ঢাকা ১১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ না করলে তারা বাপকেও অস্বীকার করে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৪২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০১৫
  • ৫৯৫ বার

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, “প্রায় ৪০ বছর আওয়ামী লীগ করার পর আওয়ামী লীগ ছেড়ে আমি বুঝেছি, যে আওয়ামী লীগের কোন জাত নেই।

আওয়ামী লীগ না করলে তারা বাপকেও অস্বীকার করে আর টিক্কা খানও যদি আওয়ামী লীগ করতো তবে তারা তাকে মাথায় নিয়ে রাখতো।

আজ দেশের এই অরাজকাতর জন্যে দায়ী হলো আওয়ামী লীগ। অথচ সদিচ্ছা থাকলে আওয়ামী লীগ এদেশকে সোনার দেশ বানাতে পারতো।”

শান্তির দাবীতে অবস্থান কর্মসূচীর ৪ মাস পূর্তি উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারকান্দি স্কুল মাঠে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আওয়ামীলীগ জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করে আর বিএনপি বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে। এভাবে অস্বীকার করতে করতে এরা একসময় বাংলাদেশকেই অস্বীকার করে ফেলবে। আওয়ামীলীগাররা বলে জিয়াউর রহমান রাজাকার, বিএনপি বলে বঙ্গবন্ধু রাজাকার। তারা কাউকে সম্মান করতে জানে না।”

বঙ্গবীর বলেন, “আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ না করলে আজ যারা আওয়ামী লীগ করেন তাদের অনেকেই কবরে বা শ্মশানে থাকতেন। বঙ্গবন্ধুর গায়ের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজানোর ইচ্ছা যার ছিলো সেই মতিয়া চৌধুরী আওয়ামীলীগের নীতিনির্ধারক, কমপক্ষে ২৮০ জন আওয়ামীগারের হত্যাকারী শাজাহান খান শেখ হাসিনার প্রিয়পাত্র, হাজার হাজার বঙ্গবন্ধুর সমর্থকদের হত্যাকারী জাসদের হাসানুল হক ইনু এখন শেখ হাসিনার সরকারের মুখপাত্র।”

আলহাজ্ব মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, আবু বকর সিদ্দিক খোকন, ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক রিফাতুল ইসলাম দীপ, শাহীনুর আলম, আল আমিন আলী প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আওয়ামী লীগ না করলে তারা বাপকেও অস্বীকার করে

আপডেট টাইম : ০৫:৪২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০১৫

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, “প্রায় ৪০ বছর আওয়ামী লীগ করার পর আওয়ামী লীগ ছেড়ে আমি বুঝেছি, যে আওয়ামী লীগের কোন জাত নেই।

আওয়ামী লীগ না করলে তারা বাপকেও অস্বীকার করে আর টিক্কা খানও যদি আওয়ামী লীগ করতো তবে তারা তাকে মাথায় নিয়ে রাখতো।

আজ দেশের এই অরাজকাতর জন্যে দায়ী হলো আওয়ামী লীগ। অথচ সদিচ্ছা থাকলে আওয়ামী লীগ এদেশকে সোনার দেশ বানাতে পারতো।”

শান্তির দাবীতে অবস্থান কর্মসূচীর ৪ মাস পূর্তি উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারকান্দি স্কুল মাঠে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আওয়ামীলীগ জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করে আর বিএনপি বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে। এভাবে অস্বীকার করতে করতে এরা একসময় বাংলাদেশকেই অস্বীকার করে ফেলবে। আওয়ামীলীগাররা বলে জিয়াউর রহমান রাজাকার, বিএনপি বলে বঙ্গবন্ধু রাজাকার। তারা কাউকে সম্মান করতে জানে না।”

বঙ্গবীর বলেন, “আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ না করলে আজ যারা আওয়ামী লীগ করেন তাদের অনেকেই কবরে বা শ্মশানে থাকতেন। বঙ্গবন্ধুর গায়ের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজানোর ইচ্ছা যার ছিলো সেই মতিয়া চৌধুরী আওয়ামীলীগের নীতিনির্ধারক, কমপক্ষে ২৮০ জন আওয়ামীগারের হত্যাকারী শাজাহান খান শেখ হাসিনার প্রিয়পাত্র, হাজার হাজার বঙ্গবন্ধুর সমর্থকদের হত্যাকারী জাসদের হাসানুল হক ইনু এখন শেখ হাসিনার সরকারের মুখপাত্র।”

আলহাজ্ব মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, আবু বকর সিদ্দিক খোকন, ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক রিফাতুল ইসলাম দীপ, শাহীনুর আলম, আল আমিন আলী প্রমুখ।