মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে দিনাজপুরে অপহরণের পর এক শিশুকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার অপহরণ হওয়ার পাঁচ দিন পর শিশু মিমি আক্তারের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়।
অপহৃত মিমি আক্তার (৭) দিনাজপুর ৭নং উপ-শহরের বাসিন্দা গ্রীল ব্যবসায়ী মাহবুব আলমের মেয়ে।
এলাকাবাসী জানায়, গত ২৭ ডিসেম্বর রোববার সকাল ১১টায় বাড়ির পাশে খেলার সময় নিখোঁজ হয় মিমি। ওই দিন সন্ধ্যায় মাহবুরের মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত নাম্বার থেকে জানানো হয় তার মেয়ে মিমি আক্তারকে অপহরণ করা হয়েছে। সাত লাখ টাকা দিলে তার মেয়েছে ছেড়ে দেয়া হবে। টাকা নিয়ে পার্বতীপর রেলস্টেশনে যেতে বলা হয়। এই ফোন পাওয়ার পর মাহবুব এলাকাবাসীর পরামর্শে দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় যোগাযোগ করে।
এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি নথিভুক্ত করা হয়। পরদিন সকাল ১১টায় কোতয়ালী থানা পুলিশ ও পার্বতীপুর থানা পুলিশের সহায়তায় মাহবুব আলম পার্বতীপুর রেলস্টেশনে যায় মিমিকে উদ্ধারের জন্য। কিন্তু অপহরণকারীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আর দেখা করেনি মাহবুরের সঙ্গে।
বাড়ি ফেরার পথে মাহবুবকে জানানো হয়, চালাকি করলে তার মেয়েকে হত্যা করা হবে। মাহাবুব চার লাখ টাকা দিতে পারবে না বলে দর কষাকষি করে। শেষ পর্যন্ত দুই লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। কিন্তু শুক্রবার সকালে ২ নং উপ-শহরের একটি ডোবার পাশে ময়লা গাড্ডায় বস্তাবন্দী অবস্থায় মিমি আক্তারের লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী।
দিনাজপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম খালেকুজ্জামান জানান, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন পাঁচজনকে আহক করা হয়েছে। জন্য মূল আসামিদের ধরতে তৎপরতা অব্যাহত আছে।