ঢাকা ০৫:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলসার ও কিডনির সমস্যার সমাধান রয়েছে কদবেলে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:০২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১৬৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাকা কদবেলের ঘ্রাণ আর স্বাদ সবারই মন কাড়ে। বাজারে এক কদবেল বেশ সহজলভ্য। এতে রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। জানেন কি? কদবেলে খাদ্যশক্তি রয়েছে কাঁঠাল ও পেয়ারার প্রায় সমান।

আমিষের পরিমাণ রয়েছে আমের চেয়ে সাড়ে তিন গুণ, কাঁঠালের দ্বিগুণ, লিচুর চেয়ে ৩ গুণ, আমলকি ও আনারসের চেয়ে চায় গুণ বেশি এবং পেঁপের চেয়ে দ্বিগুণের একটু কম।

কদবেলের পুষ্টিগুণ প্রতি ১০০ গ্রাম কদবেলের পুষ্টিমান পানীয় অংশ ৮৫.৬ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ২.২ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৪৯ কিলো ক্যালোরি, আমিষ ৩.৫ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, শর্করা ৮.৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫.৯ মিলিগ্রাম,  লৌহ ০.৬ মিলি গ্রাম, ভিটামিন-বি ০.৮০ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন-সি ১৩ মিলিগ্রাম এবং প্রতি ১০০ গ্রামের শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা ৪৯ কিলো ক্যালোরি।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে কদবেলের খনিজ উপাদান ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। ডায়াবেটিসের আয়ুর্বেদী চিকিৎসায় কদবেল ব্যবহার হয়।

গরম কম লাগে কদবেল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্নায়ুর শক্তি যোগায়। তাই কদবেল খেলে গরম কম লাগে। ত্বকের জ্বালা পোড়া কমাতে কদবেল মলম হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

কিডনির জন্য ভালো কদবেল উদ্দীপক ও মূত্রবর্ধক হিসেবে ব্যবহার করা হয় আয়ূর্বেদ শাস্ত্রে। এ ফল নিয়মিত খেলে কিডনি সুরক্ষিত রাখে। প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা বিদ্যায় কিডনি সমস্যা দূর করার জন্য সেরা প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হতো কদবেল। ফলটি যকৃত ও হৃৎপিণ্ডের জন্যও বিশেষ উপকারী।

পেপটিক আলসার ভালো হয়

কদবেল পাতার রস পানির সঙ্গে নিয়মিত পান করলে পেপটিক আলসার দ্রুত ভালো হয়। আলসারের ক্ষত সারাতে তাজা কদবেল বেশ কার্যকরী।

রূপচর্চায় কদবেল

ব্রুণ ও মেছতায় কাঁচা কদবেলের রস মুখে মাখলে বেশ দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।

শ্বাসযন্ত্রের রোগে কদবেল

কদবেল পাতার নির্যাস শ্বাসযন্ত্রের চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। দুধ-চিনির সঙ্গে কদবেলে পাতা মিশিয়ে এক ধরনের খাদ্য তৈরি হয়। এই রস শিশুদের পেট ব্যথার চিকিৎসায় চমৎকার কাজ করে।

রক্ত পরিষ্কার করে

কদবেল রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। বুক ধড়ফড় এবং রক্তের নিম্নচাপ রোধেও সহায়ক। গুড় বা মিছরির সঙ্গে কদবেল মিশিয়ে খেলে শরীরের শক্তি বাড়ে এবং রক্তস্বল্পতা দূর হয়।

পেট ভালো রাখে

কদবেলে রয়েছে ট্যানিন নামক উপাদান, যা দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া ও পেট ব্যথা ভালো করে। কাঁচা কদবেল ছোট এলাচ, মধু দিয়ে মাখিয়ে খেলে বদহজম দূর হয়।

হেঁচকি বন্ধ হয়

পাকা কদবেল খেলে হেঁচকি ওঠা, গলা ব্যাথা ও মাড়ির রোগের উপশম হয়।

ম্যালেরিয়া সারায়

কদবেল গাছের ছালে প্রচুর পরিমাণ ট্যানিন এবং অ্যালকালয়েড রয়েছে। এটি পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ম্যালেরিয়া রোগের উপশম হয়।

পিত্তরোগ সারায়

কচি পাতার রস দুধ ও মিছরির সাথে মিশিয়ে পান করলে ছোট ছেলে-মেয়েদের পিত্তরোগ ও পেটের অসুখ নিরাময় হয়।

অন্যান্য সমস্যার সমাধান

এছাড়াও কদবেল মূত্রবর্ধক, বমিভাব দূরকারক এবং কফ নিঃসারক হিসেবে কাজ করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আলসার ও কিডনির সমস্যার সমাধান রয়েছে কদবেলে

