ঢাকা ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এ কেমন নৃশংসতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৮:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ জানুয়ারী ২০১৬
  • ৫৭৮ বার

দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধের জেরে প্রাণ গেল তিন শিশুর। ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দুই ভাতিজা ও এক ভাগ্নেকে হাতুড়ি পেটা করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে আপন চাচা।
রোববার রাত ৭টার দিকে উপজেলা শহরের কবিরপুর গ্রামের মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক ইকবাল হোসেনকে আটক করেছে।
নিহত তিন শিশু হলো- মোস্তফা সাফিন (১০) মোস্তফা আমীন (৮) ও মাহীম (১৩)। এদের মধ্যে মোস্তফা সাফিন ও মোস্তফা আমীন শৈলকুপা পাইলট হাইস্কুলের শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাবা গোলাম নবীর সঙ্গে বড় ভাই ইকবালের অর্থ লেনদেনের জের ধরে এ হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বড় ভাই নিহতদের নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে প্রথমে আহত করে। পরে গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন দিয়ে ঘরে তালা লগিয়ে দেয়।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস দল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর তাদের উদ্ধার করা হয়। ঘরের ভেতরে মারা যায় সাফিন ও আমীন। দগ্ধ মাহিমকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেয়ার পর রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ঝিনাইদহের এএসপি কাঞ্জিলাল বলেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে শরীরে রক্ত মাখা অবস্থায় আটক করা হয়েছে ঘাতক ইকবালকে। পুলিশের কাছে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইকবাল আট বছর পর সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছে। সে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকার হিসেব নিয়ে ছোট ভাই ও বাবার সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে নিহত মাহিমের মা জেসমিন জানিয়েছেন।
রাতে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতাল ও শৈলকুপা থানায় হাজারো মানুষ ভীড় করেন। তারা এ ঘাতকের বিচার দাবি করেছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

এ কেমন নৃশংসতা

আপডেট টাইম : ১১:৫৮:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ জানুয়ারী ২০১৬

দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধের জেরে প্রাণ গেল তিন শিশুর। ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দুই ভাতিজা ও এক ভাগ্নেকে হাতুড়ি পেটা করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে আপন চাচা।
রোববার রাত ৭টার দিকে উপজেলা শহরের কবিরপুর গ্রামের মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক ইকবাল হোসেনকে আটক করেছে।
নিহত তিন শিশু হলো- মোস্তফা সাফিন (১০) মোস্তফা আমীন (৮) ও মাহীম (১৩)। এদের মধ্যে মোস্তফা সাফিন ও মোস্তফা আমীন শৈলকুপা পাইলট হাইস্কুলের শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাবা গোলাম নবীর সঙ্গে বড় ভাই ইকবালের অর্থ লেনদেনের জের ধরে এ হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বড় ভাই নিহতদের নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে প্রথমে আহত করে। পরে গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন দিয়ে ঘরে তালা লগিয়ে দেয়।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস দল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর তাদের উদ্ধার করা হয়। ঘরের ভেতরে মারা যায় সাফিন ও আমীন। দগ্ধ মাহিমকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেয়ার পর রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ঝিনাইদহের এএসপি কাঞ্জিলাল বলেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে শরীরে রক্ত মাখা অবস্থায় আটক করা হয়েছে ঘাতক ইকবালকে। পুলিশের কাছে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইকবাল আট বছর পর সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছে। সে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকার হিসেব নিয়ে ছোট ভাই ও বাবার সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে নিহত মাহিমের মা জেসমিন জানিয়েছেন।
রাতে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতাল ও শৈলকুপা থানায় হাজারো মানুষ ভীড় করেন। তারা এ ঘাতকের বিচার দাবি করেছেন।