কুমিল্লা মহানগরীর ঝাউতলায় শতবছরের পুরনো পুকুর দিনে-দুপুরে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। পুকুর নদী-খাল-ডোবা ভরাটের কোন অনুমতি না থাকলেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ কয়েকজন নেতা ওই পুকুর ভরাট করছেন। ফলে ভয়ে কেউ কোন কথা বলছে না।
এলাকাবাসি জানায়, অনেকেই বিষয়টি প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মৌখিক জানালেও তারা কর্ণপাত করেননি। লিখিতভাবে অভিযোগ দিতে বলায় কেউ ভয়ে লিখিত অভিযোগ দিতেও সাহস পাচ্ছেনা। প্রশাসনের এমন ভূমিকায়ও অনেক ক্ষুব্ধ।
জানা গেছে, নগরীর প্রাণ কেন্দ্র ঝাউতলায় কুমিল্লা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত অধ্যাপক খোরশেদ আলমের বাড়ির সামনের কমবেশি ১ একর আয়তনের কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা মূল্যের ওই পুকুরটি এলাকায় ফুসফুস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কাজেও এ পুকুরটি ব্যবহার হয়ে আসছে। সেই সাথে এ এলাকায় অগ্নিকান্ডের কোন ঘটনা ঘটলে এ পুকুরটির পানি ছাড়া আর কোন গতি নেই এলাকাবাসীর।
Pukor_Voratনাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, ক্ষমতাসীন দলের একটি শক্তিশালী গ্রুপ হঠাৎ করে এসে পুকুরটি ভরাটের কাজ করে। তারা বেশ কয়েকটি ট্রাক্টর লাগিয়ে রাতারাতি পুকুর ভরাট করছে। সারাদিনই ট্রাক্টর দিয়ে মাটি ফেলে পুকুরটি ভরাটের কাজ করা হয়। বিশেষ করে রাতে পুকুরটি ভরাটে বেশি পরিমানে ট্রাক্টর ব্যবহার করা হয়।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা জেলা প্রসাশক মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, পুকুর ভরাটের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে সেটা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।