আপডেট টাইম : ০৩:০২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাকা কদবেলের ঘ্রাণ আর স্বাদ সবারই মন কাড়ে। বাজারে এক কদবেল বেশ সহজলভ্য। এতে রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। জানেন কি? কদবেলে খাদ্যশক্তি রয়েছে কাঁঠাল ও পেয়ারার প্রায় সমান।

আমিষের পরিমাণ রয়েছে আমের চেয়ে সাড়ে তিন গুণ, কাঁঠালের দ্বিগুণ, লিচুর চেয়ে ৩ গুণ, আমলকি ও আনারসের চেয়ে চায় গুণ বেশি এবং পেঁপের চেয়ে দ্বিগুণের একটু কম।

কদবেলের পুষ্টিগুণ প্রতি ১০০ গ্রাম কদবেলের পুষ্টিমান পানীয় অংশ ৮৫.৬ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ২.২ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৪৯ কিলো ক্যালোরি, আমিষ ৩.৫ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, শর্করা ৮.৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫.৯ মিলিগ্রাম,  লৌহ ০.৬ মিলি গ্রাম, ভিটামিন-বি ০.৮০ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন-সি ১৩ মিলিগ্রাম এবং প্রতি ১০০ গ্রামের শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা ৪৯ কিলো ক্যালোরি।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে কদবেলের খনিজ উপাদান ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। ডায়াবেটিসের আয়ুর্বেদী চিকিৎসায় কদবেল ব্যবহার হয়।

গরম কম লাগে কদবেল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্নায়ুর শক্তি যোগায়। তাই কদবেল খেলে গরম কম লাগে। ত্বকের জ্বালা পোড়া কমাতে কদবেল মলম হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

কিডনির জন্য ভালো কদবেল উদ্দীপক ও মূত্রবর্ধক হিসেবে ব্যবহার করা হয় আয়ূর্বেদ শাস্ত্রে। এ ফল নিয়মিত খেলে কিডনি সুরক্ষিত রাখে। প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা বিদ্যায় কিডনি সমস্যা দূর করার জন্য সেরা প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হতো কদবেল। ফলটি যকৃত ও হৃৎপিণ্ডের জন্যও বিশেষ উপকারী।

পেপটিক আলসার ভালো হয়

কদবেল পাতার রস পানির সঙ্গে নিয়মিত পান করলে পেপটিক আলসার দ্রুত ভালো হয়। আলসারের ক্ষত সারাতে তাজা কদবেল বেশ কার্যকরী।

রূপচর্চায় কদবেল

ব্রুণ ও মেছতায় কাঁচা কদবেলের রস মুখে মাখলে বেশ দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।

শ্বাসযন্ত্রের রোগে কদবেল

কদবেল পাতার নির্যাস শ্বাসযন্ত্রের চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। দুধ-চিনির সঙ্গে কদবেলে পাতা মিশিয়ে এক ধরনের খাদ্য তৈরি হয়। এই রস শিশুদের পেট ব্যথার চিকিৎসায় চমৎকার কাজ করে।

রক্ত পরিষ্কার করে

কদবেল রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। বুক ধড়ফড় এবং রক্তের নিম্নচাপ রোধেও সহায়ক। গুড় বা মিছরির সঙ্গে কদবেল মিশিয়ে খেলে শরীরের শক্তি বাড়ে এবং রক্তস্বল্পতা দূর হয়।

পেট ভালো রাখে

কদবেলে রয়েছে ট্যানিন নামক উপাদান, যা দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া ও পেট ব্যথা ভালো করে। কাঁচা কদবেল ছোট এলাচ, মধু দিয়ে মাখিয়ে খেলে বদহজম দূর হয়।

হেঁচকি বন্ধ হয়

পাকা কদবেল খেলে হেঁচকি ওঠা, গলা ব্যাথা ও মাড়ির রোগের উপশম হয়।

ম্যালেরিয়া সারায়

কদবেল গাছের ছালে প্রচুর পরিমাণ ট্যানিন এবং অ্যালকালয়েড রয়েছে। এটি পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ম্যালেরিয়া রোগের উপশম হয়।

পিত্তরোগ সারায়

কচি পাতার রস দুধ ও মিছরির সাথে মিশিয়ে পান করলে ছোট ছেলে-মেয়েদের পিত্তরোগ ও পেটের অসুখ নিরাময় হয়।

অন্যান্য সমস্যার সমাধান

এছাড়াও কদবেল মূত্রবর্ধক, বমিভাব দূরকারক এবং কফ নিঃসারক হিসেবে কাজ করে।