গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সুদৃঢ় করতে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বুধবার জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে ভাষণ দানকালে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
এ সময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতা সমুন্নত এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুজ্জ্বল রাখতে বাঙালি জাতিকে আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘একাত্তরের শহীদদের কাছে আমাদের অপরিশোধ্য ঋণ রয়েছে। আসুন, ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে এবং দল-মত-পথের পার্থক্য ভুলে জাতির গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে লাখো শহীদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করি।’
আবদুল হামিদ বলেন, জাতীয় সংসদ দেশের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। বর্তমান সরকার রাজনীতি থেকে হিংসা, হানাহানি ও সংঘাতের অবসানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও আলোকিত দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, পরমতসহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহতকরণ এবং জাতির অগ্রযাত্রার স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধী দলকেও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে।
সরকারি দল ও বিরোধী দলসহ সকলকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের প্রতিষ্ঠান জাতীয় সংসদে যথাযথ ও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
এ সময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ অন্যান্য চাঞ্চল্যকর ও জনগুরুত্বপূর্ণ মামলাসমূহ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করেন আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৫২ হাজার ৯১৩ জন পুলিশ-সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। পুলিশে আরও ৫০ হাজার পদ সৃজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, মাথাপিছু জাতীয় আয় ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১ হাজার ১৮৪ মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত স্থলসীমানা চুক্তিটি বাস্তবায়নের মুখ দেখেছে।