ঢাকা ১০:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ইটনায় জাতীয় পরিচয়পত্র পরিষেবা স্থানান্তর ও কূট পরিকল্পনার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ইটনায় এ প্লাস ক্যাম্পেইন অবহিত করন সভা অনুষ্ঠিত ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতে যেসব শর্ত দিলেন পুতিন রান্না শেখাচ্ছেন পড়শী, ঈদে দেখা যাবে অভিনয় আর গানে শিমের রাজ্য সীতাকুণ্ড ২১০ কোটি টাকার শিম উৎপাদন, কৃষকের হাসি জাতিসংঘ, মহাসচিব, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি অবশেষে মায়ের কোলে ফিরল সায়ান হরেদরে সবাইকে শাহবাগী বলা বন্ধ করতে হবে: মাহফুজ আলম পেঁয়াজের দাম না পেয়ে লোকসানের শঙ্কায় পাবনার চাষিরা পাচারকালে নারী শিশুসহ ১৮ রোহিঙ্গা উদ্ধার, দালাল আটক

হাওর অঞ্চলে বীজতলার জন্য কূষকদের সতর্কবার্তা দিলেন খালিয়াজুরী কৃষি অফিসার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১৬:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০
  • ১৭৭ বার
বিজয় দাস নেত্রকোনাঃ নেত্রকোনার হাওর অঞ্চল খালিয়াজুরী উপজেলার কৃষি অফিসার  মোঃ হাবিবুর রহমান  কৃষকদের সতর্কবার্তায় বলেন, বর্তমান ঘন কুয়াশায় দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় বীজতলা সহ নানা ফসলিয়া জমি নষ্টের পথে। ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহে বীজতলার নিতে হবে বিশেষ যত্ন। তিনি গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলা কৃষি অফিসে জনপ্রতিনিধি ও কূষকদের সভায় এসব কথা বলেন।
বীজতলায় প্রতি শতকে ৪০০ গ্রাম জিপসাম ১৫০ গ্রাম পটাশ ২০০ গ্রাম ডিএপি ব্যবহার করবেন। ইউরিয়া সার ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন। সকালবেলা রশি দিয়ে বীজতলার কুয়াশা ফেলে দিবেন। থিয়োভিট ব্যবহার করবেন। থ্রিপস ও বিপিএইচ আক্রমণ করলে সপসিন, মিপসিন, হপারশট, ক্যারাটে প্রভৃতি ব্যবহার করবেন। ছত্রাক আক্রমণ করলেন প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম মেনকোজেব জাতীয় ছত্রাকনাশক যেমন অটোস্টিন রিডোমিল গোল্ড প্রভৃতি করবেন।

তিনি আরো বলেন, খালিয়াজুরী উপজেলার সম্মানিত কৃষকগণ যারা আপনাদের খেতে আলু ও টমেটো চাষ করেছেন ঘন কুয়াশা ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় আলু ও টমেটো ক্ষেতে লেট ব্লাইট(মরক) রোগ দেখা দিতে পারে তাই সবাইকে সচেতন হতে অনুরোধ করা হল এবং এক সপ্তাহ পর পর আলু খেতে ছত্রাকনাশক স্প্রে করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

পাতার উপর ফ্যাকাসে অথবা ফিকে সবুজ রংয়ের গোলাকার অথবা এলোমেলো পানি ভেজা দাগ পড়ে । কুয়াশাচ্ছন্ন ও মেঘলা আবহাওয়ায় দাগ সংখ্যা ও আকার দ্রুত বাড়তে থাকে। বাদামী থেকে কালচে রং ধারণ করে। রোগের আক্রমণ বেশী হলে গাছের কান্ডেও রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। রোগের লক্ষণ দেখা দেয়ার ৩-৪ দিনের মধ্যে গাছ ঝলসে যায় ও দ্রুত মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে।

সীমিত সার ব্যবহার করা , সকালে সেচ প্রয়োগ করা ও উত্তম নিষ্কাষণ ব্যবস্থা রাখা। সারির দুই পাশে বেশি করে মাটি তুলে দেয়া। রোগের অনুকুল পূর্বাভাস (কুয়াশাচ্ছন্ন ও মেঘলা আবহাওয়ায় ) পাওয়া মাত্র প্রতিরোধক হিসাবে (ম্যানকোজেব + মেটালেক্সিল) জাতীয় ছত্রাকনাশক যেমন: রিডোমিল গোল্ড বা করমি বা মেটারিল বা ম্যানকোসিল বা ক্রেজি প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করা *রোগের আক্রমণ বেশী হলে প্রতি লিটার পানিতে-২ গ্রাম সিকিউর মিশিয়ে স্প্রে করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।

