুর চার মাস আট দিনের মাথায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন করা হলো। এই চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তদন্ত সাপেক্ষে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো।

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এরপর ৫ আগস্ট এ ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস।

র‌্যাবকে মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াক আলীসহ আট পুলিশ সদস্য এবং এপিবিএন এর তিন সদস্য ও স্থানীয় তিন ব্যক্তি রয়েছে।

তাদের মধ্যে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং তার প্রধান সহযোগী রুবেল শর্মা ছাড়া প্রধান অভিযুক্ত পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ১২ জন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

র‌্যাব সূত্র জানায়, তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর অত্যন্ত আন্তরিকতা ও সতর্কতার সাথে এই চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত করা হয়েছে। এই তদন্ত কার্যক্রমে মামলার আসামীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি বক্তব্য নেয়া হয়েছে। সব তথ্য যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।