ঢাকা ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলার রায়ে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:১৫:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০২০
  • ১৮৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে গণপূর্ত বিভাগের সাবেক কর্মচারী আব্দুর রহমান আমিনকে হত্যা ও ডাকাতির চাঞ্চল্যকর মামলায় দুই সহোদরসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত মোট ৮ জনের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (৫ অক্টোবর) সকালে আসামিদের উপস্থিতিতে জনাকীর্ণ আদালতে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে চার আসামি কাসেম, নজরুল, লিটন ও সাত্তারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সিরাজ উদ্দিন ওরফে সিরাজ, খোকন, সাহেদ ও কান্তু মিয়া এই চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ড এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ৮ জনের মধ্যে সাহেদ ছাড়া বাকি ৭ জনই করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়নের সিংগুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত কাসেম ও নজরুল এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত সিরাজ এই তিনজন সহোদর; তারা সিংগুয়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে।

সাহেদ পার্শ্ববর্তী বারঘড়িয়া ইউনিয়নের হাসনপুর গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার বিবরণে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক তদারক সহকারী কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার কালোপানি বজরা গ্রামের আব্দুর রহমান আমিন চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়নের সিংগুয়া গ্রামের শ্বশুরবাড়ির এলাকায় জায়গাজমি কিনে স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন।

২০০৬ সালের ২২ এপ্রিল দিবাগত রাত ১টার দিকে আসামিরা আব্দুর রহমান আমিনের বাড়িতে ডাকাতি করলে গেলে আব্দুর রহমান আমিন তাতে বাধা দেন। বাধা পেয়ে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই আব্দুর রহমান আমিনের মৃত্যু হয়। এছাড়া এ সময় আব্দুর রহমান আমিনের স্ত্রী নূরুন নাহার ওরফে রাবেয়া আহত হন।

এ ঘটনায় পরদিন ২৩ এপ্রিল নিহত আব্দুর রহমান আমিনের স্ত্রী নূরুন নাহার ওরফে রাবেয়া বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে করিমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়।

তদন্ত শেষে সিআইডির এএসপি রফিকুল ইসলাম ৮জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৮ সালের ২৮ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

সাক্ষ্য-জেরা শেষে সোমবার (৫ অক্টোবর) কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ ইমাম এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট অশোক সরকার মামলাটি পরিচালনা করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলার রায়ে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আপডেট টাইম : ০৩:১৫:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে গণপূর্ত বিভাগের সাবেক কর্মচারী আব্দুর রহমান আমিনকে হত্যা ও ডাকাতির চাঞ্চল্যকর মামলায় দুই সহোদরসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত মোট ৮ জনের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (৫ অক্টোবর) সকালে আসামিদের উপস্থিতিতে জনাকীর্ণ আদালতে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে চার আসামি কাসেম, নজরুল, লিটন ও সাত্তারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সিরাজ উদ্দিন ওরফে সিরাজ, খোকন, সাহেদ ও কান্তু মিয়া এই চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ড এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ৮ জনের মধ্যে সাহেদ ছাড়া বাকি ৭ জনই করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়নের সিংগুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত কাসেম ও নজরুল এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত সিরাজ এই তিনজন সহোদর; তারা সিংগুয়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে।

সাহেদ পার্শ্ববর্তী বারঘড়িয়া ইউনিয়নের হাসনপুর গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার বিবরণে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক তদারক সহকারী কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার কালোপানি বজরা গ্রামের আব্দুর রহমান আমিন চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়নের সিংগুয়া গ্রামের শ্বশুরবাড়ির এলাকায় জায়গাজমি কিনে স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন।

২০০৬ সালের ২২ এপ্রিল দিবাগত রাত ১টার দিকে আসামিরা আব্দুর রহমান আমিনের বাড়িতে ডাকাতি করলে গেলে আব্দুর রহমান আমিন তাতে বাধা দেন। বাধা পেয়ে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই আব্দুর রহমান আমিনের মৃত্যু হয়। এছাড়া এ সময় আব্দুর রহমান আমিনের স্ত্রী নূরুন নাহার ওরফে রাবেয়া আহত হন।

এ ঘটনায় পরদিন ২৩ এপ্রিল নিহত আব্দুর রহমান আমিনের স্ত্রী নূরুন নাহার ওরফে রাবেয়া বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে করিমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়।

তদন্ত শেষে সিআইডির এএসপি রফিকুল ইসলাম ৮জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৮ সালের ২৮ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

সাক্ষ্য-জেরা শেষে সোমবার (৫ অক্টোবর) কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ ইমাম এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট অশোক সরকার মামলাটি পরিচালনা করেন।