সতর্কবার্তায় তিনি খালিয়াজুরী উপজেলার জনপ্রতিনিধির কাছে আহবান করেন, কৃষকের স্বার্থে আপনাদের আশপাশের মসজিদ এর মাইক দিয়ে প্রচার করে কৃষকদের সতর্ক করে দিবেন। সভায় এলাকার জনপ্র্রতিসহ কূষকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ইটনায় জাতীয় পরিচয়পত্র পরিষেবা স্থানান্তর ও কূট পরিকল্পনার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

হাওর অঞ্চলে বীজতলার জন্য কূষকদের সতর্কবার্তা দিলেন খালিয়াজুরী কৃষি অফিসার

আপডেট টাইম : ১২:১৬:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০
বিজয় দাস নেত্রকোনাঃ নেত্রকোনার হাওর অঞ্চল খালিয়াজুরী উপজেলার কৃষি অফিসার  মোঃ হাবিবুর রহমান  কৃষকদের সতর্কবার্তায় বলেন, বর্তমান ঘন কুয়াশায় দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় বীজতলা সহ নানা ফসলিয়া জমি নষ্টের পথে। ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহে বীজতলার নিতে হবে বিশেষ যত্ন। তিনি গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলা কৃষি অফিসে জনপ্রতিনিধি ও কূষকদের সভায় এসব কথা বলেন।
বীজতলায় প্রতি শতকে ৪০০ গ্রাম জিপসাম ১৫০ গ্রাম পটাশ ২০০ গ্রাম ডিএপি ব্যবহার করবেন। ইউরিয়া সার ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন। সকালবেলা রশি দিয়ে বীজতলার কুয়াশা ফেলে দিবেন। থিয়োভিট ব্যবহার করবেন। থ্রিপস ও বিপিএইচ আক্রমণ করলে সপসিন, মিপসিন, হপারশট, ক্যারাটে প্রভৃতি ব্যবহার করবেন। ছত্রাক আক্রমণ করলেন প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম মেনকোজেব জাতীয় ছত্রাকনাশক যেমন অটোস্টিন রিডোমিল গোল্ড প্রভৃতি করবেন।

তিনি আরো বলেন, খালিয়াজুরী উপজেলার সম্মানিত কৃষকগণ যারা আপনাদের খেতে আলু ও টমেটো চাষ করেছেন ঘন কুয়াশা ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় আলু ও টমেটো ক্ষেতে লেট ব্লাইট(মরক) রোগ দেখা দিতে পারে তাই সবাইকে সচেতন হতে অনুরোধ করা হল এবং এক সপ্তাহ পর পর আলু খেতে ছত্রাকনাশক স্প্রে করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

পাতার উপর ফ্যাকাসে অথবা ফিকে সবুজ রংয়ের গোলাকার অথবা এলোমেলো পানি ভেজা দাগ পড়ে । কুয়াশাচ্ছন্ন ও মেঘলা আবহাওয়ায় দাগ সংখ্যা ও আকার দ্রুত বাড়তে থাকে। বাদামী থেকে কালচে রং ধারণ করে। রোগের আক্রমণ বেশী হলে গাছের কান্ডেও রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। রোগের লক্ষণ দেখা দেয়ার ৩-৪ দিনের মধ্যে গাছ ঝলসে যায় ও দ্রুত মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে।

সীমিত সার ব্যবহার করা , সকালে সেচ প্রয়োগ করা ও উত্তম নিষ্কাষণ ব্যবস্থা রাখা। সারির দুই পাশে বেশি করে মাটি তুলে দেয়া। রোগের অনুকুল পূর্বাভাস (কুয়াশাচ্ছন্ন ও মেঘলা আবহাওয়ায় ) পাওয়া মাত্র প্রতিরোধক হিসাবে (ম্যানকোজেব + মেটালেক্সিল) জাতীয় ছত্রাকনাশক যেমন: রিডোমিল গোল্ড বা করমি বা মেটারিল বা ম্যানকোসিল বা ক্রেজি প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করা *রোগের আক্রমণ বেশী হলে প্রতি লিটার পানিতে-২ গ্রাম সিকিউর মিশিয়ে স্প্রে করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।

সতর্কবার্তায় তিনি খালিয়াজুরী উপজেলার জনপ্রতিনিধির কাছে আহবান করেন, কৃষকের স্বার্থে আপনাদের আশপাশের মসজিদ এর মাইক দিয়ে প্রচার করে কৃষকদের সতর্ক করে দিবেন। সভায় এলাকার জনপ্র্রতিসহ কূষকরা উপস্থিত ছিলেন।